পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ಆಕಿ সংখ্যা ] তাহার অনুসরণ করে। গ্রীকের পাঞ্জাব অধিকার করায় পাঞ্জাবও সাম্রাজ্যচ্যুত হইয়া গেল । এ সমস্তই * সত্য হইলেও চিন্তার বিষয় এই যে, অশোকের দ্যায় প্রতাপশালী সম্রাটের দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্য যে তাহার মৃত্যুর চল্লিশ পঞ্চাশ বৎসর পরেই শতধ হইয়া গেল, তাহার কারণ কি ? ইহার কারণের জন্ত অধিক দূর অন্বেষণ করিতে হইবে না । যদিচ অশোক সকল ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে সহিষ্ণু ছিলেন ও র্তাহার রাজত্বে সকল ধৰ্ম্মমতই বাধাঙ্গীন ছিল তথাপি র্তাহার কতকগুলি অনুশাসন হইতে তাহার কিছু অন্যথাও দেখা যায়। ভিনসেন্ট স্মিথ বলেন যে অশোক কেবল পাটলিপুত্রের পশুবলি বন্ধ করিয়া দিয়াছিলেন । কিন্তু র্তাহার রাজ্যের অন্ত অনেক স্থানেও বলির নিষেধব্যঞ্জক অমুশাসন পাওয়া যায়। তাঙ্গ হইতে বুঝিতে পার যে তাঙ্গর বিশাল সাম্রাজ্যে সৰ্ব্বত্রই বলি বন্ধ হইয়া গিয়াছিল। তখনকার ব্রাহ্মণগণ অত্যন্ত বলিপ্রিয় ছিলেন এবং এই অনুজ্ঞাটি তাহাদেরই বিরুদ্ধে প্রচার করা হইয়াছিল। র্তাহাদের এই চিরপ্রচলিত প্রথাটি একজন শূদ্র রাজার আজ্ঞায় বন্ধ হইয় যাওয়াতে ব্ৰাহ্মণেব নিশ্চয়ই অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া উঠিয়াছিল। বহুকাল হইতেই ভারতবর্ষে ধৰ্ম্মসংক্রান্ত সকল বিষয়েই ব্রাহ্মণের একাধিপত্য ছিল । কেহ যদি সমাজ বা ধৰ্ম্ম লভযন করিত তবে তাহাকে প্রায়শ্চিত্ত করিতে হইত এবং ব্রাহ্মণ-ভোজন করাষ্টলেই তবে তাহার অপরাধ মোচন হইত। অশোক ধৰ্ম্ম-ব্যবস্থাপক মণ্ডলীর স্বষ্টি করিয়া ব্রাহ্মণের চিরাগত অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন। ব্রাহ্মণের এই ক্ষমতাহানি শাস্তভাবে গ্রহণ করিবার পাত্র ছিল না। তাহাদিগের পক্ষে ইহা অপেক্ষ গুরুতর ক্ষোভের কারণ এই ছিল যে অশোক তাহার রাজত্বে দগুসমতা ও ব্যবহারসমত প্রবর্তন করিয়াছিলেন—অর্থাৎ দণ্ড ও বিচার সম্বন্ধে উচ্চ নীচ বর্ণে কোন, পার্থক্য ছিল না। অশোকের তাম্রলিপি যাহারা আলোচনা করিয়াছেন, র্তাহার কেহই দণ্ডসমতা ও ব্যবহারসমত এই দুইটি শব্দের সম্পূর্ণ অর্থ বুঝিতে পারেন নাই। ইতিপূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণের অপরাধ যতই গুরুতর হউক তাহাদিগকে কোন শারীরিক শাস্তি বা ফার্সি দেওয়া মৌর্য্য সাম্রাজ্যের লোপ SAASAASAASAASAAMMMAeeMSAASAASAASAAeMAeSAASAASAASAASAASAASAAMSeeASAMeS AAAAAS પુછ૧? AAA AAAAS AAAS SAAAS AAAA S AAAAA AAAAS AAAA S AAAAAA - دهه ۰ - ۰ - ۰ - ۰ - ۰ -- جمه... م. م হইত না। তাহাদের পক্ষে সৰ্ব্বাপেক্ষা কঠিন দণ্ড ছিল নিৰ্ব্বাসন, ও সৰ্ব্বাপেক্ষ অপমানকর দণ্ড ছিল শিখাচ্ছেদন । মামল মকদ্দমায় তাহীদের অনেক সুবিধা ছিল, তাহাদিগকে সাক্ষ্য দিতে হইত না । কোন ব্রাহ্মণ যদি স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য দিতে আসিতেন তাহা হইলে বিচারক কেবল র্তাহার উক্তি লিথিয়া রাখা ছাড়া তাহাকে জেরা করিতে পারিতেন না। এই অবস্থায় অনার্য্যদিগের সহিত একত্রে কারাবাস ইত্যাদি শাস্তি বহন করিবার কল্পনা - মাত্র ব্রাহ্মণের নিকট নিতান্ত দুঃসহ মনে হইত। যতদিন অশোকের দৃঢ় হস্ত রাজদণ্ড বহন করিতেছিল ততদিন ব্রাহ্মণের সমস্ত অপমান নীরবে সহ করিয়াছিল। কিন্তু তাহারা মনে মনে অসন্তুষ্ট হষ্টয়া ছিল। র্তাহার মৃত্যুর পরে ব্রাহ্মণের অশোকের বংশধরগণের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ হইল। কিন্তু তাঙ্গরা নিজের যুদ্ধ করিতে পারে না অথচ যে ক্ষত্রিয়গণের সাহায্য তাহার। আশা করিতে পারিত তাহারাও নন্দবংশের দ্বারায় পুৰ্ব্বেই ধ্বংস প্রাপ্ত হইয়াছিল। অবশেষে তাহাদের একজন উপযুক্ত সহায় জুটিয়া গেল। তিনি মৌর্য্যবংশের সেনাপতি পুষ্যমিত্র । পুষ্যমিত্র কোন জাতীয় ছিলেন তাহা জানা নাই । পারস্তাদেশের যেসকল অদম্য যোদ্ধাদিগকে গ্রীকগণ তাড়াইয়া দিয়াছিল তিনি বোধ হয় তাহাদেরই মধ্যে কেহ হইবেন । তাহার নামের শেষ ভাগ হইতেও বুঝা যায় যে তিনি পারসীক জাতীয়। তিনি ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মে অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং বৌদ্ধ ধৰ্ম্মকে অত্যন্ত ঘৃণা করিতেন। গ্রীকের প্রতিবৎসরেই অল্পে অল্পে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরে অগ্রসর হইতেছিল। পুষ্যমিত্র সৰ্ব্বপ্রথম তাহাদিগকে আক্রমণ করিলেন। যুদ্ধে জয়ী হইয় তাহার বিজয়ী সেনা লইয়া তিনি পাটলিপুত্রে ফিরিলেন এবং অশোকের বংশধরের নিকট হইতে উপযুক্ত অভ্যর্থনা লাভ করিলেন। সেই উপলক্ষ্যে নগরের বাহিরে শিবির স্থাপন করিয়া যখন সৈন্ত পরিদর্শন করা হইতেছিল তখন উৎসবের মধ্যে সহসা একটি তীর আসিয়া অশোকবংশধর রাজার ললাটে বিধিল ও তৎক্ষণাৎ তাহার মৃত্যু হইল। এইরূপে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের অবসান হইল এবং পুষ্যমিত্র আধিপত্য লাভ করিলেন। "মালবিকাগ্নিমিত্রে” দেখা যায় যে তিনি তাহীর সৈন্য লইয়া পাটলিপুত্রে ছিলেন