পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عن من هیچههچیهای دهه هوه همجمه همههای هخابع= بدیعه همه=ses***************** "منجهه ع****2= গদাই কয়েক মুহূৰ্ত্ত নীরব থাকিয়া বলিল—“তোমার যদি কাষের কোনও রকম অসুবিধে না হয়—ইচ্ছে সুখে আমার সঙ্গে যেতে পার, তবেই চল । নইলে আমি জমিদারের নায়েব আর তুমি ক্ষুদ্র প্রজা বলে আমি যে তোমার উপর হুকুমাৎ চালাচ্ছি—এ মনে কোরো না । আমি সে তন্ত্রের লোকই নষ্ট । তোমাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার আর কোনও কারণ নেই—কেবল আমি নতুন লোক, কখনও ওদিকে যাইনি, কাউকে চিনি শুনিন, সঙ্গে একজন লোক থাকলে দুটো কথাবার্তা কইতে কইতেও যেতে পারব—এই জন্তেই আমার আকিঞ্চন ।” কেনারাম বলিল—“আঙ্কে না—আমি ইচ্ছে সুখেই যাচ্ছি, আপনার মত এমন মনিবের সঙ্গে যাব না ত কার সঙ্গে যাব ?” গদাই বলিল—“মনিব কিসের ? মনিব কিসের ? তবে তোমার বিনয় দেখে খুলী হলাম। তুমি লোকটি অতি সজ্জন, তা বেশ বুঝতে পারছি। তোমরা ক ভাই ?” “আজ্ঞে আমরা দু ভাই ছিলাম। তা আমার ছোট ভাই বেচারাম মরে গেছে ।” "আহ ! মরে গেছে ? তা আর কি করবে বল । ছেলে পিলে কিছু রেখে গেছে ?” “কিছু না । কেবল তার ইস্তিয়ী আছে।” “ত, তোমার ভাদ্রবেীকে কি তার বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছ, না সে তোমার সংসারেই আছে ?” কেনারাম একটু থতমত খাইয়া বলিল—“আজ্ঞে, কমাস থেকে সে নিজের বাপের বাড়ীতেই আছে ।” একথা শুনিয়া গদাধর বিস্মিত হইল। ভাবিল— তবে কি সে স্ত্রীলোকটা বাড়ী ফিরিয়া আসে নাই ? গেল কোথা ? কি হইল ? সে নিজেই থানায় চলিয়া যায় নাই ত ? কিন্তু বাহিরে এই দুশ্চিস্তার ভাব বিছুমাত্র প্রকাশ না করিয়া বলিল—“তার বাপের বাড়ী কোন গ্রাম ?” “লে এখান থেকে দুদিনের পথ।” “গ্রামটার নাম কি ?” নিতান্ত অনিচ্ছার সহিত, ঢোক গিলিয়া কেনারাম বুলিল—“কুমড়োডাঙ্গা।” {

  • আচ্ছ বেশ, তবে কাল বেলা দশটার মধ্যে খাওয়া

م» میدهه ۰عهچیها تعبیه به প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড AMAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASهمه و همهی هم به همیه ۶* দাওয়া করে, ঘিটে নিয়ে এখানে এস”—বলিয়া গদাই ; কেনারামকে বিদায় করিয়া দিল। পরে উঠিয়া নিজের শয়নকক্ষে গিয়া, কল্যাণপুর-ফেরৎ ক্যাম্বিশের ব্যাগটি হইতে মদের বোতল বাহির করিয়া কিঞ্চিৎ পান করিল। তাহার পর হু কাটি হাতে করিয়া, তক্তপোসে বসিয়া নানাপ্রকার চিন্তা করিতে লাগিল । গদাই ভাবিতে লাগিল—“গঙ্গামণি গেল কোথা ? ঘণ্টেশ্বরের মন্দিরের কাছে যেখানে তাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম, সেখান থেকে এ গ্রাম বড় জোর ক্রোশ দেড়েক পথ—সোজা রাস্তা—রাস্তা ভুলে অন্ত কোথাও গিয়ে পড়েছে তাও সম্ভব নয় । তাকে যে রকম ভয় দেথিয়ে দিয়েছি, তাতে সে যে থানায় গিয়ে নালিশ করবে, এও ত মনে হয় না । যা হোক কাল থানায় গেলেই জানতে পারব, নালিশ টালিশ কিছু হয়েছে কি না । ভেবেছিলাম এ হাজার টাকা সাফ আমার লভ্য হল—সেট ফস্কে না যায়। দেখা যাক শ্রাদ্ধ কত দূর গড়ায়। আচ্ছা—ইয়ে হয় নি ত ? কেনারাম গঙ্গামণিকে নিজের বাড়ীর মধ্যেই লুকিয়ে রাখে নি ত ? গঙ্গামণি ভোরের বেলা এসে পৌছেছে,—ওরা যদিও লোকলজ্জা ভয়ে প্রচার করে দিয়েছিল সে তার বাপের বাড়ী চলে গেছে—নিশ্চয়ই তাকে জিজ্ঞাসা করেছে তুই এতদিন কোথা ছিলি, কি করছিলি । গঙ্গামণি নাম টাম কিছুই বলে নি। তাতে তাদের আরও সন্দেহ বেড়ে গিয়ে থাকৃবে। এ বিষয়ের একটা হেস্ত নেস্ত না হওয়া অবধি বোধ হয় গঙ্গামণিকে ঘরে বন্ধ করে রেখেছে । তা হলে ত এ বিষয়ের সন্ধান নিতে হয় ! এক কাজ করি। আর দুদণ্ড রাত্তির হোকৃ। ঘিয়ের টাকা দেবার নাম করে, হটাৎ তার বাড়ীর মধ্যে গিয়ে পড়ি । গঙ্গামণি যদি থাকে, নিশ্চয়ই কোন না কোন স্থলুক সন্ধান পাৰ ।” এইরূপ স্থির করিয়া গদাই পাল প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিল। পরে গুটি পাচেক টাকা লইয়া, অন্ধকারে বাহির হইল । হাতে একটি বাশের ছড়ি, চাদরখানা গলায় ফেলিয়া, নক্ষত্রালোকে গদাই নির্জন গ্রামপথ অতিক্রম করিয়া চলিল। কেনারামের বাড়ীর দরজার নিকট উপস্থিত হইয়া, নিঃশবো দাড়াইয়া, কাণ পাতিয়া শুনিতে