পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ন, যেহেতু এই বালক দেবতার মানসপুত্র, ভূমি ইহাকে চাষবাস ও তৃণশস্তের ব্যবসায়ে নিযুক্ত কৱিৰে । রিজলী সাহেব বাহাদুরের যে এটা কল্পিত উপাখ্যান তা নয়, এইরূপ একটা প্রচলিত প্রবাদ ছিল তাহাঙ্গ তিনি পুস্তকে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। আমরা ডক্ত উপাখ্যানে এই পাই যে সচ্চাষীরা বা চাষীধব জাতি যদিও চাষাধোবা নামে ইংরাজরাজত্বের পূৰ্ব্বে প্রখ্যাত ছিল, তথাপি আচার ব্যবহারে তাহারা শুদ্ধ ছিল, নিকৃষ্ট কাৰ্য্য কখনও করিত না । সাধারণ লোকে ভাবিত যে ইহার যদি চাষাধোবা তবে ধোপার কার্য না করিয়া চাষের কার্য্যে সকলেই ব্যাপৃত কেন ? নিশ্চয়ই ইহার চাষা আর ধোপা এই দুইয়ের মিশ্রণ, কিন্তু ইহার বিশেষ কোন নিদর্শন যখন নাই তখন ঐরাপ একটা দেবোৎপত্তি দিলে কোনই বাধা হয় না। এইভাবে ঐ প্রবাদটী ক্রমশ শক্তিবিকাশ করিয়া থাকিবে। কিন্তু অন্ত্যদিকে এক্ট প্রবাদটী সত্য বলিয়া মানিয় লইলেও দেখা যায় যে চাষাধোবা ব্ৰহ্মার মানসপুত্র, তবে বাল্যে রজকপত্নীর গৃহে অবস্থিত ও প্রতিপালিত এবং ক্রমে কৃষি ও বাণিজ্যে ব্যাপৃত, অন্তথা বালে এরূপ রঞ্জকগুহে লালিত না হইলে দেবসস্তৃত বলিয়া বহু উচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত হইবার যোগ্য। কিন্তু যাহার উৎপত্তি সম্বন্ধে গাল নাই, সে নিম্নজাতির গৃহে প্রতিপালিত হইলেও, গছার জাতিধৰ্ম্ম লোপ পায় না, তাহার প্রমাণ আমাদের fন্দুশাস্ত্র । এইরূপে রিজলী সাছের মহোদয় খুব শ্রেষ্ঠ ইতিহাস প্রদান করা সত্ত্বেও শেষে ਜੋੜ মন্তব্য প্রকাশ করিয়া বলিতেছেন যে ইহার নি'ই ধোপা হইতে উখিত— ধোপা সভ্য ও শিক্ষিত হইল চাষাধোপা বলিয়া পরিচয় দেয় এবং আপনাদিগকে ক্ষজাতি ৰলিয় মনে করে। किरू उोंझे यप्ति जङj ল অব চাৰাধোপার সংখ্য দিন দিন হ্রাস হইতেছে কেনু - ১৮৭২ সনের নো,মােট སྨྲ་བས།། ছিল ৪৫,৬২৬

3 wwS * 導כ

సెa> কের সংখ্যা একলক্ষের উন্ন। যদি তাঙ্কার সভ্য বা শিক্ষিত সচ্চাষী জাতি AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASSS SAAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASبه حماعی-a^**a هرم -----

  • S

S AASAASAASAASAASAASSAAAAAAS AAAA S - হইয়া চাৰাধোপা জাতিতে উন্নীত ও গৃহিত হয়, তবে এ জাতির সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি না পাইয়া হ্রাস হইতেছে কেন? এ বৈষম্যের কারণ কি কেহ আমাদিগকে বুঝাইয়া দিতে পারেন ? আর এক কথা, এই জাতির নাম যাহা এক্ষণে সচাষী বলিয়া পরিগণিত হইবার প্রস্তাবনা, তাঙ্গ প্রায় সৰ্ব্বত্রই চাষাধোবা নামে প্রচলিত আছে, ক্রমে অবশু দুই এক স্থলে চাষাধোপ নামে প্রচলিত হইয়াছে । কলিকাতা সিমলা অঞ্চলের একটী রাস্তার নাম চাষাধোবাপাড়া ষ্ট্রট কিন্তু সেখানে চাষাধোপ। এ কথার ব্যবহার নাই । এথন ধোবা কথাটার মানে ধোপা কিনা তাহান্ত বিচাৰ্য্য। ২০ শত বৎসর পূৰ্ব্বে রায়গুণাকরের কালে “বিদ্যাম্বন্দর” গ্রস্তে দেখা যায়— যুগি চাৰাধোপা, চাধাকৈবৰ্ত্ত, অনেক । সেকরা, ছুতার, মুড়ী, ধোপ, জেলে, গুড়ী। পাঠক দেখিবেন প্রথম লাঙ্গনে চাষার পরে ধোবা অাছে, এবং পরের লাইনে ধোপা আছে । এষ্টট প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিতেছে, কেবল যে চাষাধোবা ধোপা হইতে পৃথক তা নয়, কিন্তু ধোবা কথাটাও ধোপা হইতে পৃথক। ঐ কথাটা যে চাষীধৰ কথারই অপভ্রংশ তাছাই প্রমাণ করিতেছে। এখন বেশ প্রতীয়মান হইল যে ধোপার সহিত এ চাষীধব জাতির কোন সম্পর্ক নাই—কি শাস্ত্রসঙ্গত কি অনুপাতগত-—যে কোন অনুসন্ধানে এ তত্ত্ব বুঝিতে পারা যায় । এখন কথাট এই যে লোকে যাঙ্গাকে চাষাধোপা বলে তাহারা সচ্চাষী হইবে কিরূপে এবং ইহারই বা প্রমাণ কি যে উভয় জাতি এক । ইহার উত্তরে আমাদের অধিক বলিবার নাই। যদি চাষাধোপা, কথাটা চাষীধব সাব্যস্ত হয় তাহ হইলে যখন দেখা যায় ধব মানে স্বামী, শ্রেষ্ঠ, সৎ, তখন চাষীর শ্রেষ্ঠ অর্থাৎ সৎ-চাষী নাম কখনও নাম সংস্কার ব্যতীত নব নামকরণ বা গ্ৰহণ নহে । অর্থাৎ চাষীধৰ নাম যখন উচ্চারণের দোষে ও পূৰ্ব্বোক্ত কারণনিচয়ের ফলে চাষাধোবায় পরিণত হইয়া এ জাতির একটী বিশেষ অথ্যাতির ও মর্য্যাদাহানির কারণ হইয়াছে এবং উচ্চজাতীয় সমাজবিশেষ ইংরাজি শিক্ষিত হষ্টলেও যখন সংস্কারবশে