পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহtয়ণ Nomiškasamfunkáskmåståsĩ আভিজাত্য ফলাইতে তাহার ভাল লাগে। মমতা ছেলে হইয়া সে মেয়ে হইলে মন্দ হইত না । মেয়েদের পরের ইষ্ট করিবার ক্ষমতা যেমন কম, অনিষ্ট করিবার ক্ষমতাও তেমনই কম। ঘামিনী প্রভাকে চিঠি লিখিয়া তৎক্ষণাৎ ড্রাইভারকে দয়া পাঠাইয়া দিলেন। সোজাস্বজি সভায় যাইতে গেলে সুরেশ্বর চেচাইয়া হাট বসাইয়া দিবেন। কিন্তু ভাইয়ের বাড়ি যাইতেছেন শুনিলে কিছুই বলিবেন না, যদি না মেজাজটা বেশী রকম খারাপ থাকে। প্রভার সঙ্গে যামিনীর সম্পর্কটা খুব যে মধুর তাহা নয়, মনে মনে কেহই কাহাকেও পছন্দ করেন না, কিন্তু দু-জনেই দু-জনের কাজে লাগেন, সময়ে অসময়ে, কাজেই খানিকটা মানাইয়া চলিতেই হয়। ঘামিনী ধনী গৃহিণী, প্রয়োজনমত টাকাকড়ি চাহিলে সৰ্ব্বদাই পাওয় দায় এবং টাকা শোধ করিবার জন্য তিনি কোনদিনই পীড়াপীড়ি করেন না। যামিনীও ভাইয়ের বাড়ি গিয়া অনেক কাজ উদ্ধার করিয়া আসেন, যাতা নিজের বাড়ি বসিয়া করi যায় না । প্রভা চিঠি পাইয়াই হাসিয়া বলিল, “আচ্ছা আপদ মাহোক! মানুষটাকে যেন সোনার পঁাচায় পুরে রেখেছে, একটু পা নাড়বার জো নেই।” মিহির তখন কাজ হইতে ফিরিয়া চা থাইতে বসিয়াছিলেন, তিনি চিঠিখানার জন্য হাত বাড়াইয়া বলিলেন, “দেখি? কে আবার কাকে সোনার খাচায় পূরল ?” প্রভা চিঠিখান স্বামীর হাতে আগাইয়া দিয়া বলিল, "ক আবার, তোমার দিদিট। টাকার উপর বসে আছে, কিন্তু মানুষটার কোন মুখ নেই বাপু ।” মুখ ষে নাই তাহা মিহিরের অজানা নয়। যামিনীর iববাহের সময় সকল কথা বুঝিবার মত বয়স না হইলেও, * খানিকটা বুঝিবার বয়স মিহিরের হইয়াছিল। যামিনীর বহিত জীবনের গলদ কোথায় তাহাও জানিতে মিহিরের “ক নাই। প্রতাপ তাহারই গৃহশিক্ষকরূপে এ বাড়িতে মসি ছিলেন। হঠাৎ তাহাকে যে ভাবে বিদায় করা ইঠল, তাহার অর্থ তখন না বুঝিলেও পরে মিহির সুপিগছিলেন। যামিনীর মন যে তপন হইতে একেবারে ভাঙিলছ, এবং স্বরেশ্বরকে স্বামীরূপে গ্রহণ করিয়াও সেভাঙা কোনদিনই জোড়া লাগে নাই, একথা বুঝিতে iঞ্জঞ্জস্বত্ব $^S দেরি হয় না। কিন্তু স্ত্রীর সহিতও এ-সব কথা তিনি বেণী আলোচনা করেন না, যা হইবার তা ত হইয়াই গিয়াছে, পুরাতন ক্ষত খোচাইয়া লাভ কি? যামিনী এখন সন্তানের জননী, বৃহৎ সংসারের গৃহিণী, তাহার প্রথম যৌবনের দুঃখ-নিরাশার কাহিনী হয়ত র্তাহার নিজেরই এখন ভুলিয়৷ যাইতে ইচ্ছা করে, অন্তেরও ভুলিয়া যাওয়াই উচিত। চিঠিখানা পড়িয়া তিনি স্ত্রীর হাতে ফিরাইয়া দিয়া বলিলেন, “তাই নাকি ? টাকার উপর বসে থাকলেও তোমাদের জাতের স্বথ নেই ? আমি ত মনে করি, এ ছাড়া আর কিছুতেই তোমাদের স্বথ নেই।” প্রভাকে বেশ টানাটানি করিয়াই সংসার চালাইতে হয়, কারণ মিহিরের আয় বেশী নয় । এষ্ট লইয়া স্বামী-স্ত্রীতে বচসারও অস্ত নাই । - খোচ খাইয়া প্রভাও ঝঙ্কার দিয়া উঠিল। বলিল, “তোমাদের বুঝি ট্যাক খালি থাকলে স্থখের সীমা থাকে না ? যাকে ভোগ ভুগতে হয় সেই বোঝে। কোন ঝক্কি ত ঘাড়ে নাও না, ঠাট করা কাজেই তোমাদেরই সাজে ।” মিহির তাড়াতাড়ি কথাটা ফিরাইয়া দিলেন, বলিলেন, “যাক গে ও তর্কে আর দরকাব নেই, ও ভাবনা ত সারা- ৷ জীবনই চলবে। এখন দিদি যা লিখেছেন তাই কর। দুপুরে খাবার নিমন্ত্রণ করে পাঠাও, তার গাড়ীখানা থাকলে তুমিও বেশ খানিক বেড়িয়ে আসতে পারবে। মিটিঙে যেতে চাও, তাই যাবে, না হয় অন্য কোথাও ঘুরে আসবে। এমনিতে তোমার ত ঘর ছেড়ে বেরনোই হয় না। লুসিও বঁাচবে মমতাকে পেয়ে ।” এ সব ক’টা সম্ভাবনার কথাই প্রভ আগে ভাবিয় লইয়াছে। সুতরাং দেরি না করিয়া সে যথাবিহিত নিমন্ত্রণ করিয়া চিঠি পাঠাইয়া দিল। কাল একটু বাজার পরচ বেশী করিতে হইবে, তা আর কি করা যাইবে বল ? সুরেশ্বরের মধ্যরাত্রির আগে শুইতে যাওয়া কোনকালেই অভ্যাস ছিল না। এখন ডাক্তারের উৎপাতে বন্ধুবান্ধব সব বাড়িতে আসা বারণ হইয়া গিয়াছে, আনুষঙ্গিক আমোদ-প্রমোদ সব বন্ধ। যদিবা লুকাইয়া কিছু করিবার সম্ভাবনা ছিল, তাও স্ত্রীর জালায় কিছু হইবার জো নাই । তিনি যেন সারাক্ষণ সেপাইয়ের মত দরজা আগলাইয়া