পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8\ు প্রবাসী sNご8ミ মধ্যেই বেকার লোক হাজার হাজার আছে । কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট চেষ্টা করেন না বলিয়াই কনষ্টেবলী করিধার মত যথেষ্ট বাঙালী পান না। অথবা কোন অপ্রকাশিত কারণে ইচ্ছা করিয়াই কনেষ্টবলীর সব কাজে বাঙালী নিযুক্ত করা হয় না। ছাত্রদের বিদেশ যাত্রী বিলাতে ভারতবর্ষের ব্যয়ে একটি সরকারী ডিপার্টমেণ্ট, আফিস বা বিভাগ আছে, তাহার উদ্দেশু ও কাজ ভারতীয় ছাত্রদের “তত্ত্বাবধান” এবং তাহাদিগকে “সাহায্য দান” । এই বিভাগ হইতে প্রতিবৎসর একটি রিপোর্ট বাহির হয়। এবারও হইয়াছে। তাহাতে এই একটি মামুলী কথা আছে, যে, যত ছাত্র বিলাত যায়, তত না যাওয়া ভাল । আমাদের বক্তব্য সংক্ষেপে বলিতেছি । তাহাও খুব সাধারণ কথা । বিলাতে যিনি যেখানে থাকিয়া যাহা শিখিতে চান, তথায় থাকিবার গ্রাসাচ্ছাদনের ও শিক্ষার ব্যয় ঠিক্‌ নিয়মমত তিনি ভারতবর্ষ হইতে পাইবেন, এরূপ বন্দোবস্ত না করিয় কাহারও বিলাত যাওয়া উচিত নয় । সেখানে রোজগার করিয়া স্বাবলম্বী হইবার দুরাশা এক জনেরও পোষণ করা উচিত নহে। এই সব কথা বিলাত ছাড়া অন্য সব ইউরোপীয় দেশের পক্ষেও সত্য। জাপানে খরচ কিছু কম বটে, কিন্তু তাহা মাসিক ৭৫২ বা ৮০ টাকার কম নহে, এবং সেখানেও স্বাবলম্বী হইবার আশা করা উচিত নয়। আমেরিকায় আগে কেহ কেহ স্বাবলম্বী হইয়া কৃতীও হইয়াছিলেন বটে। কিন্তু এখন স্বাবলম্বী হওয়া যায় না। যিনি যে-দেশে কিছু শিখিবার জন্য বিদ্যার্থী হইয়া যাইবেন, র্তাহার সেই দেশের ভাষা ভারতবর্ষে থাকিতেই শিথিয় যাওয়া ভাল ও উচিত। যদি কোথাও কিছু শিখিবার জন্য কেহ যাইতে চান তাহ হইলে তাহার বাঞ্ছিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বা অন্য শিক্ষালয়ে স্থান পাইবেন সে বিষয়ে দেশে থাকিতেই নিঃসন্দেহ হইয়া তবে ভারতবর্ষ হইতে রওনা হওয়া উচিত। কোন পণ্যশিল্প শিখিতে চাহিলে তদুপযুক্ত কারখানায় নিশ্চয়ই ভৰ্ত্তি হইতে পারবেন ঠিক জানিয়া তবে দেশ হইতে যাওয়া উচিত । যাহা ভারতবর্ষেই শিখা যায়, তাহা শিখিতে বিদেশ যাওয়া উচিত নয়। দেশভ্রমণ দ্বারা অভিজ্ঞতালাভ ছাত্রাবস্থার পরে হইতে পারে। তাহার জন্য ছাত্ররূপে বিদেশে ঘাওয়া অনাবশ্ব্যক ও অপব্যয় । এক আধ মাস ভ্রমণ আলাদা কথা । বিস্তর জিনিষ ভারতবর্ষে শিখা যায় না, বিস্তর জিনিষ ভাল করিয়া শিখা যায় না। স্বতরাং অনেক বিষয় শিখিবার জন্য এখনও বিদেশে যাওয়া আবশ্যক। কিন্তু যাইবার আগে উপরের কথাগুলি মনে রাখা ভাল । ভারতের অখণ্ডত্ব সম্বন্ধে লর্ড উইলিংডম গত ১৬ই সেপ্টেম্বর লর্ড উইলিংডন ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভাও কোন্সিল অব ষ্টেটের সম্মিলিত অধিবেশনে একটি বক্তৃতা করেন। ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেস-পক্ষীয় সদস্তের তাহা হইতে দলবলে অনুপস্থিত ছিলেন। এবং তাহার গবন্মেন্টের বিরোধী অন্যান্য সদস্যের সহযোগিতায়, ফৌজদারী আইন সংশোধন বিলটা পাস করিবার বড়লাটের সুপারিশ অগ্রাহও করিয়াছেন । যাহা হউক, বৰ্ত্তমান প্রসঙ্গে ইহা অবাস্তর কথা । তাহার উল্লিখিত বক্তৃতার মধ্যে তিনি বলেন – “It is a matter of great satisfaction to me that during my Viceroyalty there has been made possible a cousummation of age-long cfforts not only of the British Government but of all great rulers in India from Asoka onwards, namely, passage of the Act, which for the first time in the history of India consolidates the whole of India and for the purposes of common concern under a single Government, India for the first time can become one great country.” তাৎপৰ্য্য। “ইহা অামার পক্ষে মহা সন্তোষের বিষয় যে আমার সম্রাটপ্রতিনিধিত্বের আমলে বহুযুগব্যাপী একটি চেষ্টা ফলবতী হইয়াছে। সেই চেষ্টা কেবল যে ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট করিয়াছেন, তাহা নহে, অশোক হইতে আরম্ভ করিয় ভারতে সব শাসনকৰ্ত্ত করিয়াছেন । এই চেষ্ট ফলবতী হইয়াছে, সেই আইনটি পাস করিয়া যাহা ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম সমগ্র ভারতবর্ধকে তাহার সকল অংশের সাধারণ ব্যাপারসমূহের জন্ত একই গবন্মোণ্টের অধীমে অথও সত্তা দান করিয়াছে। ভারতবর্ষ এই প্রথম একটি বৃহৎ দেশ হইল।” বড়লাট অবশ্ব স্বরাজলাভেচ্ছ দেশভক্ত ভারতীয়দিগকে দুঃখ দিবার জন্য এই কথা বলেন নাই। কিন্তু তাহার অভিপ্রেত না হইলেও র্তাহাদের মনে দুঃখকর স্মৃতি জাগিবে। ভারতবর্ষ অতীত কালে কখন এক ছিল কিনা, এবং