পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S0xo প্রবাসী $NetBR শিক্ষামন্ত্রীর নিকট আবেদন প্রধানতঃ প্রোথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্বন্ধে বঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ১লা আগষ্ট একটি, ২৫শে আগষ্ট একটি এবং ১২ষ্ট সেপ্টেম্বর ( এসোসিয়েটেড প্রেসের সহিত ইণ্টারভিউ আকারে ) একটি—এষ্ট তিনটি বিবৃতি, বিজ্ঞপ্তি বা মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন। তদ্ভিন্ন তিনি বঙ্গের কয়েকটি জায়গায় বকৃত উপলক্ষ্যে এই বিষয়ে অনেক কথা বলিয়াছেন । এই সমস্ত মন্তব্য ও বক্তৃতায় যাহা বলা হইয়াছে, তাহার সব কথার মধ্যে মিল ও সামঞ্জস্ত নাই--অন্ততঃ আমরা আবিষ্কার করিতে পারি নাই । অবশ্ব তিনি একাধিক বার লিখিয়াছেন ও বলিয়াছেন বটে, যে, কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ( "final decision" ) করা হয় নাই, এবং তংপুৰ্ব্বে সৰ্ব্বসাধারণকে “গঠনমূলক” প্রস্তাবও করিতে বলিয়াছেন। আমরাও সেই অভিপ্রায়ে ( এবং দোষত্রটি দেখাইবার জন্যও ) তাহার নিকট এই আবেদন উপস্থিত করিতেছি, যে, তিনি র্তাহার বৰ্ত্তমান অচুড়ান্ত সব প্রস্তাবগুলি একত্র প্রকাশ করুন। মান্দাজে পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর চিত্র উন্মোচন বাঙালীদের মধ্যে ব্রাহ্মসমাজে এবং ব্রাহ্মসমাজের বাহিরের অনেক লোকের মধ্যেও পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী ধৰ্ম্মোপদেষ্টা বলিয়া সম্মানিত । র্যাহারা তাহার ধৰ্ম্ম ও সমাজ বিষয়ক বক্তৃতা আদি শুনেন নাই, পড়েন নাই, কিন্তু বাংলা সাহিত্যের উৎকৃষ্ট উপন্যাস কাব্য জীবন-চরিত ও প্রবন্ধের সংবাদ রাখেন, তাহারা বাংলা সাহিত্যিকদিগের মধ্যে তাহাকে উচ্চ স্থান দিয়া থাকেন। কলিকাতায় সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ লাইব্রেরী হলে তাহার চিত্র আছে, বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদেও আছে। মান্দ্রাজে সম্প্রতি রায় বাহাদুর এম্‌ বেঙ্কটাপ্পার ব্যয়ে তাহার একটি চিত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তথাকার প্রেসিডেন্সী কলেজের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত বিমানবিহারী দে, এম্-এ, ডি-এসসি, চিত্রের আবরণ উন্মোচন করেন এবং শাস্ত্রী মহাশয়ের সম্বন্ধে একটি সময়োচিত বক্তৃতা করেন। রাষ্ট্রসংঘ ও ভারতবর্ষ রাষ্ট্রসংঘ ( লীগ অব নেশুন্স) যে ভারতবর্ষের কোন কাজে লাগে না, তাহা শ্ৰীযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বস্থর বলিবার পক্ষে কোন বাধা নাই ; কারণ তিনি সরকার-পক্ষের লোক নহেন বলিয়া সত্য গোপন করিতে বাধ্য নহেন। কিন্তু আগা খানের মত গবন্মেণ্টের ও ইংরেজদের অনুগৃহীত লোক ভারত-গবন্মেণ্ট কর্তৃক সংঘের প্রতিনিধি-সভায় তাহার প্রতিনিধি মনোনীত হইয়াও এইরূপ কথা বলিয়াছেন, ইহা লক্ষ্য করিবার বিষয় । এখন অবস্থা যেরূপ আছে, তাহাতে ভারতবর্ষের পক্ষে লীগের সভ্য থাকিয়া বার্ষিক চাদ দেওয়া অপব্যয়। অবস্থার পরিবর্তন কিরূপ হইলে ভারতবর্ষের সভ্য থাকা কতকটা লাভজনক হয় তাহা আমরা আগে অন্য এক পৃষ্ঠায় বলিয়াছি। স্বভাষ বাবু সম্প্রতি লীগের সংবাদ-সরবরাহ-বিভাগের ডিরেক্টরকে কোন কোন বিষয়ে সংবাদ জানিবার জন্য প্রশ্ন করেন। গোপনীয় বলিয়া ডিরেক্টর প্রশ্নগুলির উত্তর না দিয়া একখানা বহি স্বভাষ বাবুকে পাঠাইয়া দিয়াছেন যাহা আগে হইতেই তাহার ছিল। স্বভাষ বাবু এই একটা খবর জানিতে চাহিয়াছিলেন, যে, লীগের সভ্য কোন দেশের কত জন লোক কত বেতনে লীগের ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে কাজ করে। এই সংবাদ তাহাকে দেওয়া হয় নাই। আমরা কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে লীগেরই একখানা রিপোর্ট হইতে একটা কৰ্ম্মচারী-সংখ্যার তালিক প্রস্তুত ও প্রকাশ করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহাদের বেতনের পরিমাণ কোন রিপোর্টে পাই নাই। কৰ্ম্মচারী সকলের চেয়ে বেশী ছিল ব্রিটিশ-জাতীয় এবং উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী বেশী ছিল ব্রিটেনের ও ফ্রান্সের । সুইস কৰ্ম্মচারীও অনেক আছে দেখিয়াছিলাম, কিন্তু তাহারা বেশীর ভাগ চাপরাসী পিয়াদ দারোয়ান ইত্যাদি। এখনও অবস্থা বোধ হয় এইরূপ আছে । উল্লিখিত রিপোর্ট, আমি লীগ আফিস হইতে পাই নাই। এস্থলে বলা আবশ্বক, যে, ১৯২৬ সালে লীগের সাক্ষাৎ নিমন্ত্রণে যখন আমি জেনিভা যাক্ট, তখন লীগ আমার ব্যয়—অন্ততঃ আংশিক ব্যয়— দিতে চাওয়ায় তাহ আমি লই নাই। একাধিক বার আমাকে টাকা লইতে অনুরোধ করায় আমি শেষে বলিয়ছিলাম, “আচ্ছ, আপনার যদি আমার প্রতি সৌজন্ত দেখাইতে চান, তাহা হইলে লীগের প্রকাশিত ও আমার