পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sషాక్చా প্রবাসী SN88R দিক দিয়া যোগাযোগ স্থাপন করিয়াছিল এবং আজ অনেক মণীষী জাভার অষ্টম শতাব্দী হইতে দশম শতাব্দীর অনেক মন্দিরকে পহলবদেশীয় না করিয়৷ উত্তর-ভারতীয় মন্দির বলিয়া নির্দেশ করিতেছেন। আনন্দ কুমারস্বামী তাহার Isistory of India and Indonesian Art পুস্তকের ১১৩ পৃষ্ঠায় লিপিতেছেন, “পাল স্থাপত্য ও ভাস্কৰ্য যাঙ্গকে -|-- i. oR 1. | “.'Loit is % {

  1. ’. 3,

পেগান-মন্দিরের ফ্রেন্থে। চিত্র—পদ্মপাণি মুক্তি ‘পুৰ্ব্ব-বিভাগ’ বলা হয়, নালন্দায় তাহা আদশরূপে গৃহীত হইয়ছিল। মুসলমানদের আক্রমণের ( ১১৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দে ) পূর্ব পধ্যস্তও ইহা বৌদ্ধধর্মের প্রধান শিক্ষাকেন্দ্ররূপে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। পালশিল্পের প্রসিদ্ধ মন্থণ কালো পাথরের মূৰ্ত্তি নালন্দায় প্রচুর পরিমাণে দেখা যায় এবং ইহার ব্রোঞ্জের বৌদ্ধমূৰ্ত্তিগুলিও প্রসিদ্ধ। বোধ হয় তারনাথ কর্তৃক উল্লিখিত প্রসিদ্ধ শিল্পিদ্বয় ধীমান ও বীতপাল এই স্থানে নবম শতাব্দীর শেষভাগে কাজ করিতেন। দেবপালদেবের তাম্রশাসনেও দেখিতে পাওয়া যায় যে নালন্দা তাহার বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও শিল্পপদ্ধতির প্রভাবে নবম শতাব্দীতে স্থমাত্রা ও জাভাসহিত পরস্পর ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধে আবদ্ধ হইয়াছিল এবং আরও উল্লিখিত আছে যে, স্ববর্ণদ্বীপের বালপুত্র ৮৬০ শকাকে প্রসিদ্ধ মঠ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন।” বঙ্গদেশ ও জাভার সহিত এই সব ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ব্যতীতজ্ঞ যে সেই সময়ের জাভার স্থাপত্য বঙ্গদেশের স্থাপত্য হইতে অন্তপ্রেরণ পাইয়াছিল তাহ পাহাড়পুর আবিষ্কারের পর আর কোন সন্দেহ করিবার উপায় নাই। পাহাড়পুর আবিষ্কৃত হওয়ার পর্বে জাভার ক্রুশ-চিঙ্গিত ভিত্তির মূল ভারতে কোথাও খুজিয়া পাওয়া যায় নাই এবং সেই জন্য অনেক মনীষী ইহাও বলিয়াছেন যে উচ্চা জাভার নিজস্ব স্থাপত্যধারা । কিন্তু এই সব থোদিত লিপি, তাম্রশাসন পত্রের বিবৃতি এব: অন্যান্য স্থলপথে ও জলপথে বঙ্গদেশের সহিত দ্বীপময় ভারতের যোগাযোগ এবং এই মন্দিরগুলি হইতে তিন-চরি শত বৎসরের পর্কের পাহাড়পুর আবিষ্কৃত হওয়ার পর উক্ত কথ বলিবার আর উপায় নাই । দীক্ষিত মহাশয় প্রত্নতঃ বিভাগের বার্ষিক বিবরণীর ( ১৯২৬-২৭ ) ৩৯ পৃষ্ঠা লিথিয়াছেন, “স্থাপত্য শিল্প-শাস্ত্রে ভারতীয় মন্দিরের প্রধাতিনটি শ্রেণীর কথা উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রথমটি নাগরী, দ্বিতীয়টি দ্রাবিড় এবং চালুক্য অর্থাৎ বেশর এব তৃতীয়টি সৰ্ব্বতোভদ্র । এই সৰ্ব্বতোভদ্র ধারার অর্থাৎ যথামুপাতিক ত্রিতল অথবা চতুস্তল মন্দির পাহাড়পুর ভিন্ন ভারতের অন্য কোন প্রদেশে পাওয়া যায় নাই এবং বোধ হয় উহার নিম্মাণ-পদ্ধতি বহু পূৰ্ব্বেই অন্যান্ত প্রদেশবাসী ভূলিম গিয়াছিল। ভারতীয় এই বিশিষ্ট স্থাপত্য পদ্ধতি সুদূর পূর্বখণ্ডে বিশেষত: ব্ৰহ্মদেশ, জাভা এবং কাম্বোডিয়ার স্থাপত্যকে অস্থপ্রাণিত করিয়াছিল। পাহাড়পুরের পরিকল্পনা ও গঠনপ্রণালীনিকটতম আদর্শ কেবলমাত্র এ পর্য্যন্ত মধ্যজাভায় প্রাস্বানামে সন্নিকটস্থ চণ্ডী-লোরে-জংগ্রাং এবং চণ্ডী-লেউ মন্দিরের স্থাপতে দেখিতে পাওয়া যায়। চণ্ডী-লোরে-জংগ্ৰাং মন্দিরের বদ্ধি" কোণ, আৰ্দ্ধপিরামিডাকৃতি এবং অলঙ্কত সমতল ভারত মন্দিরের বিশিষ্ট পদ্ধতিকে প্রদর্শন করে । চণ্ডী-সেউ মন্দিরে ভিতরকার নক্সার সহিত পাহাড়পুরের প্রধান মন্দির ও দ্বিতী পোতার আশ্চৰ্য্যজনক সাদৃশ্ব দেখিতে পাওয়া যায়। প্ৰ মন্দিরগুলি নবম শতাব্দীর অর্থাৎ পাহাড়পুর হইতে ৫