পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चनखपूङ ২১৭ শুনে কমলাও হাসল। অগ্রহারণ শিশির বললে—জান কমলা, প্রথমে খবরটা পেয়ে আমার এমনি ফুপ্তি হয়েছিল ষে মনে হ’ল, কালই চাকুরি ছেড়ে ৰে। তখন বুঝলে কি না, আমিই বা কে আর রাজাই বা আপিসে বড়বাবু মাঝে মাঝে ধমকু দিয়ে বলেন—ন কে...ব’লে টেনে টেনে হাসতে লাগল । পোষায় ছেড়ে দিলেই পার । বসন্তদূত ঐবিনায়ক সান্তাল বসন্ত এনেছে লিপিখানি অশোকে কিংশুকে হাসে কার রক্ত-রাঙা চীনাংগুক, অনস্তের অস্তরের বাণী ; তরঙ্গের লীলারঙ্গে হেরি করে উরস উৎসুক, মানীর পুষ্পকিসলয়ে স্বন্দরের অনিন্দ্য ইঙ্গিত ; বনব্রততীর অঙ্গে কে দিল রে হেন পেলবতা, পল্লবে পল্পবে তার উদ্বেলিত বরণ-সঙ্গীত । বান্ধুলি বিলি কা’র অধরের তপ্ত অধীরতা ? , দিকে দিকে -- হেরিলাম অনন্তের মহামহোৎসব, - y আকণ্ঠ করিমু পান আগ্রহের উদগ্র আসব ! আনন্দসন্দোহ, পক্তে মোর তরঙ্গিল অহরহ দুঃসহ বিরহ ! কোকিলের কলকণ্ঠে, দোয়েলের বিভোল উল্লাসে, s সহ বিরহ ; তটিনীর মধুচ্ছন্দে, লীলায়িত নীলিম আকাশে, মর্শ্বরিত বেণুকুঞ্জ মাঝে, কী আভাস ভাসে । মুখর মন্ত্রীর কার বাজে ! গ্ৰহতার, দূর নীহারিকআম্রমঞ্জরীর গন্ধে, কেতকীর স্বরভি নিশ্বাসে, অসীমের ললাটের জ্যোতিৰ্ম্ময় টীক8– সজিনার ফুলে, আর বাতাবীর স্ববাস-উচ্ছ্বাসে, রুদ্ধকক্ষ খুলিল হিয়ার, মলয়ৰীজনাকুল বনশ্রীর উল্লোল অঞ্চলে, দেখাল বিস্তৃতজনে অনুপ সে শ্ৰীমুখ প্রিয়ার । যেন কার রভস উচ্চলে ; হে বসন্ত-দূত, যেন কার অঙ্গপরিমল স্বধাবিযে-মিশা তব লিপিকা অদভূত ! হুরষপরশরসে চিত্ত মোর করিল বিকল । আমরার অমৃত সিঞ্চিয় রচিয়াছ তোমার বারতা ; - বেদনার অবদানে উদ্দীপিয়া বিরহের ব্যথা যারে চাই তবু নাহি পাই,

  • উঘোষিছ দিশে দিশে বর্ণে গন্ধে রসে আর গানে,

সে আমার হারানিধি দিল বিধি আজি কি মিলায়ে ? এক বাণী তীব্র, তীক্ষ, উদাত্ত, মোহন— তাহারই বারতা এল মলয়ের মধুময় বায়ে ? বসন্তের মধৃৎসবে স্বন্দরের শুভ নিমন্ত্রণ !