পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক छौचन्मांझन्म x)سty গুঞ্জমপুপরঞ্জিত অঙ্গবাসে চন্দনলিপ্ত বক্ষ ঢাকিয় তাহার পুস্থ দিয়া চঞ্চল পদে চলিয়া যাইবে, কণ্ঠে নবকর্ণিকার মালা, কেশে নবমল্লিকার হার দুলিবে, মুখমণ্ডল লোপ্ররেণু-মাথা । অর্থব, এ বুঝি হারুন অল-রশিদের বোগদাদের বক্র সঙ্কীর্ণ ষড়যন্ত্রসস্কুল পথ, পথপাশ্বের কোন রহস্যাবৃত প্রাসাদের গোিপনদ্বার খুলিয়া সুন্দরী শাহারজাদী তাহাকে উপন্যাস শেনাক্টতে আহবান করিবে, জাফরান-রঙের পায়জামা-পরা কয়ী খোজার উন্মুক্ত তরবারি অন্ধকারে ঝিকিমিকি পরিবে । স্বপ্নাবিষ্টের মত ঘুরিতে ঘুরিতে অরুণ কোন রাত্রিতে অজয়দের বাড়ির নিকট আসিয়া চমকিয়া ওঠে, কোন রাত ৭ জয়ন্থকে ডাকিয়া বাহির করে, দুই জনে নিরুদ্দেশ হাটিতে ঠাটিতে গঙ্গার তীর পর্য্যন্ত চলিয়া যায়। নিস্তরঙ্গ নদীজলে নৌকাগুলি, জাহাজগুলি যেন সমূদ্রগামী বিহঙ্গের দল ডানা মুডিয়া নিদ্রিত, জলস্থলে শুভ্ৰ গভীর শান্তি । যৌবনবেদনাস্পদিত অন্তরে অরুণ এ গভীর শাস্তি অনুভব করে, অতলস্পর্শ আনন্দ । ফিরিবার সময় জয়ন্ত জোরে চলিতে পারে না, ফিটন-গাড়ী ভাড়া করিয়া বাড়ি ফিরিতে হয়। কোন রাত সে লিভিংষ্টোনের জীবনী, নেপোলিয়ানের জীবনী বা ইনসারফ ও এলেনার করুণ প্রেমকাহিনী পাঠে iনমগ্ন হইয়া যায়। রাত্রে সকাল-সকাল বাড়ি ফিরিলে, শিবপ্রসাদ অরুণকে গল্প করিতে ডাকেন। আইয়োনিক থামওয়ালা আলোছায়াময় প্রশস্ত বারান্দায় বসিয়া গভীর রাত্রি পর্য্যন্ত গল্প হয় । কি পড়ছিস্ খোক, ‘ডাওডেনের শেলী', বইখানা &মার ভাল লাগে না । শেলীর ঠিক বিচার হয় নি। --কিন্তু অক্সফোর্ডে তোমরা তার যা বিচার করেছিলে! –শেলী অক্সফোর্ডে ছিলেন, ঠিক, ইউনিভারসিটি *:জে, পাগল শেলী ! পাগল বইকি ! অত বড় কবিকে কলেজ থেকে ২. য়ে দিলে ! —আরে তখন কে জানত ওই পাগল অত বড় fব হবে । --ওই ত, যৌবনকে তোমরা সম্মান কর না। আচ্ছ, তিধির কোন কলেজ ছিল কাক ? —বেলিয়ল। তোরা শুধু বই পড়েই মরিস, ইউনিভারসিটিজীবনের আনন্দের স্বাদ পেলি না । শিবপ্রসাদের চক্ষের সম্মুখে ভাসিয়া উঠিল, বেলিয়লের তোরণ-দ্বার, বুরুজ, গীর্জার চূড়া। যৌবনের অক্সফোর্ড, স্বপ্নের মত মনে হয় । --আমার ভারি ইচ্ছে করে কাক, অক্সফোর্ড বা কেস্কিজে গিয়ে পড়ি। দ্বিজেন কেম্বিজে ভৰ্ত্তি হয়েছে। —এখানকার পড়া আগে শেষ কর । আমার মোটেই ইচ্ছে নয় তুমি ইংলণ্ডে যাও । --কেন কাক ? -ইউরোপ যেন মোহিনীর মত সবাইকে ডাকে, তুমিও একদিন যাবে জানি । শোন, অক্সফোর্ডের গল্প বলি। অক্সফোর্ড! কত স্বপ্ন কত স্থতি ! ত্রয়োদশ চতুর্দশ শতাব্দীতে স্থাপিত প্রাচীন কলেজগুলি স্বন্দর প্রাচীন, গীর্জাগৃহ, তোরণ, কলেজ-হল ! ক্ষুদ্র নদী আঁকিয়া-বাকিয় গিয়াছে, এদেশ ও নদীকে খাল বলিবে, ওই ছোট নদীতে নৌকা বাহিবার কি ধুম ! সেন্ট মেরী দি ভার্জিন গীর্জার চূড়াটি বড় স্বন্দর, শীতের প্রভাতে কুয়াসার মধ্যে পাথরের গীর্জা স্বপ্নের মত দেখায়। সন্ধ্যায়ু হাই ষ্ট্রীট ! অক্সফোর্ডের গল্প বলিতে শিবপ্রসাদ মাতিয়া ওঠেন । ঘড়িতে বারটা বাজে, অরুণ গুইতে চলিয়া যায়। শিবপ্রসাদের ঘুম আসে না । ষ্টেল ছিল তাহার সহপাঠী বন্ধু মরিসের ভগ্নী। অক্সফোর্ড ‘এইট উয়িক্স’ (Eight Weeks)-এর উৎসবে তাহাদের প্রথম দেখা হইয়াছিল। সকলে তাহার ঘরে লাঞ্চ খাইয়াছিল। সে যেন কোন পূৰ্ব্বজন্মের স্মৃতি। তখন কত উদ্যম, কত আশা, কত প্রেমস্বপ্ন। জীবন যে এরূপভাবে ব্যর্থ তুচ্ছ হইবে, কে ভাবিয়াছিল ! ૨8 সৰ্ব্বক্ষণ কল্পলোকে বাস করা চলে না । দুঃথ নানা সমস্যা রহিয়াছে। পূজার ছুটি শেষ হয়-হয় । শেষরাতে প্রতিমা আসিয়া অরুণকে ঠেলিয়া জাগাইল । —দাদা, দাদা, শীগগীর ওঠ । সংসারে রোগ