পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ジと2 থাকিবার লোভে এই সব করিয়াছে ! ভালোবাস তাহার অটুট ছিল । দিবারা ত্র ফ্র্যাঙ্ককে এইরূপে দারুণ ভাবে দুঃখে অভিভূত দেখিয়া বার্টির প্রাণটা কাদিয়া উঠিত, কি করিয়া সাম্বন দিলে তাহার জন্ত ছটফট করিত—কতবার স্নেহের সহিত র্তাহার হাত দুপানি ধরিয়া বুঝাইতে যাইত, কিন্তু সাত্বনার কথা খুজিয়া পাষ্টত না । সে বলিত --“স্ত্রীজাতিটাই বড় সঙ্কীর্ণচিত্ত, তাদের মধ্যে এতটুকু ভালো নাই, তাদের না আছে সত্যকার প্রেম, না অাছে পবিত্র ভালোবাসা কেবল হাবভাব ছলাকলায় তারা মানুষের মন ভোলায়— হৃদয় তার নেয় না, সদয় তারা দেয় না – তারা একটা মস্ত প্ৰহেলিকার মতে, তাদের জন্যে জীবনটাকে ব্যর্থ করে ফেল পুরুষমাত্রেরই অনুচিত। তার চেয়ে দেখে বন্ধুত্ব কী মতান–রমণীর সাধ্য নেই সে মহত্ব বোঝে--বন্ধুত্বের মধ্যে যে কী হৃদয়ের মিলন, কী আনন্দ, কী সৌন্দর্য্য, কী মঙ্গল, কী পরিপূর্ণত রয়েছে তা কি তুমি বোঝ না ? কেন একটা তুচ্ছ রমণীর জন্য পাগল হচ্ছ।” কথাটা বলিয়া বাটি গৰ্ব্ব বোধ করিত --মনে করিত খুব একটা মহৎ আদর্শের কথা বলিয়াছে । কিন্তু ফ্রাঙ্ক ইভার প্রেমে এমনি তন্ময় হইয়া ছিলেন যে এ সকল স্তোক বাক্যের সার্থকতা তিনি খুজিয়া পাইতেন না, এ সকল কথা তাঙ্গর মনে এতটুকু সাম্বন দিত না । তাতার মনের শোচনীয়তা দিন দিন ঘনাইয়া উঠিয়া ঠাঙ্গাকে একেবাবে কাতর করিয়া ফেলিতেছিল । তিনি তখন স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া মনে মনে র্তাঙ্গাদের বিচ্ছেদসময়েৰ ঘটনাটার পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্য্যালোচনা করিতেন--- কেমন করিয়া ষ্টভার সঠিত র্তাহার বিচ্ছেদ হইল । তিনি কি বলিয়াছিলেন, আর ইভাই বা তাহার কি উত্তর দিয়াছিলেন ? যতই ভাবিয়া দেখিতে লাগিলেন ততই র্তাঙ্গার মনে হইতে লাগিল সমস্ত দোষ তাহার নিজেরষ্ট —ষ্টভাব সন্দেহের জন্ত তিনি তাঙ্গাকে কি না কুবাক্য বলিয়াছেন । র্তাহার সেই সৰ্ব্বনেশে রাগের জন্ত তাহার মন অত্যন্ত অমৃতপ্ত হইয়া উঠিল—পুরুষ হইয়া রমণীর প্রতি তিনি কি কুৎসিত দুৰ্ব্ব্যবহার করিয়াছেন–বিশেষত ८ग ब्रमी ॐाङांबहे हेछ ! ७थन कि झहेण ? ॐाशब প্রবাসী—কার্তিক, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড সচিত অনন্ত বিচ্ছেদ ! ও একথা মুখে আনিতে বুক ফাটিয়া যায় ! তাহার সহিত আর কখনো সাক্ষাৎ হইবে না, তাহার সহিত জীবনের আর কোনো সম্পর্ক থাকিবে না, এ কথা চিন্তা করিতেও যে হৃদয় শতধ চইয়া যায় ! সত্যই কি তাহাই হইবে । সত্যই কি সব শেষ—জন্মের মতো সব শেষ । না—না---না-কখনো না । তিনি প্রাণ থাকিতে তা কখনোই হইতে দিবেন না -দৈবদুৰ্ব্বিপাকের সহিত ংগ্রাম করিয়া তাহার জীবনের অপহৃত সুখশান্তি তিনি ফিরাইয়া আনিবেন । - আর সে ? সে কি করিতেছে ? সেও কি তাহারই মতো এমনি মনকষ্টে আছে ? সে কি এখনও তাঙ্গকে সন্দেহ করে ? সে সন্দেহ কি তাহার উন্মত্ত ক্রোধের তীব্র প্রতিবাদে দূর হইয়া যায় নাই ? যদি গিয়া থাকে তবে--- কিন্তু কেমন করিয়াই বা যাইবে ? হায় ! তাহা হইলে সে কি অননুমেয় যন্ত্রণাই ভোগ করিতেছে । সে তো তাঙ্গারই দোষ -কেন সে মিথ্যা সন্দেহ পোষণ করে, সে তাহার ভারি অন্যায় ! তাহার রাগ, সে তো হইবারই কথা, এমন কথা শুনিলে কার না রাগ চয়—র্তাঙ্কার দোষ কি ? সেও কি আমাকে এই রূপ নির্দেশষ মনে করিয়৷ অনুতপ্ত হইয়াছে ? না, আমার ব্যবহারে, আমার নিষ্ঠুরতায় মৰ্ম্মপীড়িত হইয়া জীবন্মত হইয়া আছে ? সে অপমান সে ভুলিতে পারিতেছে না ? তিনি কেমন আছেন, কি করিতেছেন, কি তাহার মনের ভাব তাহ জানিবার জন্য ফ্র্যাঙ্কের মনে ব্যাকুল বাসন জাগিতে লাগিল। তাহার মনে হইতে লাগিল এথনষ্ট গিয়া তিনি ইভার পায়ে ধরিয়া ক্ষমা ভিক্ষা করেন—তিনি যে প্রেমকে, স্বর্গের জীবনের ষে আনন্দকে নিদারুণভাবে প্রত্যাখ্যান করিয়া আসিয়াছেন আবার তাহ যাচিয়া আনেন। কিন্তু সে কি এত অপমানের পর আবার তাহাকে কাছে যাইতে দিবে —তিনিষ্ট বা কেমন করিয়া মুখ দেখাইবেন । তবে একথান চিঠি লিখিলে চয় না ! কথাটা মনে পড়াতে ফ্র্যাঙ্কের হৃদয় আনন্দে নৃত্য করিতে লাগিল। সে কী আনন্দ ] পত্রের মধ্যে লেখা তাহার ক্ষমা-ভিক্ষার কাতরধ্বনি যখন ইভার হৃদয়-ফুয়ারে কাদিয়া কাদিয়া ফিরিবে