পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कोछिक বিবিধ প্রসঙ্গ—বাঙালী-ৰজন S8ல் একটা ইতালীয় দলিলে তারিখের ভুল আছে নাকি হাজার বৎসরের ! সাম্প্রদায়িক অশান্তি আগেকার চেয়ে বেশী স্বরাষ্ট্রসচিব সব হেনরী ক্রেক তাহার একটি বক্তৃতায় বলিয়াছেন, যে, সাম্প্রদায়িক অশান্তি এখন যে গুরুতর আকার ধারণ করিয়াছে, গত ২৫ বৎসরে তিনি সেরূপ দেখেন নাই ;– এবং সেই জন্য কোন এক রকম দমন-আইন চান | বেসরকারী লোকেরা বলেন, সাম্প্রদায়িক অশান্তি বৃদ্ধির প্রধান কারণ সাম্প্রদায়িক ভাগবাটোয়ার ও সাম্প্রদায়িক পক্ষপাতদুষ্ট অন্যান্য সরকারী ব্যবস্থাও । সুতরাং সাম্প্রদায়িক অশান্তি দমন করিতে হইলে প্রধান কারণগুলির বিনাশ প্রথমে আবশ্যক। ভুবনডাঙ্গা প্রসাদ-বিদ্যালয় আশ্বিনের প্রবাসীতে “শাস্তিনিকেতনের মুলু” শীর্ষক প্রবন্ধে যে ভূবনডাঙ্গ প্রসাদ-বিদ্যালয়ের উল্লেখ আছে, তাহার একটি আধুনিক ফটােগ্রাফের প্রতিলিপি অন্যত্র দেওয়া হইল। ইহার ছাত্রছাত্রী সংখ্যা এখন ৪০ ; বালক ৩৩, বালিকা ৭ । ইহাদের মধ্যে হিন্দু ৩২ জন ও মুসলমান ৮ জন। ৫ হইতে ১২ বৎসর বয়সের ছাত্রেরা এখানে পড়ে। কাহারও নিকট হইতে কোন বেতন লওয়া হয় না। এখানে বাংলা সাহিত্য, ইংরেজী, গণিত, ভূগোল, ইতিহাস ও স্বাস্থ্যতত্ত্ব শিখান হয় ; মাটির হাতের কাজ, আসন-বোনার কাজ, ও বাগানের কাজও শিক্ষা দেওয়া হয়। শ্ৰীহরিপদ পাল ও ঐত্রিবিক্রম মণ্ডল শিক্ষা দেন। এই বিদ্যালয়ের কুড়ি জন ছাত্রকে লইয়া একটি ব্ৰতী বালক দল গঠন করা হইয়াছে। ব্ৰতী বালকদিগকে সপ্তাহে দু-দিন বৈকালে শরীর-চর্চা করান হয় ও সপ্তাহে এক দিন পল্লীসেবার কাজ করান হয়। মুষ্টিভিক্ষ আদায় ও দুঃস্থকে দান, ডোবা-ভরাট নৰ্দ্দমাঝালান, মশাবিনাশের জন্য ডোবায় কেরোসীন দেওয়া, ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করা, রোগীর সেবা, ইত্যাদি পল্লীসেবার অন্তর্গত। 電 বাঙালী-বর্জন ? গেজেট অব ইণ্ডিয়ার গত ১০ই সেপ্টেম্বরের একটি অতিরিক্ত সংখ্যায় একটি বিশেষ ট্যারিফ বোর্ড গঠনের সংবাদ আছে। তাহার সভ্য হইবেন— সৰ্ব আলেগজাণ্ডার মরে, সভাপতি ; মিঃ ফজল ইব্রাহিম রহিমতুল, সভ্য ; দেওয়ান বাহাদুর এ রামস্বামী মুদ্রালিয়র, সভ্য। ১৯৩৩ সালে বোম্বাইয়ের কাপড়ের কলওয়ালাদের ও fast of zosafog fosso (British Textile Missionএর ) মধ্যে যে চুক্তি হইয়াছিল, তৎসম্পৰ্কীয় নানা বিষয়ের আলোচনা এই বোর্ড করিবেন। বিদেশী কাপড়ের উপর গুপ্ত সম্বন্ধে আলোচনাও এই বোর্ড করিবেন। তাহা করিতে হইলে কাপড় যাহারা বোনে ও কাপড় যাহারা কেনে উভয় পক্ষের কথাই শুনা উচিত। ভারতবর্ষের অন্য প্রত্যেক প্রদেশের চেয়ে বঙ্গের লোকসংখ্যা বেশী । সেই কারণে বিলাতী, জাপানী ও বোম্বাইয়ের কাপড় বঙ্গে যত বিক্ৰী হয়, অন্য কোন প্রদেশে তত হয় না। তা ছাড়া, বঙ্গে মিলও কয়েকটি চলিতেছে এবং আরও স্থাপিত হইতেছে । হাতের তাতেও বঙ্গে নিতান্ত কম কাপড় উৎপন্ন হয় না। এই সকল কারণে নবগঠিত বিশেষ ট্যারিফ বোর্ডের এক জন সভ্য বাঙালী হওয়া খুব উচিত ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯২৪ সালে যখন ট্যারিফ বোর্ড গঠিত হয়, তখন হইতে এ পর্য্যন্ত এক জন বাঙালীকেও উহাতে লওয়া হয় নাই। শুধু তাই নয়। সরকারী সভ্য এ-পর্যন্ত ঐ বোর্ডে যত লওয়া হইয়াছে তাহার মধ্যে এক জনও বাংলা দেশে সরকারী কৰ্ম্মে নিযুক্ত লোক নহেন। সরকারী বেসরকারী যে-সব লোককে এ পৰ্য্যস্ত অন্য কোন কোন প্রদেশ হইতে লওয়া হইয়াছে, তাহার সমকক্ষ কেহই বাংলা দেশে ছিলেন না বা নাই, ইহা সত্য নহে । বাঙালীর সহিত সংশ্রব না-রাখাই যদি বাঞ্ছনীয় মনে হয়, তাহা হইলে বাঙালীর নিকট হইতে রাজস্বসংগ্রহও বন্ধ করা আবশ্বক নহে কি ?