পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$3b* প্রবাসী SNご8ー গুলাকে দমন করিবার নিমিত্ত বিলটাকে স্থায়ী আইনে পরিণত করিতে চান । বে-সরকারী পক্ষ হইতে অনেক বার বলা হইয়াছে, যে, যে-বঙ্গে বিভীষিক-পস্থা ও সন্ত্রাসবাদের প্রাদুর্ভাব বেশী তথাকার গবর্ণর বার-বার ( এবং অল্প দিন আগেও ) বলিয়াছেন সন্ত্রাসবাদীরা এখনও নিজেদের দলে নূতন লোক জুটাইতেছে ও পাইতেছে, অর্থাৎ সস্ত্রাসবাদ মরে নাই ; তাহার মানে এই, যে, দমনমূলক আইন দ্বারা সস্ত্রাসবাদের বাহ উপসর্গ বন্ধ হইয়া থাকিলেও সন্ত্রাসবাদটা মরে নাই। সেই জন্য বে-সরকারী লোকেরা বলেন, দমনমূলক আইন দ্বারা যখন সন্ত্রাসবাদের উচ্ছেদ হয় নাই, অতএব তাহা বাতিল হইতে দেওয়া হউক ; সাধারণ আইন দ্বারা অপরাধদমন বেশ হইতে পারে এবং তাহ চলুক ; কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ও আর্থিক দিক দিয়া দেশের অবস্থার এরূপ উন্নতি করিবার চেষ্টা হউক যাহাতে বিপ্লবপ্রয়াসী ও সস্ত্রাসবাদীদের মনে উহার স্থান আর না থাকে। প্রত্যুত্তরে গবন্মেণ্ট-পক্ষের জবাব যাহ, সংক্ষেপে তাহা বলিতেছি এবং তাহার অসন্তোষজনকতার আভাস দিতেছি । সরকারপক্ষ বলেন, নরহত্যার ও চুরি-ডাকাতীর বিরুদ্ধে আইন সব সভ্য দেশে শত শত বৎসর থাকাতেও ঐ সব অপরাধের উচ্ছেদ হয় নাই । তা বলিয়া কিন্তু আইনগুলা উঠাইয় দেওয়া হয় নাই । সুতরাং বিপ্লববাদ সন্ত্রাসবাদ প্রভৃতি দমনের জন্য অভিপ্রেত আইনগুলা দ্বার ঐ সব মত ও তৎপ্রস্বত অপরাধের উচ্ছেদ হয় নাই বলিয়া ঐ আইনগুলাই তুলিয়া দিতে হইবে, এরূপ তর্ক অযৌক্তিক। আমরা বলি, নর-হত্য চুরি-ডাকাতী সব দেশের সব সময়ের অপরাধ। বিপ্লববাদ ও সম্রাসবাদ তাহা নহে, কোন কোন সময়ে কোন কোন দেশে উহার আবির্ভাব হয়। স্বতরাং চিরন্তন ও সৰ্ব্বদেশীয় অপরাধসমূহের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য আইনগুলি যেরূপ স্থায়ী, দেশ-বিশেষে কাল-বিশেষে প্রান্ধুভূত অপরাধের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য বিশেষ আইনের সেরূপ স্থায়িত্ব চাওয়া অযৌক্তিক ও অনাবশ্যক। সাধারণ আইন থাকিতে পারে। অনেক দেশ হইতে নর-হত্যার জন্তু প্রাণদও রহিত श्हेग्रांप्छ् । নরহত্যা চুরি-ডাকাতী বন্ধ করিবার বা কমাইবার চেষ্ট কেবল যে শান্তি দ্বারা সভ্যদেশসমূহে করা হইয়াছে তাহ নহে। শিক্ষার দ্বারা, সভ্যতা বৃদ্ধির দ্বারা, স্বাস্থ্যের উন্নতির দ্বারা, দূষিত সামাজিক প্রথার সংশোধন বা উচ্ছেদ দ্বারা, এবং সকল শ্রেণীর লোকদের আর্থিক উন্নতির দ্বারা উক্ত অপরাধসমূহের মূলীভূত কারণাবলীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালান হইয়াছে। আমাদের দেশেও বৈপ্লবিক প্রচেষ্টার ও বিভীষিকা পন্থামুসরণের উচ্ছেদ করিতে হইলে তাহার রাষ্ট্রীয় ও আর্থিক কারণগুলা বিনষ্ট করিতে হইবে । ইহার উত্তরে সরকারপক্ষ বলেন, “আমরাও ত কতকগুলি ছোকরাকে ছাতা সাবান ছুরী কাচি জুতা ইত্যাদি তৈরি করিতে শিখাইয়া বেকারসমস্যার সমাধান করিতেছি ও লোকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিসাধন করিতেছি।” ইহার উত্তরে বেসরকারী লোকের বলেন, “আপনারা যাহা করিতেছেন তাহ ভাল। কিন্তু তাহ নিতান্ত অযথেষ্ট—তাহ সমুদ্রে শক্ত মুষ্টি নিক্ষেপ।” বেসরকারী লোকেরা আরও বলেন ( শ্ৰীযুক্ত অখিলচন্দ্র দত্ত সংক্ষেপে ও স্পষ্ট ভাষায় সম্প্রতি বলিয়াছেন ), বৈপ্লবিক চেষ্টা স্বাধীনতার ক্ষুধা ও অল্পের ক্ষুধা হইতে উৎপন্ন ; স্বতরাং অল্পের ক্ষুধ নিবৃত্তির মত স্বাধীনতার ক্ষুধা নিবৃত্তিরও যথেষ্ট ব্যবস্থা করিতে হইবে ; ১৯৩৫ সালের ভারতশাসন আইনে সে ব্যবস্থা নাই । ভারতীয় বৈপ্লবিক কোন প্রচেষ্টার সমর্থন আমরা করি না ; আমরা ভারতীয় বিপ্লবীদিগকে উৎকৃষ্ট কোন পন্থার অনুসরণ করিতেই বলি। কিন্তু গবন্মেণ্টকেও আমরা বলি, যে, র্তাহারা যদি বা দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ও বেকারসমস্তার সমাধান করিতে সমর্থ হন—তাহাঁদের বর্তমান চেষ্টাসকলের ফল সেরূপ হইবার কোন সম্ভাবনা আমরা দেখিতেছি না—তাহা হইলেও দেশের লোকদিগকে রাষ্ট্রীয় অধিকার ও ক্ষমতা পূর্ণমাত্রায় দেওয়া আবশ্বক হইবে। আবিসীনিয়ার ইতালীয় দলিলের প্রতিবাদ যে-সব দলিলের দ্বারা লীগ অব নেগুঙ্গে ইতালী আবিসনিয়ার আভ্যন্তরীণ অবস্থা অত্যন্ত খারাপ বলিয়া প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছে আবিলনিয়ার পক্ষ হইতে তৎসমূহের ভ্রম ও নির্ভরের অধোগ্যতা দেখান হইয়াছে