পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*క লইতে হইবে। হিন্দুর শাস্ত্র অনুযায়ী সন্ন্যাসী ইহঁদের মধ্যে কেহই নহেন শান্ত্রমত ষে সন্ন্যাস গ্রহণ করিবে সে শিস্ত সংগ্ৰহ করিবে না, কোম্পানীর কাগজ কিনিবে না, কোঠাবাড়ি করিবে না, কোন মত-প্রচারও করিবে না ; সে শুধু নির্জনে ভগবচ্চিত্ত করিবে এবং মৃত্যুর প্রতীক্ষায় কালথাপন করিবে। সুতরাং যত সব গিরি’, ‘পুরী’, ‘মহারাজ’, ‘মোহস্ত', ‘সিদ্ধবাবা’ ও ‘অৰ্ধসিদ্ধ দাদা" বর্তমানে হিন্দু-সমাজ আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছেন, র্তাহারা হিন্দুর শাস্ত্র পুরাপুরি মানিতেছেন, একথা বলিবার অধিকার কাহারও নাই। সুতরাং শাস্ত্রবিশ্বাসী হিন্দু যদি মনে করেন যে, এই সব সন্ন্যাসী শাস্ত্রাঙ্গুযায়ী সন্ন্যাসী, তবে তিনি প্রতারিত হইতেছেন,— একথা আমাদের না বলিয়া উপায় নাই। ইহা অবশুই মানি যে, ইহারা যাহা হইয়াছেন তাহা হইবার অধিকার তাহাদের আছে এবং যেরূপভাবে ইহঁার জীবন যাপন করিতেছেন সেরূপ করিতে আইনের কোন বাধা নাই ; কারণ, আইনের বাধা থাকিলে ‘জগৎসি আশ্রমের মত ইহঁাদের আশ্রমও পুলিস জোর করিয়া ভাঙিয়া দিত। কিন্তু আইনের বাধা না থাকিলেই হিন্দুর শাস্ত্র তাহা অনুমোদন করে, এমন কথা অতিবড় মূর্ধও বলিবে না। স্বতরাং বিরাট সম্পত্তির অধিকারী এবং অসংখ্য শিষ্য পরিবৃত হইয়া যে-সব মহারাজ একসঙ্গে আধ্যাত্মিক সিদ্ধি এবং ঐহিক মুখ লাভ করিতেছেন, প্তাহারা মনু-যাজ্ঞবন্ধ্যের বিধি মানিয়া চলিতেছেন না। এই সঙ্গে আরও একটা কথা আমরা মানিয়া লইব যে, হিদুর শাস্ত্র অনুমোদন না করিলেই সে কাজ অধৰ্ম্ম বা অন্যায় হইয়া যায় না। হিন্দুর শাস্ত্র অনুসারে নিষিদ্ধ কৰ্ম্মকেও আজ আমরা গুয়াচুমোদিত মনে করিতে সাহস পাইতেছি ; ত না হইলে বিধবা-বিবাহ, অসবর্ণ-বিবাহ, সমুদ্র-বাত্রা প্রভৃতির পক্ষে এত তুমুল আন্দোলন সম্ভবপর হইত না। কাজেই, গিরি-পুরী-মহারাজরা শাস্ত্রাঙ্গুসারে সন্ন্যাস লন নাই বলিলেই তাহাদিগকে আধাৰ্শ্বিক কিংবা অনৈতিক বলিয়া প্রতিপন্ন করা হয় না। তথাপি, ইহারা অশাস্ত্রীয় সন্ন্যাসী একথা যে আমরা বার-বার বলিতেছি, তাহার কারণ অনেকে অগুরূপ ভাবেন এবং অনেকের শ্রদ্ধা শাস্ত্র-বিধির উপরই নির্ভর করে। তাছাদের ভ্রাভি দূর করা দরকার। সন্ন্যাসীদের অনেকেই তীর্থের জাঙ্গয়ে থাকেন, শাস্ত্রের বুলি কপচান "$edit এবং সাধারণ লোকের ধর্থবিশ্বাসকে মূলধন করিয়াই কারবার চালান। তাহাঁদের এবং উহাদের ভক্তদের জানা দরকার যে শাস্ত্র তাহদের অমুকুল নয়। যে অনুষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান কোনও ধৰ্ম্মমতের অঙ্গীভূত তাহার সম্বন্ধে বিচার সাধারণ স্বায়-অস্কায়ের মাপকাঠিতে করা সব সময় সম্ভবপর নয়। তাহা করিতে গেলেই ধৰ্ম্মবিশেষের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ পাওয়া সম্ভব ; এবং সেট আইনের চক্ষে অপরাধ। কিন্তু যে-সব জিনিষ এরূপ ধৰ্মবিশেষের অঙ্গ নয়—যেমন, ট্রামগাড়ীতে চড়া, বিলাতী কাপড় ক্রয়, কিংবা দোক্ত দিয়া পান খাওয়া—সেগুলির সম্বন্ধে বিচারে আমাদের স্বাধীনতা বেশী। হিন্দু সমাজে বর্তমান মঠ ও আশ্রম ইত্যাদির কথা অতঃপর আমরা নিৰ্ভয়ে আলোচনা করিতে পারি। সন্ন্যাস-সন্ন্যাসীদের মঠ ও আশ্রম ইত্যাদি—হিন্দুসমাজের একান্ত নিজস্ব জিনিষ নয়। অন্য সব দেশে, অন্ত সব সমাজেও এ-সবের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। যেদিন হইতে মামুন বৰ্ব্বরতা অতিক্রম করিয়াছে এবং যেদিন হইতে মানুষের ধৰ্ম্মাহুভূতি জাগিয়াছে, প্রায় সেই দিন হইতেই সংসারে বাস এবং ধৰ্ম্মোন্নতি এ দুইয়ের ভিতর একটা বিরোধ অনুভূত হইয় আসিতেছে। তাহার ফলে সংসার-ত্যাগ এবং সন্ন্যাসের একটা বিশিষ্ট মূল্যও কল্পিত হইয়া আসিতেছে। যে-সমাজের ধৰ্ম্মাচুভূতি যত প্রবল, সেই সমাজের চিন্তাধারায় সংসারের প্রতি বিদ্বেষও সেই পরিমাণে প্রবল ; এবং সেই সমাজে সন্ন্যাসীদের প্রভাবও তত বেশী। কিন্তু সন্ন্যাসী কম-বেশী সব সমাজেই দেখিতে পাওয়া যায়। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্ৰীষ্টান, সকলেই পীর, ফকির, পুরী, গিরি প্রভৃতির প্রাধান্ত মানিয়া লইয়াছে। খ্ৰীষ্টান-জগতে প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক অনেক মঠ ও আশ্রম আবিভূত হইয়াছিল। কি ভাবে দীর্ঘ কাল ধরিয়া সেগুলি গড়িয়া উঠিয়াছিল, তাহার ইতিহাস এখানে বিবৃত করা নিম্প্রয়োজন। কিন্তু একটা সময় আসিয়াছিল যখন রাজার श्रांtनरल ७iहे जर्ष भ% ७ जांथ८भब्र गभख जन्wडि कॉप्लिग्न লওয়া হইয়াছিল এবং জোর করিয়া অনেক মঠ ও জঙ্গিম ভাঙিয়া দেওয়া হইয়াছিল। দায়িত্বহীন ভোগ বড় মারাত্মক चिनिष ।। ५ांशुव्र1नियं चर्ष ऎश्रीनि ब्रिक्ष। ८खांशं ‘देव,