পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૧૭ ও তাহার পুত্র বিদিশাকে সিংহাসনে স্থাপন করিয়াছিলেন। • এই বিপ্লবে আমরা স্পষ্টই ব্রাহ্মণের হস্ত দেখিতে পাই । কারণ যে অশোক তাঙ্গর সাম্রাজ্যে বলি নিষেধ করিয়া দিয়াছিলেন সেই অশোকের রাজধানী পাটালপুত্রেষ্ট পুষ্যমিত্র অশ্বমেধ যজ্ঞ সমাধা করেন। ইহাতেই কি ব্রাহ্মণদের ক্ষমতা প্রকাশ পায় না ? কোন কোন বৌদ্ধ গ্রন্থে পুষ্যমিত্রকে বৌদ্ধনিপীড়ক বলা হইয়াছে। বস্তুত তিনি ব্রাহ্মণের হস্তগত ছিলেন । অল্পদিনের মধ্যেই ব্রাহ্মণগণ মৌর্য্য সাম্রাজ্যের কর্তা হষ্টয়া বসিল । কেবল তাহাই নচে তাছাদের প্রভাব বহুদূর পর্য্যস্ত ছড়াইয় পড়িয়াছিল। তাহার বৌদ্ধ ও জৈন ধৰ্ম্মের বেগ রোধ করিল, দেশের সমস্ত পিষ্ঠীকে তাহারা গ্রন্থের মধ্যে লিপিবদ্ধ করিল এবং ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মকে এমন একটি গতি দান করিল যাহা আজ পর্য্যন্ত নষ্ট হয় নাই। এই পুষ্যমিত্রের যাগযজ্ঞে পতঞ্জলি পৌরোহিত্য করিত্তেন ও পুষ্যমিত্রেরই অনুগ্রগধীনে থাকিয় তিনি বিখ্যাত ‘মহাভাষ্য’ রচনা করেন । কাল্পবংশীয় রাজগণ মনুসংহিতা সঙ্কলন করাষ্টয়াছিলেন, ও তাহারাই রামায়ণ মহাভারতকে তাহার আধুনিক আকার দান করিয়াছেন । ব্রাহ্মণ রাজবংশ যখন সিংহাসন অধিকার করে নাই তথনও ব্রাহ্মণের মুঙ্গবংশীয় রাজাদের গুরুর পদ অধিকার করিয়া ছিল এবং রাজ্যচালনায় তাহাদের যথেষ্ট কর্তৃত্ব ছিল । যখন তাহার রাজকীয় অধিকার হারাইয়া ফেলিল তখনও বহু দিন ধরিয়া তাহারা সমাজের প্রধান পদে ছিল ও বিধি ব্যবস্থায় তাহাদের কর্তৃত্ব প্রকাশ পাইত। অশোক ব্রাহ্মণদিগকে যেসকল অধিকার হইতে বঞ্চিত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন মনুসংহিতায় দেখা যায় যে ব্রাহ্মণগণ পুনশ্চ সেইসকল অধিকার লাভ করিয়া সমাজে আপন শ্রেষ্ঠত দৃঢ়স্থাপিত করিয়া লইয়াছে। একদা অশোক যে ভূদেব আখ্যাধারী ব্রাহ্মণদের ভূদেবত্বের অভিমান মিথ্যা বলিয়া ঘোষণা করিয়াছিলেন তাহার এখন পূৰ্ব্বাপেক্ষ উচ্চতর সন্মান লাভ করিল। সম্রাট অশোক জাতিনির্বিশেষে যে বিচারসমতার প্রবর্তন করিয়াছিলেন তাঙ্গার পরিণাম কি হইল তাহ। আমরা মৃচ্ছকটিক নাটক হইতে জানিতে পারি। এই নাটকের রাজা পালক অশোকের অমুগামী ছিলেন বলিয়া প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ AAA AASAASAASAASAASAASAASAASAeMAeMeMSAASAASAASAASAASAASAASAA**هوهه مه"s=s. **ASAeA AeSeAAASAAAS « عی...مت = عبےهیههای دادههایی به نام-- [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড বোধ হয়। র্তাহার রাজত্বে ব্রাহ্মণদের বড় দুর্দশ দেখা যায় । চারুদত্ত নামক ব্রাহ্মণ বণিক তাহার অনুচরবর্গসক অত্যন্ত দরিদ্র দশায় পতিত হইয়াছিলেন। " শৰ্ব্বিলক নামক আর এক ব্রাহ্মণ জীবিকার জন্ত চৌৰ্যবৃত্তি অবলম্বন করিতে বাধ্য হয় । বিচারক যখন চারুদত্তকে স্ত্রীহত্যা অপরাধে অপরাধী স্থির করিলেন তখনো তিনি ব্রাহ্মণকে প্রাণদণ্ড দিতে দ্বিধাবোধ করিলেন। কিন্তু রাজা তাহ শুনিলেন না, তাহাকে জীবিত অবস্থায় পুতিয়া ফেলিবার আজ্ঞা দিলেন । র্তাহার আদেশ কার্য্যে পরিণত হইবার পূৰ্ব্বেষ্ট বিপ্লব বাধিল । রাজা সিংহাসনচু্যত গুইলেন । চারুদত্ত প্রধান অমাত্যের পদলাভ করিলেন এবং শৰ্ব্বিলকও উচ্চ পদে নিযুক্ত হইলেন । এই সাহিত্য হইতেই প্রমাণ হয় যে অশোক ব্রাহ্মণদিগকে সৰ্ব্বসাধারণের সহিত সমক্ষেত্রে আনিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন বলিয়াই তাগুণব সাম্রাজ্য টিকিতে পারিল না । শ্ৰীঅতসী দেবী । ভাগ্যচক্রে পঞ্চম ভাগ । প্রথম পরিচ্ছেদ | সেই দুর্ঘটনার পর হইতে দুই বৎসর কাটিয়াছে ;- সে দিনগুলা যে কি কষ্টে গেছে তাঙ্গী ফ্র্যাঙ্ক আর ষ্টভাই জানেন । উভয়কেই সকল দুঃখ নীরবে সহ করিতে হইয়াছে—তাহাও আবার পৃথকভাবে—এক, একা ! কারণ ফ্র্যাঙ্ক ছিলেন একস্থানে, ইভা আর একস্থানে । মধ্যে মধ্যে অল্পক্ষণের জন্ত দুইজনের দেখা হইত—সে কারাগারের অন্ধকার গৃহে ! সেইদিনষ্ট ফ্র্যাঙ্ক স্বপ্নাবিষ্টের মতে গিয়া একেবারে পুলিশের হাতে আত্মসমর্পণ করেন—তাহার পর হাজত, বিচার। বিচারে এ খুনী মামলার বিশেষ কিছু রহস্তভেদ করিবার ছিল না—একটা ঝগড়ার ফলে যে খুনটা হইয়া গেছে তাহা স্পষ্টই বোঝা গেল। ফ্র্যাঙ্ক স্বেচ্ছায় খুন করেন নাই ;--তাছার প্রমাণ ইভার সাক্ষীতেই পাওয়া গেল । তিনি বলিলেন, ফ্র্যাঙ্ক প্রথমে নিজেই বুঝিতে