পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BBD BBBB BBBDSBB BBBBB BBBBB BBBBB BBBB BBBB Bee এক লক্ষ টাকা এই প্রকার কাজের জন্য দিয়া যান। কিন্তু র্তাহার অছিরা এই টাকা না দিবার চেষ্টাই করিতেছেন। কংগ্রেস যদিও ভারতবর্ষের বৃহত্তম প্রতিনিধিসমষ্টি, তথাপি অনুরুদ্ধ হইয়াও ইহা এ বিষয়ে কিছু করিতে পারেন নাই বা করেন নাই । এ অবস্থায় জেনিভায় ও সুইটজাল্যাণ্ডের অন্যত্র এবং অন্য সব সভ্য দেশে সবু সামুয়েল হোরের অসত্য কথার প্রচার হইবা মাত্র তথাকার বেসরকারী ভারতীয়দের তাহার প্রতিবাদ করা অবগুকৰ্ত্তব্য। সংবাদপত্রে লিখিয়া বা প্রকাশ্য সভায় মৌখিক ইহার প্রতিবাদ হইতে পারে । সর সামুয়েল হোরের স্বজাতিশ্নাঘা কেন ভিত্তিহীন নূতন ভারতশাসন আইন দ্বারা ভারতবর্ষকে স্বশাসনঅধিকার দেওয়া হইয়াছে বা ঐ অধিকার আগে হইতে কিছু থাকিলে তাহা বিস্তৃততর করা হইয়াছে, এরূপ কথা যে অসত্য, তাই এদেশে সংবাদপত্রের পাঠকদের নিকট নূতন নত্বে । কারণ, যত দিন ধরিয়া বিলাতী পালেমেণ্টে এই আইনের খসড়ার আলোচনা হইতেছিল, তত দিন বার-বার খবরের কাগজে দেখান হইয়াছে, যে, আইনটার ধারাগুলার দ্বারা স্বশাসন-অধিকার প্রদত্ত বা বিস্তৃততর হইতেছে না। তথাপি, এখন সমগ্র আইনটা দেখিয় তাহার সম্বন্ধে একটা ধারণা করিবার সময় আসিয়াছে। উহা গত ৯ই সেপ্টেম্বরের গেজেট অব ইণ্ডিয়ার সঙ্গে প্রচারিত হইয়াছে, তা ছাড়া এক টাকা মূল্যে পুস্তকের দোকানে উহা কিনিতেও পাওয়া যায়। র্যাহারা ইংরেজী বুঝেন তাহদের বহিখানা পড়িয়া দেখা উচিত। সবু সামুয়েল আইনটাকে “গ্রেট” বলিয়াছেন । এই ইংরেজী শব্দের মানে মহৎ বা বৃহৎ দুই-ই হইতে পারে। ইহা বৃহৎ, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। অন্য কোন লশের এত বড় কন্সটিটিউশুন আইন বা মূল শাসনবিধি "Constitution Act" ) আছে বলিয়া আমরা অবগত : ইহার ধারার সংখ্যা ৪৭৮ । তাহার অনেকগুলার উগরা ও প্রধারা আছে। তাহার পর আছে ষোলটা তপশীল। তপসীলগুলা ছাপিতে ১৩১ পৃষ্ঠা লাগিয়াছে। এই আইনটা এত বড় কেন হইল ? তাহার কারণ আমরা বুঝিয়াছিলাম, এবং বিলাতী যে-সব পালেমেণ্ট-সভ্য তথাকার গবন্মে’ণ্টপক্ষীয় নহেন তাহারাও বলিয়াছিলেন । ভারতবর্ষকে স্বশাসনক্ষমতা দেওয়া ইহার উদ্দেশ্য হইলে তদনুরূপ আইন অল্প কয়েকটি ধারায় অল্প কথায় বিধিবদ্ধ হইতে পারিত। ভারতবর্ষ স্বশাসনক্ষমতা পাইবে না ইহ স্পষ্ট ভাষায় জানান অভিপ্রেত হইলে তাহাও অল্প কথায় বলা যাইতে পারিত। কিন্তু বাস্তবিক স্বশাসনাধিকার দেওয়া হইতেছে না, অথচ বিলাতী দাতারা মনে করেন বা অন্য সকলকে বুঝাইতে চান, যে, মস্ত একটা চীজ দেওয়া হইতেছে, এই জন্য বহু বাক্যের ব্যয় আবশ্বক হইয়াছে। সেই কারণে ইহা জটিলও ইয়াছে। অতএব ইহা যে একটা বৃহৎ আইন তাহা ভারতীয়েরাও স্বীকার করে । কিন্তু ভারতীয়েরা ইহাকে মহৎ বলিতে পারে না। যদি অন্তকে বঞ্চিত করিয়া নিজের স্বার্থসিদ্ধির উপায়কে “মহৎ" বলা ইংরেজী অভিধান-সন্মত হয়, তাহা হইলে ইংরেজরা ইহাকে মহৎ বলিতে পারে । স্বশাসনের অধিকার কোন দেশকে সম্পূর্ণ দেওয়া হইয়াছে প্রমাণ করিতে হইলে দেখাইতে হইবে, যে, সেই দেশের স্থায়ী বাসিন্দা জনগণ, জনপ্রতিনিধিগণ, কোন একটা শ্রেণী বা সম্প্রদায়ের লোক, কিংবা অন্ততঃ এক জন মানুষ সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রভুত্বের অধিকারী হইয়াছে। ভারতবর্ষে সেরূপ কিছু ঘটে নাই। যদি প্রমাণ করিতে হয়, যে, কোন দেশ আংশিক স্বায়ত্তশাসন পাইয়াছে, তাহা হইলে দেখাইতে হইবে, যে, অন্ততঃ একটি কোন বিভাগে বা বিষয়ে সেই দেশের লোকেরা, প্রতিনিধিরা বা অন্ততঃ এক জন কেহ চুড়ান্ত ক্ষমতা পাইয়াছে। ১৯৩৫ সালের নূতন ভারতশাসন আইন সেরূপ কোন অবস্থার স্বষ্টি করে নাই। সকল বিভাগেই গবর্ণর, গবর্ণর-জেনার্যাল, ভারতসচিব, ব্রিটিশ পালেমেণ্ট, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাট প্রভু। যদি প্রমাণ করিতে হয়, যে, ভারতবর্ষে স্বায়ত্তশাসন নূতন আইনের ফলে বিস্তার লাভ করিবে, তাহ হইলে দেখাইতে হইবে, আগে যে-যে বিষয়ে বা যে-বিষয়ে দেশের লোকদের বা দেশের কাহারও চূড়ান্ত ক্ষমতা ছিল, এখন তাহা অপেক্ষ অধিক বিষয়ে তাহাদের চূড়ান্ত ক্ষমতা ঘটিবে। কিন্তু নূতন আইন সেরূপ কোন পরিবর্তন সাধন করে নাই। সত্য বটে, এখন কয়েকটা বিভাগের পরিবর্তে সব বিভাগ মন্ত্রীদের হাতে “হস্তান্তরিত” হুইবে । কিন্তু তাহ নামে মাত্র। র্তাহার