পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বহুশতাব্দী ধরিয়া পারসীরা যদিচ হিন্দু ও মুসলমানদিগের মধ্যে বাস করিয়াছে তথাপি তাহারা বহুবিবাহ প্রথা কোন দিন গ্রহণ করে নাই। পারসীদের সমাজব্যবচার সম্বন্ধে কোন নির্দিষ্ট আইন না থাকাতে এক সময় প্রশ্ন উঠিয়াছিন যে তাহদের সামাজিক ব্যবস্থা সকল হিন্দু ংরাজি অথবা কোন আইন অনুসারে নিয়মিত হইবে ? শিক্ষা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এবং নূতন শিক্ষার প্রভাবে প্রাচীনদের শাসন শিথিল হওয়ায় কয়েকজন পারসী প্রথম স্ত্রী পরিত্যাগ করিয়া দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণে উদ্যোগী হইয়াছিলেন । সমস্ত পারসী সমাজ তাহীদের এই ঘৃণিত ব্যবহারের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হষ্টল । তৎক্ষণাৎ একটি সভা আহবান করিয়া একটি ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হইল এবং বহুবিবাহ, ইংরাজের দ্যায়, পারসীর পক্ষেও দণ্ডনীয় এই মৰ্ম্মে গবর্ণর জেনােরলের ব্যবস্থা সভা হটতে একটা আইন পাস করাইয়া লওয়া ৯ইল। এই সভা হিন্দুদিগের অমুকরণে শৈশবে বাগদান রীতির বিরুদ্ধেও আপত্তি উত্থাপন করিল । পুরাতন রক্ষণশীলদল নানা কারণে এই আন্দোলনের বিরোধী ছুইলেন, অবশেষে উভয় পক্ষের মধ্যে একট রফা হইয়া এই প্রশ্ন আপাততঃ অমীমাংসিত রহিয়া গেল, কিন্তু কাৰ্য্যত এই প্রথা শিক্ষাবিস্তারের সঙ্গে আপনিই উত্তরোত্তর বিলুপ্ত হুইবার পথে চলিয়াছে। পারসৗদিগকে লোকে অগ্নিপূজক বলিয়া থাকে। পারসীরা তাহার প্রতিবাদ করিয়া বলে যে তাহারা অগ্নির পূজা করে না, অগ্নি ও অন্তান্ত প্রাকৃতিক শক্তি সকলকে তাহার দিব্য শক্তির চিকু বোধে সম্মাননা করে । আমি এই অপবাদকে যেমন অমূলক মনে করি এই প্রতিবাদকেও সেইরূপ কিঞ্চিৎ অতিশয়োক্তি বলিয়া গণ্য করি । প্রকৃতিতে যা কিছু সুন্দর, বিস্ময়কর, নির্দোষ ও উপকারী পারসীরা যদিচ তাছাকেই স্মরণ করে, স্তুতি করে, ভালবাসে ও পবিত্র বোধ করে, তথাপি কোন একটি অজ্ঞান জড়বস্তুর নিকট তাহার•কখনে সাহায্য বা কল্যাণ প্রার্থনা করে না। অতএব তাহাদিগকে পুত্তলপূজক বা জড়োপাসক বলা যায় না। পক্ষাস্তরে পারসী তাহার উপাস্ত দেবতা ছোৰ্মর্জা বা পরম আত্মাকে সম্বোধন করিয়া প্রার্থনা করিবার সময় বিশেষ কোন একটি বস্তুর সন্মুখীন হওয়া অবগুকৰ্তব্য পারসীজাতির ধৰ্ম্মসমাজ همی-هوهای - اهمیت- سده یعه همه عیسی۰۰AAAAAAAS AAASASAAAAASAAAAeeAeS AeSAe eAAASحم ماهه سوم. -هایی همه حماسههای یهوه * .هه - همه همدعه **۰-می ᏬᏔ%Ꮔ মনে করে না । পাসী বলিয়া থাকে যে তাহার হোমজুদ. যস্ত ( হোর্মজদের স্তব ) নিঃসঙ্কোচে সৰ্ব্বত্রই সম্পন্ন হইতে পারে। পরন্তু জল বা অন্যাঙ্গ ভূতের অধিষ্ঠাত্রী দেবতাগণকে সম্বোধন করিবার সময় পারসী কখনো অগ্নির সন্মুখে দণ্ডায়মান হয় না । সে যখন বিশেষ ভাবে কেবল অগ্নির দেবতাকেই সম্বোধন করে তখনই সে অগ্নির দিকে মুখ ফিরায় । কিন্তু হোমঞ্জ দ বা পৰমাত্মার উপাসনা করিবার সময় পারসী কোনো চিকুকে স্বীকার করে না এবং কোন কিছুব দিকে মুখও ফিরায় না । সমুদ্র, স্বৰ্য্য প্রভৃতি প্রাকৃতিক মহীয়ান বস্তু সকলের মধ্যে একমাত্র অগ্নিকেই মন্দিরের সীমার মধ্যে আনয়ন করা সম্ভব হয় বলিয়৷ পারসীদের উপাসনামন্দিরগুলিতে স্বভাবত কেবলমাত্র অগ্নিরই ব্যবহার প্রচলিত হইয়াছে এবং সেই জন্তই পারসীদিগকে অগ্নিপূজক বলিয়া লোকে ভ্রান্ত আখ্যা দিয়া থাকে । ধৰ্ম্মশাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে যে “যিনি ঈশ্বরকে তাহার কৰ্ম্মের মধ্য দিয়া জানেন তিনিই ঈশ্বরকে প্রাপ্ত হন।” ঈশ্বরের প্রতিমূৰ্ত্তি জ্ঞানে কোন বিশেষ বস্তুর দিকে পারসীকে মুখ ফিরাইতে হইবে এরূপ অনুশাসন কোন পারসীশাস্ত্রে আমি দেখিয়াছি বলিয়া আমার মনে হয় না। তবে প্রকৃতি হইতে প্রকৃতির ঈশ্বরে উত্তীর্ণ হইবার উপদেশ শাস্ত্রবাক্য সকলে দেখিতে পাওয়া যায়। পারসীদের ধৰ্ম্মগ্রন্থসকলের মধ্যে, শয়তানের তুষ্টিসাধনাৰ্থে কোন প্রকারের পূজা বা অনুষ্ঠানের বিধান কোনখানে নাই। পাপের ধ্বংস ও মঙ্গলসাধনার উদ্দেশে সংগ্রাম করিবার কথা ইহাতে বিশেষ ভাবে উপদিষ্ট হইয়াছে। কিছু দিন পূর্ব পর্য্যন্ত পারসীদের ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় মত ও বিশ্বাস এইরূপ ছিল । সম্প্রতি শিক্ষিত পারসীরা বিশেষ আগ্রহ ও পরিশ্রমের সহিত বিচার পূর্বক “জেনাবেস্ত” পড়িতে আরম্ভ করিয়াছে । “রহকুমাই সভা” এইসকল শিক্ষিত পারসীদের দ্বারাই গঠিত । ইহার প্রাচীন পারসী সাহিত্য অমুসন্ধান করিতেছেন এবং সময়ে সময়ে সভায় বস্তৃত ও পুস্তকাদি প্রকাশের দ্বারা তাহাদের গবেষণার ফল সমগ্র পারসীসমাজের গোচর করিতেছেন। এইসকল . শিক্ষিতদের এক্ষণে এক্ট মহ্নে দিদি"- - - --