পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] SAASAASAASAASAASAASAAAS *--..... মানুষের মেয়েকে দেব। সাবধান । রাত হয়ে গেল, এখন আমি চাল্লাম। হ্যা—আর এই টাকা পাচটা রেখে দে ৷ পাচ টাকার ঘি কাল দশটার মধ্যে কিনে কাছারিতে আনবি । বেশ ভাল ঘি হয় যেন । ওগো ভালমামুষের মেয়ে—তুমি গ্যাট হয়ে বসে থাক। তোমার উপর যদি আর কোনও উৎপীড়ন হয়, তখনি এসে আমায় জানাবে। আমি জমিদারের প্রতিনিধি—গ্রামের লোকের মা বাপ । আমার রাজ্যে কোনও অত্যাচার—কোন অধৰ্ম্ম হতে দেব না । এখন চল্লাম তবে ।” কেনারাম করযোড়ে বলিল—“নায়েব মশাই, গরীবের ঘরে যদি পায়েব ধুলো দিলেন, একবার তামাক ইচ্ছে করবেন না ?” গদাই ললিল—“না—আর দাড়াব না । অনেক রাত হল । এখনো আমার একশো আট হরিনাম করতে বাকী আছে। একশো আট হরিনাম করে তবে খাব, শেfব।”—বলিয়া গদাই প্রস্থান করিল। আহারাদি সম্পন্ন করিয়া শয়ন ঘরের দ্বার রুদ্ধ করিয়া, একটি বাক্স হইতে গদাই গোপীকান্ত বাবুর নোটের তাড় বাহির করিল । চশমা চোখে দিয়া সেগুলি সহাস্তবদনে গণিতে লাগিল। ক্যাম্বিশের ব্যাগ হইতে বোতলটি পুনরায় বাহির করিয়া অবশিষ্ট মন্তটুকু উদরসাৎ করিয়া ফেলিল। ঈষৎ মত্তত উপস্থিত হইলে, নোটগুলি সম্মুখে বিছাইয়া, মেহগদগদ স্বরে বলিতে লাগিল—” এ হাজার টাকা আমার চল । পুলিসকে দিতে হবে না, কাউকে দিভে হবে না । এ হাজার টাকা আমার—আমার— আমার । বুদ্ধি যার, টাকা তার—বুদ্ধি যার, টাকা তার ” שיזנקה শ্ৰীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS পারসীজাতির ধৰ্ম্মসমাজ * পারসীদিগের আদিম বাসস্থান পারস্তদেশে। প্রাচীন পারসী রাজ্য মুসলমানদিগের দ্বারা অধিকৃত চইলে পর সমগ্র পারসীজাতি ক্রমে ক্রমে মুসলমান হষ্টয়া পড়িল। ইহাদের

  • बैभूख शनांछारे म७tब्रांजौन्न धषक श्रठ नकणिठ ।

>WがW)○ মধ্যে অল্প কয়েকজন ভারতবর্ষে আসিয়াছিল। প্রবাদ আছে যে স্বদেশী বেশ, অস্ত্র এবং গোহতা বর্জন করিবার সর্তে তাহার এদেশে বাস করিবার অধিকার প্রাপ্ত হয় । এখানে, ভিন্ন ধৰ্ম্ম ও ভিন্ন জাতীয় লোকদিগের সঙ্গে মিলিত কইরা তাহারা আপনাদের ভাষা ও আপনাদের সনাতন ধৰ্ম্মশাস্ত্রের জ্ঞান প্রায় বিস্তৃত হইয়াছিল । কিন্তু একটি বিষয়ে তাঙ্গর সতর্ক ছিল । যে কয়েকটি ধৰ্ম্মগ্রন্থ তাহাদের সঙ্গে ছিল সেগুলিকে বিশেষ যত্নে তাহারা রক্ষা করিয়াছিল। এই সকল ধৰ্ম্মপুস্তকের যথার্থ ধারণা যদিচ তাছাদের মনে ছিল না তথাপি প্রধান পুরোচিতদের মধ্যে বংশামুক্রমে ইহাদের মোটামুটি তাৎপৰ্য্য কতকটা পরিমাণে প্রচলিত হইয়া আসিতেছিল। আন্তর্জাতিক বিবাহ ইত্যাদির দ্বারা ক্রমে ক্রমে ইহারা হিন্দুদিগের সহিত মিশ্রিত হইয়া গিয়া প্রায় হিন্দুই হইয়। পড়িয়াছিল। এমন কি, ইহাঁর ইচ্ছার সফলতা কামনা করিয়া হিন্দু দেবমন্দিরে মানৎ করিত। পরে ভারতবর্ষে মুসলমান আগমনের সঙ্গে সঙ্গে এই পারসীরা অনেকগুলি মুসলমান রীতিনীতিও গ্রহণ করিল এবং প্রসিদ্ধ মুসলমান পীরদের দরগাগুলিতেও পূজা দিতে লাগিল। এই সময় ইহার। আপনাদের সনাতন ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে যদিও প্রায় আর কিছুই জানিত না তথাপি ঈশ্বর এক এবং একব্যক্তির একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করা উচিত নহে শাস্ত্রের এই ছুটি বাক্য ইহারা কখনো বিস্তৃত হয় নাই । ইহার প্রাচীন পারসী ভাষাতেই প্রার্থনামন্ত্র সকল উচ্চারণ করিত কিন্তু তাহার একটি বর্ণেরও ভাব তাহার হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিত না । কয়েকজন পুরোহিত ব্যতীত আর কেহই তখন পারসী ভাষা ও সেই শাস্ত্রোপদিষ্ট মতগুলি সম্বন্ধে কিছুই জানিত না। হিন্দুদের ও নিজের অনুষ্ঠানগুলি পালন করিয়াই তাহাদের দিন কাটিত । পারসীধৰ্ম্মের মত ও উপদেশগুলি সম্বন্ধে একটি সাধারণ ভাবের অস্পষ্ট আভাস তাহাদের মনে ছিল ; কেবল তাহাদের শাস্ত্রের নীতি উপদেশ সম্বন্ধে এই কথাটি তাহারা স্পষ্টরূপে জানিত যে মুচিস্তা, স্বাক্য ও মুকাৰ্য্যই কল্যাণকর । বর্তমান শতাব্দীর আরম্ভ কালে পারসীদের অবস্থা এইরূপ ছিল। ভারতবর্ষে ইংরাজশাসন পায়সীদিগের অধিকতর