পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- লাগিল ভিতবে কোনও কথাবার্তা হইতেছে কি না । দুই তিন জনের কণ্ঠস্বর শুনা গেল, কিন্তু কথা স্পষ্ট বুঝা গেল না । যেন কলহ ও ক্রনীনের স্বর । গদাই তখন আস্তে আস্তে দরজাটি ঠেলিল—দরজা খুলিয়া গেল। অঙ্গন অন্ধকাৰুময়, সেই অঙ্গনের মধ্যস্থলে গিয়া দাড়াইল । দেখিল, কিয়দ রে একটি উচ্চ রোয়াকের উপর তিন ব্যক্তি কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছে। ঘরের ভিতরে প্রদীপ জলিতেছিল, তাহারষ্ট সামান্ত আলোক রোয়াকে পৌছিতেছে—তাহাতে মানুষ চেনা যায় না । গদাই শুনিল, একজন পুরুষকণ্ঠে বলিতেছে—“সত্যি যদি তোর কোন দোষ নেই, তা হলে পষ্ট বলনা কেন কে তোকে ধরে রেখেছিল ?” গদাই বুঝিল ইহা কেনারামের কণ্ঠস্বর। - গঙ্গামণি বলিল—“সে আমি বলতে পারব না ।” একটি স্ত্রীকণ্ঠ বলিল—“কেন বলতে পারবিনে হতভাগী ? তা চলে নিশ্চয়ই তোর মনে পাপ আছে। ওগো ওর কথা বিশ্বাস কোরে ন--ওর সব মিথ্যে কথা । বল বলছি, নৈলে তোর মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে গা থেকে বের করে দেব।”—গদাধর অনুমান করিল, এ কেনারামের স্ত্রী হইবে । গঙ্গামণি র্কাদিতে কঁাদিতে বলিল—“আমার কি বলবার অসাধ ? কিন্তু মা কালীর বারণ, তাই আমি বলব না।” কেনারাম રનેિન–"ક્રમ-ફ્રે ভারি ধাৰ্ম্মিক কি না, মা কালী তোকে দর্শন দিয়েছে । আসল কথা যদি না বলিস তবে এখনি ঝাটা মেরে বাড়ী থেকে বের করে দেব ।” গঙ্গামণি একটু ক্ৰোধস্বরে বলিল—“কেন গো আমায় বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেবে ? এ বাড়ী কি আমার নয়, তোমার শুধু একলার ?” কেনারামের স্ত্রী বলিল—“নর পোড়ারমুখী—ভাস্করের মুখের উপুর জবাব ?” কেনারাম রাগিয়া বলিল—“বটে ! যত বড় মুখ তত বড় কথা ! আমাকে আইন দেখাচ্ছিস্ ? বেরে। এই দণ্ডে আমার বাড়ী থেকে। বেরো বলছি—নইলে চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে বিদেয় করে দেব ।” নবীন সন্ন্যাসী ه... ده همه رهه۰ هم - ۰۰۸ ۰۰۰۰AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA مه ۰-هیپ-همسایه تسمیه.......«««سه.. د****.-.** "مwه لارا را অামার গায়ে হাত আমি এখনি গিয়ে নায়েব do همه اهده . وهسویهه۰ مه ۰۷ গঙ্গামণি বলিল—“খপর্দার যদি তুলবে ত ভাল হবে না বলছি । মশাইয়ের কাছে নালিশ করব।” কেনারাম তাহাকে ভেঙ্গাইয়া বলিল—“নায়েব মশাইয়ের কাছে গিয়ে নালিশ করব! নায়েব মশাই ত আমার সব করবে ! নায়েব মশাই ভজ মেজেষ্টার কি না ! যা তোর বাবা নায়েব মশাইয়ের কাছে যা ।” এমন সময় গদাই পাল গল। খাকার দিয়া বলিল— “কেনারাম।” সচকিত দৃষ্টিতে কেনারাম উঠানের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিল—“কেও ?” গদাই সক্রোধে বলিল—“কেনারাম, আমি মনে করেছিলাম তুই একজন ভাল লোক । তুই ত দেখছি বজ্জাতের ধাড়ি !” কণ্ঠস্বরেই কেনারাম বুঝিল নায়েব মহাশয় । তথাপি সন্দেহভঞ্জন করিবার জন্ত তাড়াতাড়ি প্রদীপট আনিয়া উঠানে নামিয়া গদাইকে দেখিয়াই কঁাপিতে কঁাপিতে বলিল-“একি ? নায়েব মশাই যে ! প্রাতঃ প্রণাম ।” গদাই স্বর কাপাইয়া বলল—“মিথুকি ভণ্ড চোর ! এই না তুষ্ট আমার কাছে বলে এলি যে তোর বিধবা ভাজ তার বাপের বাড়ীতে আছে ?” কেনারাম বলিল—“আজ্ঞে বাপের বাড়ীতেই ছিল ত । আজই ত এসেছে।” “ওকে শাসচ্ছিল ধমকাছিস কেন ?” কেনারাম বলিল—“আজ্ঞে—আজ্ঞে—এমন ত কিছু শাসাই নি ।” “শাসাস্নি হারামজাদা ? কোথা ওগো ভাল মানুষের মেয়ে, এ দিকে এসত ।” গঙ্গামণি উঠানে আসিয়া সঙ্কুচিত হইয়া দাড়াইল । গদাই বলিল--"কি হয়েছে বল ত মা ।” গঙ্গামণি বলিল—“আমার সোয়ামি যত দিন থেকে মরেছে, আমার ভাস্কর, আমার যা’ সেই থেকে তামায় বড় জাল যন্ত্রণ (F, মারে, খেতে দেয় না—আর আজ বলছে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেবে। কেন নায়েব মশাই,