পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খ্যা] সচ্চাষী জাতি (२) সচ্চাৰী জাতি হিন্দুসমাজের মধ্যে একটী বিশিষ্ট জাতি । ইহাদের প্রধান উপায় ও অবলম্বন চাষ ও ব্যবসায়। যাহার সকরে বাস করে বা ধনাঢ্য ও সভ্য তাহারা অধিকাংশই ব্যবসায় বাণিজ্য করে । অনেকে ইহার দ্বারা বেশ ধন বৃদ্ধি করিতেছেন । আর যাহারা গ্রামে বসবাস করে তাঙ্গার কৃষিকাৰ্য্য ও গোপালনের দ্বারা জীবিকানিৰ্ব্বাহ করে । খুব অল্পসংখ্যক লোক পাশ্চাত্য শিক্ষার দ্বারা আপনাদিগকে একটু সভ্যতায় উন্নত করিয়াছে। তাঙ্গাদের মধ্যে কেহ ডাক্তার, উকিল, প্রভৃতি হইয়াছে। আর যদিও এ জাতর ভিতর অধিক সংখ্যক বিদ্বান নাই তথাপি সাধারণের মধ্যে অনেকেই লিপিতে পড়িতে জানে এবং তাহাদের মধ্যে বেশীর ভাগ, বিশেষত যুবকেরা, শ্রমশিল্প— যথা স্বর্ণকারের কাজ, ঘড়ির কাজ, ফটোর কাজ, ছাপাখানার কাজ, চিত্রকলার কাজ, মিলের মিস্ত্রির কাজ প্রভৃতি— দ্বারা জীবিক উপার্জন করে । কিন্তু প্রধানতঃ এই জাতি চাষবাস করিয়া জীবিকানিৰ্ব্বাহ করে বলিয়া অতি শাস্তস্বভাব ও নিরীহ, এবং সভ্যতার আলোকে সহরে আসিতে চাহে না বলিয়া, এতদিন সমাজের এক কোণে পড়িয়া রহিয়াছে । সচ্চাষী জাতি যে কোন নিকৃষ্ট বা হেয় জাতি শুইতে উৎপন্ন নহে, ইহার প্রমাণের জন্ত বেশী পরিশ্রম করিতে হয় না । পুরাতন সেনসস তালিকা দেখিলে স্পষ্টষ্ট প্রতীয়মান হয় যে এই জাতির লোকের জাবিক অর্জনের প্রথম ও প্রধান উপায় কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য। রিজলি সাহেব মহোদয় তাহার জাতিবিভাগ পুস্তকে (Tribes and Castes of Bengal) fossatzgā— “७ई जांउिब्र aषांब नाम 'कांबांtषांबा' किरु कथाः 'क्रांशांप्थांबा' मप्ङ कांबौषय' जर्शीं९ षब जtर्ष पांभी, उरकई श्ल कोएबग्न भाजिक बां চাষীর শ্রেষ্ঠ-ইহার কখনও চাষীথোৰ। অর্থাৎ ধোবা চাষের কার্ষো ব্যাপৃত এরূপ লছে—এইষ্ট এ জাতির মত।“ এখন সচ্চাৰী গুলেও ঠিক ভাই, সৎ শব্দে শ্রেষ্ঠ বা স্বামী এবং চাষী অর্থেওঁ কৰিী,তবেষ্ট झझेण 5ाशैशव= সচ্চাৰী। এই কথায়েমৰ্থন জাময় অন্তত দেখিতে পাই । అనగి হুগলী জেলার আরামবাগ মহকুমায় ইহার চাষাপতি বলিয়া দলিলপত্রে উল্লিখিত হয় । ইহাতেও স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে কথাটা চাবাধোবা নহে, চাষীধব চাষীপতি। কলিকাতা, কুন্তলীন প্রেস হইতে মুদ্রিত ও শ্রীযুক্ত পীতাম্বর সরকার কর্তৃক রচিত “জাতি বিকাশ" পুস্তকের ২৮, ২৪৩, ২৫৬ পৃষ্ঠায় ইহার যথার্থতা প্রমাণিত হইয়াছে । আরও একটা প্রমাণ দিতেছি—যশোহর জেলায় এক্ট জাতীয় লোক ‘হলধর’ বলিয়া পরিচিত। হলধর অর্থেও কুষিজীবী । অতএব সচ্চাৰী, চাষীধৰ, চাষীপতি, হলধর প্রভৃতি কয়েকটা শব্দষ্ট কৃষিবাচক এবং এক জাতিরই স্থান বিশেষে নামান্তর বিশেষ। উক্ত পুস্তকের ২৯ পৃষ্ঠা দেখিলে ইহার সম্বন্ধে সন্দেহ ভঞ্জন হইবে । এখন কথা হইতে পারে যে এক জাতীয় লোকের এই বিভিন্ন নাম হইল কিরূপে । তাহার উত্তরে বক্তব্য এই যে, পূৰ্ব্বে জাতীয় নামটা ছিল চাষীধব অর্থাৎ চাষীর শ্রেষ্ঠ বা স্বামী ; কিন্তু ভারতে, বিশেষত বঙ্গদেশে, ক্রমশঃ যতই সংস্কৃত ভাষার ব্যবহার কমিয়া আসিতে লাগিল, ধব অর্থে যে স্বামী হয় এট লৌকিক ব্যবহার হইতে লোপ পাইল এবং উচ্চারণের দোষে ধব স্থানে ধোবা আসিয়া উপস্থিত হইল এবং চাষীধব চাষাধোবায় পরিণত হইল। কিন্তু বাঙ্গাল চলিত ভাষায় ধোবা অর্থে কোন মানেই যখন হয় না, তখন সাধারণে মনে করিয়া লইল এটা চাষীধোলা নহে চাষাধোপা । এখন এই “চাষাধোপা’ কথা চলিত কথায় প্রচলিত হওয়ায় লোকে বুঝিতে পারিল ইহার একটা অতি নিকৃষ্ট জাতি, ধোপার সম্পৰ্কীয় হইবে । এদিকে এই “চাষীধব’ জাতীয় লোক অতি শান্তিপ্রিয়, গ্রামবাসী, কৃষিজীবী ও লেখাপড়ার বিশেষ কোন সম্পর্ক না রাখায়, বিশেষ কিছুই আপত্তি করিল না এবং তখনকার দিনে তাহার। আইন আদালত জানিত না যে মানহানির নালিশ করিবে । ফলে কালক্রমে তাহারা লোকসমাজে চাষাধোপ নামে পরিচিত হইল। একে পাল্লীগ্রামবাসী তায় অশিক্ষিত ও নিরীহ, তাহারা কোন প্রতিকার করিতে না পারিয়া যে যেখানে ছিল ভাগ ভাগ হইয়া রহিল। কিছুকাল এইরূপে অতিবাহিত হইবার পর যে স্থানের লোক একটু সভ্য ও ধনবান চট্টল তাহার কৃষিবাচক শব্দে নিজেকে