পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उआsiईश्नंज्ञe ত্ৰিলোক্তন বলে—বষ্ট দু-একটা কথাবার্তাও হয় খালের সঙ্গে। বলি–রাকুলী, সৰ্ব্বস্ব গ্রাস করে ত আছিল, কৰে ফিরিয়ে দিবি, তাই বল। তার পর রাগ হয়ে যায়। খালের মুখে লাথি মেরে ফিরে আসি। একদিন বধু বড় ধরিয়া বসিল—দেখ, এক কাজ করলে झु --উহু, কিছু করব না। ফুলকুমারী চুপ করিয়া গেল, ত্ৰিলোচন কিন্তু সপ্তমে চড়িয়া উঠিল। বলিতে লাগিল— কেন কাজ করব ? চিরটা কাল কেবল কাজ আর কাজ– । আর কিছু পারব না। বয়স বাড়ছে না কমছে ? হারাণ উঠানের উপর পেয়ারাতলায় হামাগুড়ি দিতে দিতে থাবা ভরিয়া পেয়ার-পাত মুগে পুরিল। ত্ৰিলোচন কহিল—দেখ, দেখ—কি পায় আবার দেখ না গে— থোকা কি সহজ ধন ! অ কিয়-বাকিয়া পলাইতে চেষ্টা করে, তার পর হাতে-নাতে ত্ৰিলোচন ধরিয়া ফেলিল ত মাথা নাড়িয়া কিছুতে মুখে হাত দিতে দিবে না। —রও দুই ছেলে-মুখ তোল, এই খোকা—তোল— দুষ্ট ছেলে মিটমিটি হাসে, তার পর হাসিমুপে দাতে দাত চাপিয়া মুখ ঘুরায় আর বলে—নেই-নেই, নেই.. সংসার চলে। কি করিয়া চলে, সে জানেন অন্তৰ্য্যামী, আর জানে ফুলকুমারী। সে যে কোথা দিয়া কি করে তার সংসারের খবর সে কাহাকেও বলিবে না। বছর ঘুরিয়া আসিল, অগ্রহায়ণ মাস। উঠান ফাক, ধানের গাদ নাই, গোটা গ্রামের মধ্যেই ধান-পোয়ালের সম্পর্ক নাই। ত্ৰিলোচন দাওয়ায় বসিয়া বসিয়া তামাক খায় অার ভাবে । এই সময়ে একদিন ফুলকুমারী বলিল—দেখ, আমার কথা শোন, গোলা খ খ করছে—ধান নিয়ে এস দিকি কুতকগুলো— ঠাষ্টা করিতেছে নাকি ? খোচাইয়া সে স্মৃতি জাগাইয়া তুলিয়া আর লাভ কি ? স্ত্রীর দিকে সে চাহিয়া দেখিল । চাহিলে আজকাল বড় কষ্ট হয় মনে । সৰ্ব্বাঙ্গ নিরাভরণ, চোখে কালির রেখা পড়িয়াছে, মুখের হাসি কিন্তু নিবে নাই। কুলকুমারী বলিতে লাগিল—উপায় আমি বলে দিচ্ছি। কিছু খাটনি নেট। শোন আমার কথা— ऍछठनष्टङ्गछ 良总A জিলোচন ধরা গলায় কহিল—খাটনি কি জামি ভয় করি বউ,—না করেছি কোন দিন ? ফুলকুমারী কহিল—পান স্বপারী কিনে বেরোও—ঐ রূপগঞ্জের দিকে । দু-জনে অনেক পরামর্শ হইল। কথাটা মন্দ নয় । রূপগঞ্জের দিকে শনির দৃষ্টি পড়ে নাই, সেখানকার আবাদে লক্ষ্মী অফুরন্ত ভাণ্ডার খুলিয়া বসিয়াছেন। এখন শীতকালে সচ্ছল গৃহস্থের ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা । চাষীরা যখন ক্ষেত-খামারে কাজে লাগিয়া থাকে, তখন ডাল ভরিয়া পান স্বপারী, পুথির মালা, খুনলী, কাঠের চিরুণী ও আর দশটা সৌর্থীন জিনিষ গ্রামের মধ্যে ফিরি করিয়৷ বেড়াইবার সময়। চাষা-বেীর স্বামী-শ্বশুরদের লুকাইয়৷ এটা-সেটা কিনিবেই ; নগদ পয়সার কারবার নয়, হাতে কারও পয়সা নাই, চুরি করিয়া আঁচল ভরিয়া ধান চাল । আনিয়া ফেরিওয়ালার ডালায় ঢালিয়া দিবে। এই ব্যবসা আরও দু-এক জনে ধরিয়াছে, এই করিয়া মোটামুটি তাদের সংসার চলিয়া যায়। কিন্তু ইহার মূলধনও চাই তিন-চার টাকা। ফুলকুমারী অভয় দিয়া কহিল—সে ঠিক হয়ে যাবে। ত্ৰিলোচন বলিল-—ত হবে । তোমার হাতে রূপোর বাউট-জোড়া আছে এখনও— ফুলকুমারী চটিয়া কহিল—ঠিকই ত। রূপোর বাউট অামি আর পরব না ত ও উঠে গেছে—কেউ পরে না । আমায় তুমি সোনার বাউটি গড়ে দিও, তাই পরব। পরিবে না বলিয়াই বোধ করি সে বাউটি খুলিয়া ত্রিলোচনের কাছে ছুড়িয়া দিল । হাতে শাখা ছুটি সম্বল রহিল। পটম্বর পুতুল থেলিতেছিল। সেও রোখে রেখে পুতুল আনিয়া বাপের কোলে ফেলিয়া দিল। বলিল-পুতুল বেচে ফেল, বাবা। আমি সোনার পুতুল খেলবে— । ত্ৰিলোচন জার্ভকণ্ঠে বলিয়া উঠিল—বউ, তোরা মা-মেয়ে এমন শক্ৰত সাধতে লাগলি । সত্যি সত্যি আমার চোখের জল ফেলিয়ে ছাড়বি তবে,--- গামালে চলিতে লাগিল যম নয়। কাজটায় লাভ আছে, ঞ্জার সে অনুপাতে খাটনি সামান্তই। দুপুরে ফিরিধার সময়