পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৫

কীৰ্ত্তিক দেশ-বিদেশের কথা—বাংলা S&ని চলিলে সমিতি হইতে জুড়ান গ্রামে ঋষিদের মধ্যে চামড় পাকা করার ব্যবস্তু কর হইবে। এই স্কুলটি সম্বন্ধে আর একটি বিশেষ কথা এই যে থgারিয়ার অত্যন্ত গোড়ী বর্ষীয়সী ব্রাহ্মণ মহিলারাও এই স্কুল ও গ্রাম পরিদর্শন ও গ্রামবাসীদের সহিত অগ্নিীয়ের স্থায় লালহার করিয় পাকেন। উছ দ্বার অস্পৃষ্ঠতার ভাব হাঙ্গের অন্তর হইতে ক্রমশঃই কিরূপ দূর গুই হছে তাহ বুঝা যাইবে । ১৩৩৬ সনে ( ইং ১৯৩০) লবণ-সভাগুহ ও আইন-অমান্ত আন্দোলনে গগুরিয় মহিল!-সমিতির কয়েকজন মহিলা কৰ্ম্মী যোগ দিয়; ঢাক .ংলার শতাধিক গ্রাম পরিভ্রমণ ও এই জিলায় মহিল আন্দোলন পরিচালন করেন। সেইজষ্ঠ ৩১৮ সনে ( ইং -৯৩২ ) এই সমিতি সরকার কত্ত্বক বে-আইনী ঘোষিত হয়। এই সময় ঐ সব মহিলাকৰ্ম্মর আন্দোলনের ফলে ঢাক' পিক্রমপুরের বহু মহিলা অনেক দুঃখ কণ্ঠ সঙ্গ ও কারাবরণ করেন। সেজন্ত নান অসুবিধার মধ্য দিয়া ঐ কঃ বৎসর এই স্কুলটিকে চালাইতে হইয়াছে। আইন-অমান্ত আন্দোলন প্র গুiাসত হওয়ার পর উক্ত সমিতির বে-আইনী ঘোষণা ও রদ করা ১ষ্টয়াছে এবং মহিলার এই স্কুলটির জন্ত আবার উপযুক্তরূপ পাটিতে পারি ছেন । দুই মাইল রাস্ত গ্রীষ্মের দিনে ইটিয় ও বসাতে নৌকায় পর হইয় মহিলার এই স্কুলটিতে শিক্ষাদানের কাজ চালান। আশা করি অনুন্নত শ্রেণীর উন্নতিকল্পে মহিলাদের এই চেষ্ট জনস ধরণের সহানুভূতি ন: সমর্থ হইবে । পরলোকে যামিনীমোহন মিত্ৰ--- বিগত ২৭এ আগষ্ট বঙ্গীয় সমবায় বিভাগের ভূতপূৰ্ব্ব রেজিষ্ট্রার রায় 4:কুঞ্জর দামিনীমোহন মিত্র মহাশয় ষ্টহীর কলিকাতাস্ত ভবনে অকালে পৰলোকগমন করিয়াছেন । এই সংবাদে বাংলার তপ: ভারতের কসকলশ্রণায়ের শুভমুধায়িগণ মৰ্ম্মাহত হই বন সন্দেহ নাই। ৮৮১ ৮{লর ১৮ই সেপ্টেম্বর বর্দ্ধমান জেলায় সামিনীমোহনের জন্ম হয় । হার পিত স্বগীয় ক্ষেত্রমোহন মিত্র লিচারবিভাগে সাব-জজের পদে অষ্টিও ছিলেন। শৈশবে ও যৌবনে উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করিয়. সূত্র ছয় মাসের মধ্যেই কৃতিত্বের সহিত এল্‌-এ পরীক্ষার উত্তীর্ণ হন। বঙ্গীয় সিভিল সার্ভিস প্রতিশোণিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার কলিয়া মিনীমোহন ১৯০৩ সালে সরকারী কর্যো যোগদান করেন। ১৯০৯ সালে মাত্র ২৯ বৎসর বয়সে তিনি বঙ্গীয় সমলয় লিভাগের প্রথম বাংলা রেজিষ্টার নিযুক্ত হন। ১৯ ৭ সনে স্বীয় প্রতিভাবলে রক্ত-সরকারের শিক্ষবিভাগে য়্যাসিষ্টান্ট সেক্রেটার ও পর ডেপুটি ঐটারী পদে উন্নীত হন। পারিবারিক কারণে তিনি কলিকাগুয় ' ক একান্তু প্রয়োজন বtধ করেন ও ভারত সরকারের অধীনে উচ্চপদ "গ করিয়া অপেক্ষাকৃত নিম্নপদ “কীপার অফ ইম্পিরিয়াল রেকর্ডস” এর • গ্রহণ করিয়৷ কলিকাতায় আসেন ৷ লাংল-সরকারের বিশেষ গুরোধে তিনি ৯২২ সনে পুনরায় বঙ্গীয় সমবায় বিভাগের ভর ৭ করেন। ১৯২ সনে ব্রিটিশ এম্পায়র একৃজিবিশনে ‘বেঙ্গল ট-এর প্রধান কৰ্ম্মকৰ্ত্তারাপে ই লণ্ড গমন করেন, এবং ভারতে ' বৰ্ত্তন করিয়া রেজিষ্টারের পদে যোগদান করেন । এই সময়ে প: য় আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় বলিয় তাহর নাম ভারত ও ইউরোপের " স্বাণে ছড়াইয় পড়ে। র্যাঙ্ক র সমবায় সম্বন্ধে বহু মৌলিক গবেষণ। ছেন, উল্ফ প্রমুখ সেই সকল মনীষীর সুচিন্তিত গ্রন্থসমূহে সমবায়ের : : শ যামিনীমোহনের অবদান একবাক্যে স্বীকার কল্প হইয়াছে। f " ষ্টীহার সংস্পর্শে আসিয়াছেন তিনিই সসন্ত্রমে যামিনীমোহনের *গুল ধারণ ব্যক্তিত্ব উপলব্ধি করিয়াছেন , ঠান্থার অনুপ্রেরণার শইক মৃগণ আল্পবিস্তৃত ও স্বার্থগুপ্ত হইয়। কাৰ্য্য করিতে উৎসাহিত লামিনীমোহন মিত্র হইতেন । ১৯২৮ সনে সিমলায় বিভিন্ন প্রদেশের সমবায়-বিভাগের রেজিষ্ট্ররমণ্ডলীর যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, বহুদৰ্শী ও বিচক্ষণ বিবেচিত হইয় তিনি তাহার সম্ভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন। পরবর্তী বৎসর ‘ইণ্ডিয়ান সেন্টাল বাঙ্কি: এনকোয়াইরি কমিটি৭ অষ্ঠ তম সদস্ত নির্বাচিত হইলেও, অগুস্তৃতার জন্ত উহার অধিবেশনসমূহে যোগদান করিতে অসমর্থ হন। শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের অতিশয্যে উহার স্বাস্থা ভাঙ্গিয় পড়ে, এপ’ :৯৩ সনে তিনি অবকাশ গ্রহণ করিতে रु|क्षा श्न ! সৰ্ব্বদ দায়িত্ববহুল কাধো ব্যাপুত পাকিয়াও দেশের কৃষক ও শিল্পীদিগের অশেষ কল্যাণ সাধন কর সম্ভব, যামিনীমোহন ঠাহীর কৰ্ম্মময় জীবনে তাহাই দেথাইয়া গিয়াছেন। প্রচার ও সংগঠনের কার্য্যে যখন তিনি বাংলার পল্লীতে পল্লীতে ভ্রমণ করিতেন, ইহার উদারতীয় কৃষকগণ ষ্টাঙ্ককে তাহদেরই একজন মনে করিত। পাট বাংলার অতুলপীয় সম্পদ - এই সঙ্গতির সম্পূর্ণ হযোগ লইয়, অসহায় কৃষকসম্প্রদায়কে সমবায়ের আদর্শে সঞ্জাবদ্ধ করিয়। তাছাদের স্থায্য প্রাপের সম্পূর্ণ অধিকারী করিবার যে বিরাট পরিকল্পন! তিনি করিয়াছিলেন, পুথিবীব্যাপী অর্থনৈতিক দুৰ্গতির গুপ্ত তাহতে আশামুরূপ সাফল্য লাভ করিতে পারেন নাই; সেই চরম সন্ধিক্ষণে ষ্ঠাহাকে অবকাশ গ্রহণ করিতে হইয়াছিল। দেশহিতৈলিতায় অনুপ্রাণিত হইয়। তিনি বাংলার কৃষককুলের, তপ বাঙালী জাতির, সমৃদ্ধির স্বগ্ন দেখিয়াছিলেন।