পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্য। ] বড় । ইহার বিস্তার ১২৬৪ বর্গমাইল ; আয় ২২ লক্ষ টাকার ও অধিক। এ ষ্ট তালুকের পরিসর ও আয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধিষ্ট পাইতেছে। ১৩৭৪ খুঃ অব্দে বাদসাহ ফিরোজসাঙ্ক তোম্বলক ভরেীচের দুর্দান্ত দস্থা দমনের জন্ত প্রেরণ করিলে “বরিস্নার সা” নামক জনৈক রাজপুত ষ্টকৌন নামক স্থানে আসিয়া বাসস্থাপন করেন। ইহঁার অধস্তন ৭ম পুরুষ মাথোসিং গৃহবিবাদে পৈত্রিক বিষয় ছাড়িয়া ১৫৬৬ অব্দে রাপতী ও কোয়ান নদীদ্বয়ের মধ্যবৰ্ত্তী ভূখণ্ড অধিকার করিয়া তথায় বাস করেন। তাঙ্গার পুত্র বলরাম দাস বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে বলরামপুর নগরের স্থাপনা করেন এবং পৈত্রিক জমিদারী বৃদ্ধি কবেন। এই নবপ্রতিষ্ঠিত নগরীর নামে সমগ্র তালুকট অভিহিত হইয়া আলিতেছে। আবে এই বংশে নবল সিং প্রথম রাজা উপাধি গ্রহণ করেন। সে সময় তিনি একজন সমরকুশল বীর বলিয়া গণ্য ছিলেন। র্তাহার দোর্দণ্ড প্রতাপ ছিল এবং তিনি অযোধ্যার নবাবেরও বহুত স্বীকার করেন নাই। তাহার পৌত্র রাজা দৃথিজয় সিং ১৮ বৎসর বয়সে ১৮৩৬ অব্দে তালুকের অধিকার প্রাপ্ত হন। সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইনি বহু ইংরাজ রাজপুরুষকে স্বীয় দুর্গের মধ্যে আশ্রয় দিয়া এবং র্তাহাদিগকে গোরক্ষপুরে নিরাপদে পাঠাষ্টয়া দিয়া, এমন কি, বিদ্রোহীদিগের সঠিত যুদ্ধ করিয়া রাজভক্তির পরাকাষ্ঠী প্রদর্শন করেন। তাহার পুরস্কার স্বরূপ তিনি গবর্মেন্টের নিকট হইতে গোড়া ও ভরোচের অন্তর্গত বিস্তীর্ণ জায়গীর প্রভৃতি প্রাপ্ত হন। গবমেণ্ট পরে তাহাকে মহারাজা বাহাদুর ও কে, সি, এস, আই, উপাধিতে ভূষিত করেন। তাহার পরলোক প্রাপ্তিতে মহারাণী তালুকের উত্তরাধিকারিণী হন। তাহার দত্তক পুত্র মহারাজা ভগবতীপ্রসাদ বাহাদুর, কে, সি, আই, ই, বলরামপুরের বর্তমান তালুকদার। মহারাজা দৃথিজয় সিংহের সময়ই এখানে বাঙ্গালী প্রবাসের স্বত্রপাত। সে আজ অৰ্দ্ধ শতাব্দীর কথা । ২৪ পরগণার অন্তর্গত জয়নগর-মজিলপুর-নিবাসী বাবু গাপালকৃষ্ণ বস্থ সামরিক পূৰ্ববিভাগে কৰ্ম্ম লইয়া আসিয়া এলাহাবাদে প্রবাসী হন । এলাহাবাদ কীন্ডগঞ্জে র্তাহার আযোধ্যা-প্রবাসী বাঙ্গালী AA AeAMSASAeAAASAAAAS AAASASAAAAASA SAASAASAAAS `ዩኃ(rዓ - ماهه «۰ - ۰ - ۰ مه ۹۰ বাস ছিল । তিনি পরে এলাহাবাদ হইতে বদলি হইয়া লক্ষেী আগমন করেন। এখানে লক্ষেীপ্রবাসী রামগোপাল বিদ্যাস্ত মহাশয়ের সঙ্কিত তাঙ্কার বন্ধুত্ব হয়। রামগোপাল বাবু এখানকার একজন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন । তিনি মহারাজা দৃশ্বিজয় সিংহের সহিত গোপালকৃষ্ণ বস্থর পরিচয় করিয়া দেন। গোপালবাবু পূর্ডবিভাগের কার্য্যে বিলক্ষণ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। তিনি শীঘ্রই সরকারি কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া পুর্তবিভাগীয় জ্ঞান বৃদ্ধি করিতে থাকেন। ১৮৭৮ অব্দে - বলরামপুরে প্রাসাদ-নিৰ্ম্মাণ-কাৰ্য্য-সুত্রে মহারাজা কর্তৃক আহুত হইয়া গোপালকৃষ্ণ বাবু বলরামপুর গমন করেন । র্তাহার কার্য্যদক্ষতায় সন্তুষ্ট হইয়া মহারাজ। তাহাকে স্বীয় রাজ্যের পুর্তবিভাগীয় প্রধান কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করেন। ৩৫০ টাকা পৰ্য্যন্ত তাহার বেতন হইয়াছিল। তিনি বলরামপুরের রাজপ্রাসাদ হইতে নগর পল্লী প্রভৃতি সুসজ্জিত নগরের স্বাস্থ্যোন্নতির সুব্যবস্থা করিতে এবং পথ, ঘাট, সেতু প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করিয়া সৰ্ব্বত্র গমনাগমনের সুবিধা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । বলরামপুরের “গেষ্ট হাউস” বা অতিথিভবন (Guest House), “মিসেস্ এন্‌সন হাসপাতাল”, “ষ্ট্যাচু হল” (Statue Hall) “ম্যাকডলেন অফানেজ”; “লায়াল কলিজিয়েটু স্কুল”, (জুই মাইল বিস্তীর্ণ) “আনন্দবাগ”, “সুন্দরবাগ”, “নুতন প্রাসাদ” প্রভৃতি তাহারই কীৰ্ত্তি। স্বন্দর মুন্দর রাজপথ, নর্দম, এবং মিউনিসিপ্যালিটীর উন্নতি এ বাঙ্গালী এঞ্জিনিয়ার কর্তৃক সাধিত হইয়াছে। বলরামপুরের নূতন প্রাসাদ প্রায় পাচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই প্রাসাদ ও গেষ্ট হাউস বৈদ্যুতিক আলোক দ্বারা শোভিত করা চইয়াছে । বাঙ্গালী এঞ্জিনিয়ার বিদ্যাধর ভট্টাচাৰ্য্য জয়পুর সহরের নক্সা করিয়া দিয়া এবং তদনুসারে মুসজ্জিত করিয়া তাহাকে রাজপুতানার গৌরবস্থল ও জগদবাসীর দর্শনীয় স্থানে পরিণত করিয়াছিলেন । উনবিংশ শতাব্দীর প্রবাসী-বাঙ্গালী গোপালকৃষ্ণ বসু তদ্রুপ বলরামপুর নগরকে সৌধমাল, রাজ্যেষ্ঠান, পথ, সেতু, পাঠগৃহ প্রভৃতিতে মুসজ্জিত করিয়া অযোধ্যায় প্রবাসী বাঙ্গালীর চিরস্থতি রাখিয়া গিয়াছেন।