পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৃথিৰী ১৬" অগণিত যুগযুগান্তরের অসংখ্য মানুষের লুপ্তদেহ পুঞ্জিত তার ধূলায়। আমিও রেখে যাব কয় মুষ্টি ধূলি আমার সমস্ত মুখছুঃখের শেষ পরিণাম, রেখে যাব এই নামগ্রাসী, আকারগ্রাসী, সকল পরিচয়গ্রাসী নিঃশব্দ মহাধুলিরাশির মধ্যে । অচল অবরোধে আবদ্ধ পুথিবী, মেঘলোকে উধাও পৃথিবী, গিরিশৃঙ্গমালার মহৎ মৌনে ধ্যাননিমগ্ন পৃথিবী, নীলাম্বুরাশির অতন্দ্রতরঙ্গে কলমন্দ্রমুখরা পৃথিবী, অন্নপূর্ণ তুমি সুন্দরী, অল্পরিক্ত তুমি ভীষণ । একদিকে আপঙ্কধান্তাভারনম্র তোমার শস্তক্ষেত্র, - সেখানে প্রসন্ন প্রভাতসূৰ্য্য প্রতিদিন মুছে নেয় শিশিরবিন্দু কিরণ উত্তরীয় বুলিয়ে দিয়ে। অস্তগামী সূর্য্য শুষ্ঠামশস্ত্যহিল্লোলে রেখে যায় অকথিত এই বাণী— - **ठांघ्निो श्रांनन्लिङ ।” অন্যদিকে তোমার জলহীন ফলহীন আতঙ্কপাণ্ডুর মুরুক্ষেত্রে পরিকীর্ণ পশুকঙ্কালের মধ্যে মরীচিকার প্রেতনুত্য ৷ ” বৈশাখে দেখেছি বিদ্যুৎচঞ্চুবিদ্ধ দিগন্তকে ছিনিয়ে নিতে এল কালো শ্রেীন পার্থীর মতো তোমার ঝড়, সমস্ত আকাশটা ডেকে উঠল যেন কেশর-ফোলা সিংহ, তার ল্যাজের ঝাপটে ডালপালা আলুথালু করে হতাশ বনস্পতি ধূলায় পড়ল উবুড় হয়ে । হাওয়ার মুখে ছুটল ভাঙা কুড়ের চাল শিকলছেড়া কয়েদী-ডাকাতের মতে । ফাঙ্কনে দেখেছি তোমার আতপ্ত দক্ষিণে হাওয়া ছড়িয়ে দিয়েছে বিরহ মিলনের স্বগতপ্রলাপ আম্রমুকুলের গন্ধে । চাদের পেয়ালা ছাপিয়ে দিয়ে উপচিয়ে পড়েছে স্বৰ্গীয় মদের ফেনা । বনের মৃত্নমৰ্ম্মর থেকে থেকে উচ্ছ্বসিয়া উঠেছে অধীর কলকল্পোলে ৷