$80 প্রবাসী SNరి8R পড়িলে ও সেই সম্প্রদায় ইচ্ছা জানাইলে, তাহার ব্যয়ে (সরকারী ব্যয়ে নহে ) তাহার ছাত্রছাত্রীদিগকে ধৰ্ম্মশিক্ষা দেওয়া যাইতে পারে। ধৰ্ম্মশিক্ষা বিষয়টির আলোচনা সংক্ষেপে করা সম্ভবপর নহে । কতকগুলি মত কণ্ঠস্থ করান ও গেলান সোজ, কিন্তু প্রকৃত ধৰ্ম্ম বুঝান ও শিখান সহজ নহে। আয়ুৰ্বেদ ও বাংলা-গবন্মে স্ট চিকিৎসাবিদ্যা সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান নাই। সুতরাং সরকারী রাজস্ব হইতে আয়ুৰ্বেদ শিক্ষা দিবার বা তদনুযায়ী হাসপাতাল ইত্যাদি স্থাপন করিবার সপক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলা আমাদের পক্ষে উচিত হইবে না। কিন্তু নিতান্ত অপ্রাসঙ্গিক নহে অবাস্তর এরূপ দু-একটা কথা বলা যাইতে পারে। আগ্ৰা-অযোধ্য প্রদেশে আয়ুর্বেদের জন্য গবষ্মেণ্ট কিছু করিয়াছেন। ১৯২৬ সালে মান্দ্রাজ-গবন্মেণ্ট মাম্রাজে একটি আয়ুর্বেদ-বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছেন। ভারতবর্ষের সকল প্রদেশের চেয়ে বঙ্গের আয়ুৰ্বেদসম্মত চিকিৎসার প্রচলন অধিক, বিখ্যাত কবিরাজ অন্য সব জায়গার চেয়ে বঙ্গে বেশী, বে-সরকারী আয়ুৰ্বেদ-বিদ্যালয়ও এখানে যত আছে অন্য কোথাও তত নাই। অথচ বঙ্গে গবন্মেণ্ট আয়ুৰ্বেদ সম্বন্ধে এখনও কিছু করেন নাই। শুধু তাই নয়। ১৯২১ সালের আগষ্ট মাসে ঐযুক্ত কিশোরীমোহন চৌধুরীর এই প্রস্তাব বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা গ্রহণ করেন, যে, বঙ্গে আয়ুর্বেদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বিকাশের জন্য যাহা আবশ্যক গবষ্মেন্ট তাহ করুন। এই প্রস্তাব অনুসারে গবন্মেণ্ট একটি কমিটি নিযুক্ত করেন। এই কমিটি প্রসিদ্ধ চিকিৎসকদের সাক্ষ্য লইবার পর ১৯২৪ সালে রিপোর্ট দাখিল করেন। রিপোর্টে কমিটির সভাপতি ডাঃ এস এন বঁাড় জ্যে, সম্পাদক কর্ণেল চোপর ( এখন ট্রপিক্যাল স্কুল অব মেডিসিনের প্রিন্সিপ্যাল ), বঙ্গের সার্জন-জেনার্যাল কর্ণেল গোইল, এবং পাচ জন বড় কবিরাজের স্বাক্ষর ছিল । কিন্তু বাংলা-গবন্মেণ্ট ঐ রিপোর্ট অনুসারে কাজ করা দূরে থাক, উহ। প্রকাশ পৰ্য্যন্ত করেন নাই। উহাতে ত কোন পোলিটিক্যাল গুপ্ত কথা নাই, এবং উহা ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি শহরের স্ববিখ্যাত হাঙ্গামাও । নয়। তবে উহা কেন প্রকাশিত হয় নাই এবং হুইবে না ? মিঃ গোঁবার ভ্রান্ত উক্তি পঞ্জাবের মি: হরকিষণ লালের পুত্র মিঃ কানহাইয়া লাল গোঁবা কিয়ংকাল পূৰ্ব্বে মুসলমান হইয়াছেন। র্তাহার মোহম্মদীয় নাম মনে নাই, তবে এখনও তাহাকে মিঃ কে এল গেীবা বলিয়া উল্লেখ করা হয়। তিনি সম্প্রতি লাহোরের ঈষ্টর্ণ টাইম্স কাগজে মুসলমানদিগকে কেবল মুসলমানদের তৈরি জিনিষ কিনিতে পরামর্শ দিয়াছেন ; কারণ, তাহার মতে হিন্দুর “স্মরণাতীত কাল হইতে" (“from time immemorial”) “f (3 fafā'ī afi, sq " ("Buy Hindu" ) এই নীতির অনুসরণ করিয়া আসিতেছে। তাহা হইলে লাঙ্কেশায়ারের কাপড়ের কলের মালিকরা ও তাতীরা সবাই নিশ্চয়ই হিন্দু ! কেন না, হিন্দুরা সংখ্যায় বেশী বলিয়া বিলাতী কাপড় যত কেনে মুসলমান খ্ৰীষ্টিয়ানরা তত কেনে না। জাপানী মিলওয়ালারাও বোধ করি হিন্দু, কারণ তাদের কাপড়ও হিন্দুরা কেনে। বিদেশ হইতে লৌহ আদি ধাতু ও অন্য পদার্থ হইতে নিৰ্মিত যত জিনিষ ভারতের হিন্দুরা কেনে, সবগুলাই বিদেশের হিন্দুরা প্রস্তুত করে ! কিন্তু মিঃ গোঁবার আসল উদ্দেশু বোধ হয় এই বল, যে, ভারতীয় মুসলমানরা যেন হিন্দুদের তৈরি জিনিষ না কেনে । এই ব্যক্তির জানা উচিত, যে, বঙ্গে ( যেখানে অন্য প্রত্যেক প্রদেশের চেয়ে মুসলমানের সংখ্যা বেশী ) স্বদেশী আন্দোলনের সময়ে মৈমনসিং প্রভৃতি পূৰ্ব্ববঙ্গের জেলাগুলির মুসলমান তাঁতীদের কাপড় হিন্দুরা খুব কিনিত এবং এখনও কেনে, মুসলমানদের তৈরি ও মুসলমানদের দোকানে রক্ষিত জুতা হিন্দুরা কেনে, দরজি অধিকাংশ মুসলমান ও তাহারা প্রধানতঃ হিন্দুদের জামা তৈরি করে, দপ্তরীরা প্রায় সব মুসলমান এবং হিন্দুদের বহি বাধাই তাহাদের আয়ের প্রধান উপায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। উত্তরবঙ্গে কয়েক বৎসর পুৰ্ব্বে যে ভীষণ বন্যা হয়, তাহাতে বিপন্ন প্রধানতঃ হিন্দুর-চরকা ও তুলা জোগাইয়া এবং উৎপন্ন
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।