পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক ৰিৰিখ প্রসঙ্গ—ভারতে ভারতীয়দের স্বাধিকার স্থাপনে ৰাধা করিবে, ইহা ইউরোপীয়দের অভিপ্রায়বিরুদ্ধ ও কল্পনার অতীত । * এই জন্ত সবু সামুয়েল বলিয়াছেন, যে, ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যাধিকারীরা সব কাচা মাল এক গ্রাস করিবে, অন্য ইউরোপীয়েরা তাহ পাইবে না—এরূপ আশঙ্কা অস্বাভাবিক নহে। তাহার কিংবা অন্ত ইউরোপীয় রাজনীতিজ্ঞদের একথা মনে উদিত হয় না, যে, ইউরোপীয়রা যে-সব দেশ দখল করিয়াছে, তথাকার আদি অধিবাসীরা এখন বা ভবিষ্যতে নিজেরাই সব কাচা মাল কারখানাপণ্যে পরিণত করিতে চায়। ইউরোপীয়ের অশ্বেত জাতিদিগকে বলিতে পারে, “তোমরা ত তোমাদের খনির তেল, কয়লা, লোহা, তাম ইত্যাদি কাজে লাগাইতে পারিতেছ না ; মৃতরাং আমাদিগকেই ব্যবহার করিতে দাও —অবশু, রাজী না হও, ত, ছলে-বলেকৌশলে ব্যবহার করিবই।” অশ্বেতরা বলিতে পারে, “তাহা হইলে কি যাহার যে-দেশে জন্মিয়াছে সে-দেশে তাহাদের কোনই স্বাভাবিক অধিকার নাই ? যদি না-থাকে তাহা হইলে ইউরোপের এক দেশ প্রবলতর হইলে দুর্বলতর অন্য দেশকেও ত তাহার স্বাভাবিক সম্পত্তি হইতে বেদখল করিতে পারে—যেমন ফ্রান্স বহু বৎসর জামেনীকে করিয়াছিল, জামেনী বেলজিয়ামকে বেদখল করিতে চাহিয়াছিল, কারণ ইউরোপেরও কোন দেশেরই লোকেরা বলিতে পারে না, যে, তাহার স্বদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সম্পূর্ণ ব্যবহার এপর্ষ্যস্ত করিয়াছে বা এখন করিতেছে।” বস্তুত, “জোর ধার মুলুক তার,” বাক্যটা শ্বেত অশ্বেত অখ্ৰীষ্টীয়ান নির্বিশেষে সকলের প্রতি প্রযুক্ত হইতে পারে। ইউরোপীয় খ্ৰীষ্টীয়ানরা জানিয়া রাখুন, জাপানীরা সেইরূপ প্রয়োগের জন্য কতকটা প্রস্তুত হইয়াছে এবং আরও প্রস্তুত হইতেছে। ভারতে ভারতীয়দের স্বাধিকার স্থাপনে বাধা ভারতবর্ষে রাষ্ট্রীয় সমুদয় ব্যাপারে ও বিভাগে, কারখানশিল্পে, ফুটরশিল্পে, কৃষিতে, বাণিজ্যে, যানবাহনে স্বভাবতঃ

  • “There is no time in the future to which we Call look forward where India will be producinę the

Hugh Molson, M. P., in The Asiatic Review for July, 1935, oher grades of manufactured, goods.”—Mr. p. 458 ליצ $Nరిగి ও স্বায়ত ভারতীয়দেরই সম্পূর্ণ অধিকার। এখন অনেক দিকে ও অনেক বিষয়ে অন্যেরা তাহাঁদের স্থানে আপনাদিগকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে। ভারতীয়দিগকে সৰ্ব্বত্র সকল বিষয়ে স্বাধিকার স্থাপন করিতে হইবে । বৰ্ত্তমান ১৯৩৫ সালের ভারতশাসন আইন যেমন রাষ্ট্রীয় বিষয়সমূহে ভারতীয়দের স্থায্য অধিকার স্বীকার করে নাই, মৃদূর ভবিষ্যতেও স্বরাজস্থাপনের কোন আশা বা আভাস দেয় নাই, তেমনি বাণিজ্যিক আদি আর্থিক সব বিষয়েও ভারতবর্ষে ভারতীয় ও ব্রিটেনদিগকে সমান অধিকার দিবার অছিলায় ভারতীয়দের ন্যায্য স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাধা জন্মাইয়াছে। এই বাধাগুলা আইনটার ১১১ হইতে ১২১ ধারায় বর্ণিত আছে। অন্ত সব দেশের স্থায়ী বাসিন্দার স্বদেশে বিদেশীদের তুলনায় স্বভাবতই কিছু বেশী স্ববিধা পাইয়া থাকে, এবং তাহা স্থায্য— যদিও তথায় বিদেশীরা তাহাদিগকে স্থানচ্যুত না-করিয়া থাকিতে পারে এবং বস্তুতঃ অধিকাংশ স্থলেই করে নাই। কিন্তু ভারতবর্ষে ভারতীয়ের ব্রিটনদের দ্বারা নানা দিকে স্থানচ্যুত হইয়া থাকিলেও, এদেশে ব্রিটন ও ভারতীকে সমান স্ববিধা দিতে হইবে না দিলে তাহ হইবে “ডিসক্রিমিনেশুন”। এবং এ রকম “ডিসক্রিমিনেশুনে”র বিরুদ্ধে মানুষের বুদ্ধিতে যত রকম ফন্দী আসে, আইনে তাহ অবলম্বিত হইয়াছে ॥e ভারতবর্ষে সব বিষয়ে ব্রিটন ও ভারতীয়দিগকে নামতঃ সমান করিবার ন্যায্যতা কি জানেন ? শুহন— “There is no legal or administrative discrimination of that kind against Indians, in this country.”— Mr. Hugh Molson in The Asiatic Review for July 1935, p. 457. অর্থাৎ “এদেশে (বিলাতে ) আইনে বা শাসকদের ব্যবহারে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে ওরূপ কোন ডিসক্রিমিনেছন নাই ।” ইংরেজরা স্বদেশে সব রাষ্ট্রীয় এবং বাণিজ্যিক ও অন্তবিধ আর্থিক ব্যাপারে স্বাধিকারে প্রতিষ্ঠিত আছেন। ভারতীয়েরা

  • “Under the Bill there are as full and complete prohibitions of discrimination as the ingenuity of the Parliamentary draftsmen, prompted by the ater ingenuity of the European community's legal advisers, has been able to devise,........ ”—Mr. Hugh Molson, M.P., in The Asiatic Review for July, 1935.

তাৎপৰ্য্য। “পালেমেন্টের আইন-মূসাবিদাকারীদের চাতুরী ভারতপ্রবাসী ইউরোপীয়দের আইনবিষয়ক পরামর্শদাতাদের তীক্ষত্তর চাতুরীর প্রেরণায় ডিসক্রিমিনেশুনের বিরুদ্ধে যত প্রকার সম্পূর্ণনিৰেব্যবস্থার উদ্ভাবন করিতে পারিয়াছে, (এক্ষণে আইনে পরিণত ) ভারতশাসন বিলে তাঙ্ক আছে।”