পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা } AASAASAASAASAASAASAAAS ইভার কথায় তিনি নিজেকে একটু সংযত করিবার চেষ্ট করিয়া ধীরভাবে বলিলেন—“কিন্তু ইত আমি তো তোমাকে খুলে বলেচি!” —“বলেছ বটে !” —“আমার সে কথা অবিশ্বাস কর।” —“এইটুকু অবিশ্বাস করি যে—“ —“আমাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস কর ন৷ ” এই বলিয়া ফ্র্যাঙ্ক রাগে আত্মহারা হইয়া গর্জন করিয়া উঠিলেন । ইভা বলিলেন—“আমার কেবলই মনে হয় আমার কাছে কি একটা কথা তুমি গোপন করে রেখেছ!” —“গোপন ? কি গোপন করে রেখেছি ?” ইভার ঠোটের আগায় বাটির নামটা আসিয়াছিল, কিন্তু বলিতে গিয়া আটকাইয়া গেল, তিনি ইতস্তত করিতে লাগিলেন। বাটি যেন তাঙ্গকে কেমন মন্ত্রমুগ্ধ করিয়া রাথিয়াছিল ; সে মন্ত্রের প্রভাব দমন করিয়া স্বাধীন ইচ্ছায় কিছু করিতে পারেন এমন ক্ষমতা তাহার ছিল না । ফ্র্যাঙ্কের সমক্ষে যখনই তিনি বাটির নাম উল্লেখ করিতে যাইতেন তখনই কে যেন তাহার গলা চাপিয়া ধরিত—এমন কি আজকের এই সঙ্গীন অবস্থায়—বাটির নামটা করিলে যখন সমস্ত গোলমাল চুকিয়া যাইত তথনও তিনি সে নাম বলিতে পারিলেন না—এমনি বার্টির প্রভাব ! তিনি জড়িতকণ্ঠে কহিতে লাগিলেন—“আমি জানিনা—আমি ঠিক বুঝতে পারচিনা কি তুমি গোপন করচ, কিন্তু একটা কথা যে গোপন করচ তা আমার মন বলচে—হয়ত সে অভিনেত্রীরই কথা হবে।” -“কিন্তু আমি তো বলেছি যে সে—” —“না, না, আমায় বলতে দাও” বলিয়া ইভ চীৎকার করিয়া উঠিলেন। বলিলেন— “আমি জানি ওগো জানি—তোমরা পুরুষরা ওসবগুলোকে কিছু নয় বলে উড়িয়ে দাও ;–সে সব তোমাদের জীবনের অতীত রহস্ত –পৃথিবীমৃদ্ধ লোকের তা ঘটে বলে তাকে তোমরা স্বীকার কর না—কিন্তু আমরা রমণীরা যে তাকে অস্বীকার করতে পারি না। তাই তুমি যাকে কিছু নয় বলচ, আমি তাকেই একটা-কিছু ঠাউরে, ভাবচি তা তুমি গোপন করে রেখেছ।” সংকলন ও সমালোচন—ভাগ্যচক্র --“আমি শপথ করে বলচি—” —“আর তোমায় শপথ করতে হবে ন!—শপথ করে পাপের ভার কেন বাড়াচ্চো ।” বলিয়া ষ্টভা গৰ্জ্জিয়৷ উঠিলেন । তাহার মনের মধ্যে বিশ্বাস তখন দৃঢ় হইয় উঠিয়াছে —স্পষ্টভাবে কিছুষ্ট ধরিতে পারিতেছিলেন না বটে কিন্তু তবুও কোনো সংশয়কে তিনি মনের মধ্যে আমল দিতেছিলেন না, কারণ তর্কের মাথায় মন এমন চড়িয়া উঠিয়াছিল যে সে স্পষ্টতার কোনো আবশুকষ্ট স্বীকার করিতেছিল না । তাই ষ্টভ বলিতে লাগিলেন—“আর তোমায় শপথ করতে হবে না। আমি বেশ বুঝতে পারচি —আমার চারিদিকেষ্ট আমি সেটাকে অনুভব করচি ” এষ্ট কথা শুনিয়া ফ্রাঙ্ক রাগে থর থর করিয়া কঁাপিতে লাগিলেন—ক্রোধপূর্ণ দৃষ্টিতে ইভার পানে চাহিয়া রছিলেন। তার পর গম্ভীর কণ্ঠে বলিলেন—“তাচলে তুমি আমার কথা বিশ্বাস করচ না ?—আমায় তুমি অবিশ্বাস কর ।” ফ্র্যাঙ্কের কথার স্ববে যে একটা উদ্ধত রাগের ভাব প্রকাশ পাইতেছিল তাঙ্গাতে ইভা অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন। তিনি কাঠারো তিরস্কার সহ করিতে পারেন না । ফ্র্যাঙ্কও উত্তরোত্তর রাগিয়া উঠিতে লাগিলেন। মহা কাও বাধিয়া গেল ! এতদিন এষ্ট প্রণয়ীযুগল হৃদয়ের সেই ংশটা দিয়া পরম্পরে মিশিতেছিলেন যেখানে তাহাদের - ভাবের ঐক্য ছিল ; কিন্তু আজ, তাছাদের ভিতরে মে বৈষম্য আছে তাছা জাগ্রত হইয়া উঠিয়া দুজনের মধ্যে একটা সংঘর্ষ বাধাইয়া দিল,—প্রণয়ের বন্ধন টুটিয়া ফেলিবার পক্রম করিল ! ইভা ক্রোধকম্পিত কণ্ঠে কহিলেন—“স্থা—তোমায় অবিশ্বাস করি—এই স্পষ্টই বল্লম! তুমি আমার কাছে সে অভিনেত্রী সম্বন্ধে কোনো কথা নিশ্চয়ই গোপন করে রেখেছ ! এ আমি স্থির জেনেছি—আমার হৃদয় থেকে সে সন্দেহ উঠচে, আমি তা অবিশ্বাস করি না । নইলে সে কথা আমি ভুলতে পরিচিনা কেন ? তার সঙ্গে যদি তোমার কোনো, সম্বন্ধ নেই তবে আমার অন্তর থেকে সন্দেহ ওঠে কেন ? নিশ্চয় তুমি তার জন্যে আমার কাছে মিথ্যা বলচ, গোপন করচ, প্রবঞ্চনা করচ ।” ফ্র্যাঙ্ক নিজের ক্রোধকে আর কিছুতেই ধারণ করিয়া