পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা } যাইতে পারে যে, সাবধানতা অবলম্বন করিলে আমরা একশত বৎসরের অনেক অধিক কাল বঁাচিতে পারি। কিন্তু কয়জন শত বৎসর পর্য্যন্তও বঁাচে ? কেন এত অকালমৃত্যু ঘটে । দার্শনিক পণ্ডিত হইতে আরম্ভ করিয়া সকল শ্রেণীর বৈজ্ঞানিকই বহুদিন হইতে এই প্রশ্নটির * উত্তরের অভাব বোধ করিয়া আসিতেছেন । অনেকে বলেন, অকালমৃত্যুর প্রধান কারণই মৃত্যুভয়। মানুষ একটা বিশেষ বয়সে উপস্থিত হইলে কিম্ব একটী বিশেষ মানসিক অবস্থা লাভ করিলে স্বতঃই মৃত্যুর কথা চিন্তা করিতে আরম্ভ করে। তখন হইতেই সে এই কথাটায় বিশ্বাস স্থাপন করিয়া বসে যে, সে ভবসমুদ্রের কিনারায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে, শীঘ্রই তাতাকে পাড়ি দেওয়া শেষ করিতে হইবে । এই সময় হইতেই সে আপনার চারিদিকে একটা বিকট মৃত্যুরাজ্য কল্পনা করিয়া লইয়া চিত্তের বল হারাষ্টয়া ফেলে। অনেকে এই মৃত্যুভয়ের সছিত সংগ্রাম ও যে না করে তাহা নঙ্গে কিন্তু এ সংগ্রামে জয় লাভ করে অতি অল্প লোকেই । যে সকল ব্যক্তি এইরূপ মানসিক অবস্থা লাভ করে তাহারা কেবলষ্ট মৃত্যুর কথা মনে মনে তোলাপাড়া করে ও মৃত্যুভয়ে অতি ভীত হইয়া শেষে মৃত্যুর দিকেই দ্রুত অগ্রসর হয় । ভীতি তাঙ্কাদের আস্থার ও পরিপাকশক্তি কমাইয় দেয় । তাহদের স্নায়বিক বল কমিয়া যায় এবং বাহির হইতে তাঙ্গদের যত বলই পাওয়ার সম্ভাবনা থাকুক না কেন কোনো কিছুষ্ট কাজে আসে না । ৭• বৎসর বয়সের কোনো লোকের মনে যদি কেহ এই ধারণাটি জন্মাইয়া দিতে পারে যে, সে আজো বৃদ্ধ হয় নাই, তাহা হইলে সে ব্যক্তির আরো ৭ বৎসর বাচিবার সম্ভাবনা জন্মিবে। যুদ্ধে যাহারা সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক ভীত হয় তাহারাষ্ট সৰ্ব্বাগ্রে মৃত্যুমুখে পতিত হয় । তাহার এই মৃত্যুর কথাই ভাবে, স্বপ্ন দেখে, যেন তাহাকেই খুঞ্জিয় বেড়ায়, এবং মৃত্যু তাহাদিগকেই সৰ্ব্বাগ্রে গ্রহণ করিয়া তাঙ্কাদের প্রতি যথেষ্ট কৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়া থাকে। যুদ্ধে মৃত সৈন্তদের মুখে যে একটা ভীতির চিহ্ন দেখা যায় এই মৃত্যুভীতিই হয়তো তাহার কারণ । সংকলন ও সমালোচন—বাৰ্দ্ধক্যের চিকিৎসা \లసి শতাতীতজীবী কিম্ব র্যাহার শত বর্ষের কাছাকাছি বাচিয়াছেন তাহাদের সম্বন্ধে খবর লইলে, তাহার জীবনের শেষটাকে কি এক উপেক্ষার চক্ষে দেখিয়াছেন তাহা লক্ষ্য করিয়া বিস্মিত হইতে হয়। একজন শতাতীতজীবী, তিনি মৃত্যুকে ভয় করেন কিনা জিজ্ঞাসা করায়, উত্তর দিয়াছিলেন— “আমি শত বৎসর বয়সে মৃত্যুকে যেরূপ ভয় করিতাম বাট বৎসর বয়সেও সেইরূপই করিতাম ; এবং বাট বৎসর বয়সে আমার যতটুকু মৃত্যুভর ছিল, ২০ বৎসর বয়সে, যৌবনকালেও ততটুকুই ছিল, আমি ८कांश्न निनड़े भ्रष्ट्रारक छग्न रुब्रि नाई। खाभि मकल मभtब्रहे म९छोरब জীবন কাটাইতে চেষ্টা করিরছি এবং সকল সময়েই হৃদয়ে এই জাশী পোষণ করিয়াছি যে মৃত্যু যথাসময়েই উপস্থিত হইবে এবং সে আমার নিকট কষ্টদায়কভাবে আসিবে না।” মৃত্যুর প্রতি উপেক্ষা দীর্ঘায়ুলাভের একটা উপায়। যাহার কর্তব্যপরায়ণ শ্লষ্টয়া জীবন যাপন করেন এবং অকারণ মৃত্যুচিন্তায় অভিভূত হইয়৷ আয়ুক্ষয় না করেন, র্তাহাদের দীর্ঘায় লাভের সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমাণেষ্ট আছে। শুনিতে পাই, পুরাকালের লোকের চিরযৌবনের উপায় খুজিয়া বেড়াষ্টত। এমন কোনো একটা পদার্থ তাঙ্গরা খুজিত যাঙ্গ ব্যবহার করিলেই আর যৌবন হারাষ্টবার ভয় থাকে না । বৈজ্ঞানিকের অবশু এরূপ চেষ্টায় শক্তিক্ষয় করিবার পাত্র নহেন। তাহারা বাৰ্দ্ধক্যের কারণগুলি অনুসন্ধান করিয়া জানিয়া লইয়া এই সিদ্ধান্তে । আসিয়া দাড়াইয়াছেন যে বাৰ্দ্ধক্যকে লোকে যতটা ভয় করে উক্ত বাৰ্দ্ধক্য যে অবশুম্ভাবী তাহ সত্য, কিন্তু তাহার আগমনকে পিছাইয়া দেওয়া যাক্টতে পারে । কথাটিকে আরো স্পষ্টভাবে হৃদয়ঙ্গম করিবার জন্য বিষয়টিকে লইয়া আরো একটুকু বিশদভাবে আলোচনা করা যাউক । আমাদের রক্তে লোহিতবর্ণের অতি সূক্ষ্ম গোলাকার এক প্রকার পদার্থ বর্তমান আছে, তাছাই রক্তকে লাল করিয়াছে এবং তাছাই আমাদের শরীরের পেশীসমূহের অভ্যন্তরে নিশ্বাস দ্বারা গৃহীত বায়ু হইতে অম্লজান নামক গ্যাস বহন করিয়া লক্টয়া গিয়া পেশীগুলিকে সজীব রাখে । ইছা ভিন্ন বাছির হইতে আহার ও নিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের শরীরের মধ্যে যে সকল বিষাক্ত বীজাণু প্রবেশ করে ততটা ভয়ের কারণ নহে ।