পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬২ - هم ۰ «م- مه معمهههای ۰۰ می داد۰ مه ۰ - ۰ - ایک م-ه عه * প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ AASAASAASAASAASAASA SAASAASSAAAAAAeA AeeAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড আমার বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেবে কেন ? বাড়ী কি ওর “হ্যারে মঙ্গপাপী ! স্ত্রীলোকের গায়ে হাত তুলেছিস্ ? একলাকার ? আপনি এর বিচার করুন।” গদাই বলিল—“ আমি জজও নং মেজেষ্টারও নই কিন্তু আমি জমিদারের প্রতিনিধি । আমি অবিপ্তি এর বিচার করব । আমি করব না ত কে করবে ? আমি এর স্বক্ষ বিচার করে দিচ্ছি। হ্যারে কেনারাম, তোরা দুই ভাই ছিলি বল্লি না ?” “আজ্ঞে কর্তা ।” “তা হলে তোদের এই বাড়ী জোৎজমি যা কিছু আছে, সমস্ত বিষয়ের আট আনা কিস্তা তোর এই ভাজের । এ আইনের কথা—গুপ্তপ্রেস পাজিতেও লেখা আছে।” । কেনারাম বলিল-“আর আমি যে একলা জমিদারের খাজনা গুণছি ?” - “তা হলে কি হয় । খাজনার টাকা কি তোর বাবার ঘর থেকে দিচ্ছিস্ ? জমির উপসত্ত্ব থেকেই ত দিচ্ছিস ।” “আর আমি যে এত মেহনৎ করছি ? মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জমি চষছি, ফসল তৈরি করছি ?” গদাই দাত খিচাইয়া বলিল—“জমি তুষ্ট চষবি নে ত কি বাড়ীর বউকে দিয়ে চষাবি, নচ্ছার ? ভারি যে আইনবাজ হয়েছিস্ দেখছি। যা বলি শোন । তোর এই ভাজ যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন জমির অৰ্দ্ধেক উপসত্ত্ব ওর । সেই ভাবে আদর যত্ন করে যদি তোর ভাজকে বাড়ীতে রাখতে চাস্ত রাখ। নৈলে বল কালই আমি জমি জমা ভাগ বাটোয়ার করে, আট আনা হিস্তা তোর ভাজের নামে দাখিল খারিজ করে নেব । ও আপনার বাপের বাড়ী চলে যাকৃ—আমি ওর জমি বিলি করিয়ে দিচ্ছি। বাপের বাড়ী বসে পায়ের উপর পা দিয়ে সে জমির উপসত্ত্ব ভোগ করবে। কি বলিস ?” ইহা শুনিয়া কেনারাম কিয়ৎক্ষণ নীরব রহিল । শেষে বলিল-—“আমি ত ভাজের উপর কোন রকম অত্যাচার উপদ্রব করিনে। বলুক না ও কি অত্যাচার করেছি।” গঙ্গামণি বলিল—“আমায় খেতে দেয়নি। উঠতে বসতে আমার ভাল মনা করেছে । আমাকে মেরেছে পৰ্য্যন্ত ।” { গদাধর, হাতের লাঠিটা উঠানে ক্টাছড়াইল বলিল— স্ত্রীলোক যে আচ্ছাশক্তি ভগবতী তা জানিস মুখু ? তোর যে নরকেও স্থান হবে না ।” কেনারাম বলিল—“কবে আবার মেলাম ! ওর কথা গুনবেন না নায়েব মশাই ।” g "ওর কথা শুনব না ? এখনি আমি স্বকৰ্ণে যে গুনলাম তুই বলছিস বেরো আমার বাড়ী থেকে নইলে চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে বের করে দেব। আ—রে গঙ্গাজলে বকবলে –আমি যে এই উঠানে দাড়িয়ে আগাগোড়া সব গুনেছি। মনে করেছিস্ বুঝি যে নায়েব মশাই অতি ভালমানুষ, ফোট কাটে, হরিনাম করে, কাউকে উচু কথাটি বলে না, আমরা যা খুলী তাই করব ?—ওরে, নায়েব মশাই ভালর কাছেই ভাল মানুষ । কিন্তু বজ্জাৎ অধাৰ্ম্মিকের পক্ষে মুগুর । আমার নিজমূৰ্ত্তি দেখিস নি এখনো তোরা । তোকে ভালমামুষ বলে মনে করেছিলাম বলেই তোর বাড়ী বয়ে এসেছি। কাছারিতে বসে হঠাৎ মনে হল কৈ কেনারাম ত ঘিয়ের টাকা কটা নিয়ে গেল না—ত না হয় নিজেই গিয়ে দিয়ে আসি । তাই পাচটা টাকা তোকে দিতে এনেছিলাম। এই দেখ।”—বলিয়া গদাধর টাকা বাহির করিয়া দেখাইল । কেনারাম নত মস্তকে দাড়াইয়া রহিল । গদাই বলিল—“তা হলে কি বলিস ? জমিজমা ভাগ করে দিবি, না ভাজকে আদর যত্ন করে ঘরে রাখবি ?” কেনারাম বলিল—“কেন যত্ন করব না—কেন আদর করব না ? ওকি আমার পর ? আমার যে ভাই—আপন সহোদর-তারই ত ও ইস্তিরী ! আমি কি ওকে অযত্ন করতে পারি ? আজ যদি আমার ভাই বেঁচে থাকত ” —বলিতে বলিতে কেনারাম ক্রনীনের উপক্রম করিল। দুই হাতে মুখ ঢাকিয়া, হাউ হাউ করিয়া কাদিতে কাদিতে বলিল—“ওরে আমার ভাইরে—বেচারাম রে—তুই কোথা গেলি রে ।” * গদাই বলিল—“থাম থাম, তোর আর মায়াকার কাদতে হবে না । যা বল্লাম তা করবি । যদি ভাজকে কোনও রকম জাল যন্ত্রণা দিচ্ছিস্ গুনতে পাই—তাহলে সেই দণ্ডে তোর অৰ্দ্ধেক জমিজমা কেড়ে নিয়ে এই ভাল