পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারীর অধিকার ঐনিরুপম দেবী হে নারী কি চাহ তুমি ? কোন অধিকার জগতের দরবারে ? পুরুষের কোন সাধনার যজ্ঞে তুমি করিয়াছ দাবি ? জানকক্ষ উন্মোচিতে তুমি চাহ কোন গুপ্ত চাবি ? মুক্ত সভাতলে তুমি পাতিবারে চাহ যে তব আসন, বিশ্বের প্রবাহ যেথা চলে, যেথা চলে রাজ্য ভাঙা-গড়া অধিকারে অধিকারে ঠেলাঠেলি ঠোকাঠুকি কত ওঠা-পড়া সেথা তুমি নিতে চাও যে আপন স্থান আমি নারী চিনি তারে আমি তারে করেছি সম্মান ! তবু মনে আজ লয় বাহিরের দাবি লয়ে যুঝিবার আসে নাই এখনও সময় ! হায় আজও অস্তরের মাঝে ভিতরের দাবি কাদে নতশির লাজে । যে দাবি যে অধিকার জনম লভিল এই জীবনে আমার যার লাগি লাঞ্ছনা সহি নি কন্তু, অপমানভাগী করিবারে পারে নাই কেহ দিল যাহা নারী-দেহ দিল নারী-মন আপনি যা নারী-মনে পাতিল আসন ! যে দাবিতে নারী নারী হয় সে দাবির যে গৌরব সে ত ছোট নয় ! নারীর যে অধিকার মাধুধ্যে সৌন্দধ্যে রসে জীবনেরে পূর্ণ করিবার কল্যাণীর দুটি শুভ কর প্রেমের চন্দন দিয়ে ব্যথার উপর যে প্রলেপ দিতে পারে তারে একেবারে ক'রো না করে। না অস্বীকার ! কল্যাণ-প্রতীক তুমি তোমার যে প্রাণের প্রসার তোমার ধে শান্ত শুভজ্ঞান সৌন্দর্য্যের রসধ্যান, বাহা তুচ্ছ অকিঞ্চিংকর মায়ারূপে পার তাহা করিবারে অপূৰ্ব্ব স্বন্দর এরে তুমি করিও স্বীকার এ মহা সাধনক্ষেত্রে আছে তব পূর্ণ অধিকার ! মানবজীবন-রণে যারা লয় স্থান সেই সব মানবের বীরের সস্তান গড়িবার আছে তব স্বত্ব অধিকার বিন্দু বিন্দু মৃধা দিয়ে সত্য দিয়ে তারে মানুষের সৰ্ব্ব গুণে সৰ্ব্ব তেজ ভারে সৰ্ব্ব শুভ জ্ঞানে বলে সৰ্ব্ব শুভ বুদ্ধি ঢালি হৃদয়ের তলে মানুষ করিয়া তোলা হে জননী সে তোমার কাজ স্বীকার করিতে তাহ কেন এত লাজ ? জীবনের রঙ্গভূমে ফুটিয়া উঠিছে যাহা বিচিত্র কুস্থমে তারি পরিকল্পনায় একাস্তে বসিয়া ঐ যবনিকা-পারে নিরালায় চুপে চুপে আঁকিবার আছে তব বিধাতার হাতে পাওয়া পুণ্য অধিকার : তুমি কি বুঝেছ মনে এরে তুমি কৰ্ম্মের সাধনে জীবনে দিয়াছ নারী পরিপূর্ণ স্থান বাহিরে খুজিয়া তাই ফিরিছ সম্মান ? পুরুষের অধিকারে অধিকার চাও আগে তুমি দাও জগতের দাবি যাহা আছে তব পরে আগে তুমি নারী হও মাত হও অস্তরে অস্তরে আপনি দেখিবে যত তুচ্ছ অধিকার মন্ত্রবলে অবনত চরণে তোমার ।