পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

së t-n] নবীন সন্ন্যাসী ు(సి عینی تهیه حاج سیاحتی حکیمیاییع حساسیته تهیه محیی কেনারাম ৰলিল—“আজ্ঞে হুজুর ডাকিয়ে পাঠিয়েছিলেন গুল্লাম—তাই এসেছি।” "হরিনাম সত্য, হরিনাম সত্য—ওছে। তাই বটে। তোমায় ডাকিয়ে পাঠিয়েছিলাম বটে—ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম। - সকলি মিথ্যে, সকলি মিথ্যে। হ্যা—দেখ,— তোমার বাড়ীর কাছে ঐ যে থানিকটে পতিত জমি আছে Fil " “আজ্ঞে স্থা। ওটাতে পূৰ্ব্বে চিনিবাস ঘোষ বলে একজন প্রজা ছিল—সে পলাতক । ছ তিন বছর ধরে জমিটে পড়ে অাছে।” “ত শুনেছি। সে চিনিবাস লোকটা কেমন ছিল ? আসল কথা তবে তোমায় খুলে পলি । আমার ইচ্ছে, ঐখানটায় একটা ফল ফুলের বাগান করি । ফুল দিয়ে ঠাকুর দেবতার পুজো করতে আমি বড় ভালবাসি। ফুল দিয়ে পুজো করলে মনের যেমন তৃপ্তি হয়, এ শুকনে হরিনামের মালা ঠকৃঠকালে তা হয় না । তাই তোমায় জিজ্ঞাসা করা যে সেই চিনিবাস লোকটা কেমন ছিল । পাপী দুষ্ট নষ্ট লোকের ভিটেতে ফুলগাছ জন্মালে, সে ফুলে ঠাকুরদের পূজো করতে আমার মন সৰ্ববে না। সে ফুল অপবিত্র বলে আমার মনে হবে । আর যদি এমন হয় যে সে লোকটা ধাৰ্ম্মিক ছিল, দেবত ব্ৰাহ্মণে ভক্তি রাখত—তাহলেই আমার মনটি শুদ্ধ হয়। এই জন্তেই তোমায় ডাকা । তুমি ধর তার একবারে লাগাও ছামছায় ছিলে । হাড়হদ সকলি তুমি জান। কি রকম লোকটা ছিল বল দেখি ?" কেনারাম একটু চিন্তা করিয়া বলিল—“আজ্ঞে, তা, লোকটাকে ত ভাল বলেই জানতাম। কারু কখনও কিছু মন্দ করেনি। তবে একবার আমার গোরু তার ক্ষেতে পড়েছিল—গোরটাকে ধরে নিয়ে গিয়ে খোয়াড়ে দিয়েছিল । ছ গও পয়সা দও দিয়ে গোরুকে ছাড়িয়ে এনেছিলাম।” “গ্রাম ছেড়ে সে পালাল কেন ? তার নামে কোনও k ওয়ারিন টোদারিন বেরিয়েছিল না কি ?” "আঙ্কে না তার শ্বশুর একজন বদ্ধি, প্রজা ছিল, শ্বশুরের আর কেউ ছিল না । সেই শ্বশুর মরে যাওয়াতে তার সব জোৎ জমাগুলি পেলে কি না, তাই এখান থেকে উঠে গেল। এখানে তার যা কিছু জমিজমা গোরু বাছুর ছিল সব বিক্রী করে ফেল্লে—করে শ্বশুর বাড়ী চলে গেল। ওয়ারিন টোয়ারিন কিছু বেরোয়নি।” গদাই ঘাড় নাড়িয়া বলিল—“তাহলে লোকটা ভাল । আচ্ছ, এখানকার থানার দারোগ কে ?” “আজ্ঞে থান এথান থেকে চার পাচ ক্রোশ দুর— ওদিকে যাওয়া আসা ত নেই । দারেগার নামটি বলতে পারলাম না। তবে শুনেছি কে একজন মুসলমান ।” “ওঃ—মুসলমান ? একদিন যেতে হবে থানায়— দারোগার সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতে। জমিদারী রাখতে হলে দারোগীদের সঙ্গে একটু ভাবসাব রাখা দরকার। কথন কি হয় তা ত বলা যায় না। কালই না হয় যাওয়া যাকৃ। দিনটাও ভাল আছে। দারোগীকে কি নজর দেওয়া যায় ? মুর্গি এও এসব ত আমার দ্বারা হবে না। বরং একটা বড় ভাড়ে করে সের পাচেক ঘি নিয়ে যাওয়া যাবে। তুমি ত গয়লার ছেলে, ঘি চেন। দাও দেখি কাল সকালে আমায় সের পাচেক ঘি সংগ্রহ করে । বেশ ভাল ঘি । যা উচিত মূল্য তা দিচ্ছি। জমিদারের নায়েব বলে যে আমি জোর জবরদস্তি করে আধা কড়িতে ঘি কিনবো—সেরকম তন্ত্রের লোক আমি নই। সে অামার ধৰ্ম্মে সবে না । গরীবের উপর অত্যাচার করার মত মহা পাপ আর নেই। কি বল, পারবে সের পাচেক ঘি কিনে দিতে ?” “আজ্ঞে স্থা । তার আর শক্ত কি ? কখন চাই ?” “এই ধর কাল সকালে সকালে খাওয়া দাওয়া করে, বেরোন যাবে । তারই মধ্যে সংগ্ৰহ হওয়া চাই।” “ত পারব । এনে দেব ।” টাকাটা এখনি নিয়ে যাবে ?” দেখি কি দরে পাই ।” অার এক কায কর না ।” “বেশ ।

  • কাল নেব এখন ।
  • আচ্ছ তা কালই নিও ।

“আন্দ্রে করুন।” “তুমিও আমার সঙ্গে চল না । এখন। তুমি ঘোড়ায় যেও।” কেনারাম একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিল—“বেশ। তা যেমন আজ্ঞে করেন।” আমি পান্ধীতে যাব