পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] পক্ষীর আক্রমণে সন্ত্রস্ত হইয়া একটী ঈগলপক্ষী স্বৰ্য্যমন্দিরে আশ্রয় গ্রহণ করিতেছে। এই অস্বাভাবিক দৃশ্যে অতোসা অণর স্থির থাকিতে পারিলেন না । তিনি প্রধানদিগের সম্মুখে আসিয়া ব্যাকুলভাবে মাতৃহৃদয়ের সমস্ত আশঙ্কার দ্বার খুলিয়া দিয়াছেন । এষ্ট সময়ে ভগ্নদূত আসিয়া বলিল “Persia's flower is fallen and gone.” দৈবের খেলায় পারসৗজাতির শ্রেষ্ঠরত্নসকল প্রাণ বিসর্জন করিয়াছেন, কেবল অভিযালের নেতা স্বয়ং পারস্তরাজ জেরাকৃসিস বিচ্ছেদের শেলে বিদ্ধ ও অপমানের মৰ্ম্মস্তদ যাতনায় নিষ্পিষ্ট হুইবার জন্তই যেন মৃত্যু অপেক্ষা শতগুণ হীনতর তুচ্ছ জীবন ধারণ করিয়া আছেন । এথেন্স নগরী এস্কাইলাসের জন্মভূমি, তিনি ভগ্নদূতের মুথে বলিতেছেন যে, এথেন্সের অধিবাসীরা আপন দেশের জন্ত রক্ত দিতে প্রস্তুত ছিল ; মানুষ যখন নিজ দেশকে পুত্ৰকলত্রের ক্রীড়াকানন বলিয়া, পিতৃপুরুষের সমাধিভূমি, ও উপাস্ত দেববিগ্রহের মন্দিরসম্বাকীর্ণ পুণাক্ষেত্র বলিয়া অন্তরে অন্তরে অকু ভব করে, তখন লোক আক্রমণের শত অত্যাচারেও স্বাধীনতা চারাষ্টতে পারে না । এই যুদ্ধের পরিণাম ফল বিস্তারিতভাবে জানিবার জন্য অতোস তখন ভগ্নহৃদয়ে স্বামীর সমাধিক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন। গবাদুগ্ধ, পুষ্পমধু, সদ্যজাত ঝরণার জল, দ্রাক্ষারস ও জলপাই তৈলের তর্পণে ও নানাবিধ সুগন্ধি পুষ্পমালা দানে ও নানাপ্রকার প্রেতআবাহন-মন্ত্রে মৃতস্বামী দরায়ুসের প্রেতাত্মাকে সমাধি হইতে ডাকিয়া তুলিলেন । দরায়ুসের ছায়ামূৰ্ত্তি আপন মহিষীকে ও সমবেত প্রধানগণকে আহবান কয়িয়া বলিলেন “The Country y দেশমাতা তাহার সন্তানের জন্ত লড়িতেছে, এক্ট অবস্থায় শত্রুসংখ্যা তিনগুণ হইলেও গ্রীসের কোনও অনিষ্ট হইবে না । জেরাকৃসিসের অবশিষ্ট সৈন্তগণ বিধ্বস্ত হইয়া যাইবে । কিছুদিনের পরে জেরাকৃসিস গৃহে ফিরিলেন, প্ল্যাটিয়ার রণক্ষেত্রে তাহার সৰ্ব্বস্বাস্ত কষ্টয়াছে । প্রেতাত্মার বাক্য সফল হইল । এস্কাইলাসের স্বদেশ ও স্বজনপ্রীতি এই নাটকের ছত্রে ছত্রে ব্যক্ত হইয়া উঠিয়াছে। সমালোচকের there fights for her sons” এস্কাইলাস JSS) ... / দেখাইয়াছেন সে, একমাত্র সেক্ষপিয়র ভিন্ন আঞ্জ পৰ্য্যস্ত কোনও লেখক আপন সময়ের ও দেশের. প্রতি এত মেহদৃষ্টি নিক্ষেপ করেন নাই। “এথেন্স" এই কথাটা লিখিতেই যেন এস্কাইলাসের লেখনী আননে নাচিয়া উঠিত । “সপ্তম” (Septent) তংপ্ৰণাত অাব একখানি, নাটক । কোনও দেশের স্বাধীনতা করণ করিবার জন্য উদ্যোগ ও আয়োজন যেমন পাপ, প্রয়োজন হষ্টলে ভ্রাতৃরক্তে মেদিনী প্লাবিত করিয়াও স্বাধীনতা রক্ষা করা তেমনি পুণ্যকৰ্ম্ম । থিবসের রাজপুত্র পোলানিস কনিষ্ঠভ্রাতা ঈতিওক্লিস্ কর্তৃক নির্বাসিত হইয়াছিলেন । পোলানিস সেই ব্যক্তিগত আক্রোশ নিৰ্ব্বাণের জন্ত দল বাধিয়া সপ্তরর্থীতে থিবসের সপ্তদ্বার আক্রমণ করিয়াছেন । সপ্তরর্থীর প্রত্যেকেই গ্ৰীসদেশের প্রথ্যাতনাম যোদ্ধা, প্রত্যেকের বীরত্বগাথায় সমস্তদেশ প্রতিধ্বনি । কিন্তু ক্যাড়মাস নগরের স্বাধীনতা তরণের জন্ত আজ সকলে পোলানিসের নেতৃত্বে । সমবেত, তাঙ্গাদের অনেকে রাজপরিবারের সঠিত বৈপাহিক সম্বন্ধে আবদ্ধ, নগরের স্বাধীনভাগৌরব অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্য র্তfতাদের প্রত্যেকেরই চেষ্টা করা উচিত ছিল ; কিন্তু তাছার আততায়ীর বেশে নগবের পুরোদ্ধারে উপস্থিত ইয়াছেন, সমস্তদেশ ব্যক্তিব্যস্ত হইয়াছে। ঈতিওক্লিস্ নগর রক্ষার সুবন্দোবস্ত করিয়া সপ্তমদ্বারে নিজে ভ্রাতার বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিলেন । দ্বিতীয় তরণীসেনের মত যেন তিনি বলিয়া উঠিলেন, “পিতা চেীন, ভ্রাতা হেীন, ইউন জননী । দেশের যে শত্রু তারে শক্র বলে গণি ॥” ভ্রাতৃস্নেহ স্বদেশরক্ষার চরণতলে চুর্ণ হইয়া গল । উভয় ভ্রাত! সংগ্রামক্ষেত্রে পরস্পর বিদ্ধ হইয়া জীবলীলা সমাপন করিলেন। কিন্তু থীবৃন্স স্বাধীন রহিল। দেশদ্রোচী পোলীনিসের মৃতদেহ শৃগাল কুকুর ভক্ষণ করিবে বলিয়া নগরের প্রধানগণ ঘোষণা করিলেন । কিন্তু যে পোলীনিস সাম্রাজ্যলাভের মদিরা পান করিয়া দেশের ও সমাজের, ভ্রাতার ও দেবতার অভিশাপ মস্তকে গ্রহণ করিয়াছিলেন, জীবনাস্তে ভগিনীর অশ্রুঞ্জলে ও স্নেহে তিনি যেন সকল জালা যন্ত্রণ হইতে বিমুক্ত হইয়া সহোদর আস্তিগোনির