পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশী শব্দের বাংলা বানান শ্ৰীবীরেশ্বর সেন প্রাবণের প্রবাসী’তে “পারিভাষিক শব্দের বানান" শীর্ষক প্রবন্ধে দেখিলাম যে বাংলা পরিভাষা সঙ্কলনের নিণিও র্যাঙ্গার নিযুক্ত হইয়াছেন ইহার বিধৃত আ স্থলে অ লেখার পক্ষপাতী নহেন। অতএব তাহদের মঙে ইরেজী npper শব্দ বাংলায় ‘অপর’ কপে লেখা উচিত । কিন্তু আমার বোধ হয় যে র্তাহার। এইটা ভাবিয়া দেখেন নাই যে বাংলায় স স্কৃত অ-কারের উচ্চারণ অর্থাৎ fur এবং rathoএব মর উচ্চারণ প্রায়ই নাই। দৃষ্টান্ত--আমি, আমার, তোমার, তাহার প্রভৃতি সৰ্ব্বনামগুলির একটারও অ-কার দীর্ঘরূপে উচ্চারিত হয় না । ম, ডাল, কাক প্রভূতি কতকগুলি শব্দের অ-কার আমরা দীর্ঘরূপে উচ্চারণ করি কি৪ মাম, কাক’, বাব প্রভূতি শব্দের আ-কার ও সৰ্ব্বনামগুলির অ-কার বিবৃত অ ভিন্ন অব কিছুই নহে। যাহার এ সকল কপী পুৰ্ব্বে ভাবেন নাই তাহারা হয়ত আমার এই মত শুনিয়া সম্পূর্ণ অবিশ্বাস করিবেন। ষ্টাহাদিগকে আমি প্রথম সৰ্ব্বনামটার অ-কারের মাত্র হ্রস্ব কি দীর্ঘ পরীক্ষা করিতে বলি। যদি বাংলা ভাষায় সংস্কৃত মালিনী ছন্দে একটা কবিতা লেখ৷ যায় এবং তাহার প্রথম শব্দট; যদি আমি থাকে তাহ হইলে পড়িবার সময় কিছুমাত্র ছন্দঃপতন অনুভূত হইবে না। যথা—আমি যদি জলমধ্যে লোকযাত্র বিসৰ্জি । ইহাতে কিছুমাত্র ছন্দের ব্যাঘাত হয় না, কেননা ‘আমি যদি জলমধ্যে পড়িতেও যত ক্ষণ তুমি যদি জলমধ্যে’ পড়িঙ্গেও তত ক্ষণ লাগে। স্বতরাং তুমির উ-কারটার যেমন হ্রস্থ, আমির অ-কারটাও তেমনি হ্রস্ব। অর্থাৎ এই অ-কারটা বিবৃত আ কার ভিন্ন আর কিছুই নহে। এইরূপ সকল স্থলেই যখন বাংলায় অ লেথ হয় তপন বাংলায় upper শব্দ ‘আপার রূপ লেখা উচিত। Upper শব্দের গুইট স্বর এবং ‘আমার শব্দের দুইট স্বরে যে কোনরূপ প্রভেদ আছে ঠাই আমার বোধ হয় না। আমার এই যুক্তি অনুসারে club, sir ং ল'ধ লিখিতে হইলে ক্লাব ও সার লেখা উচিত। হিন্দী, মারাঠী, ও54"ণ প্রভৃতি ভাষায় অপর, ক্লব ও সৰ্ব লেখা উচিত, কেননা সেই সেই যায় অ-কারের প্রকৃত উচ্চারণই বিবৃত। ১. ইয়র্ক, লণ্ডন প্রভৃতি শব্দে আকার দেওয়া উচিত নহে । খি ভূঠি ভাষায় র-কারের পর অনর্থক দ্বিত্ব নাই। কিন্তু আমাদেব ** ? ठीक ऍफ़ाब्रt१ अरडा आtछ। यथशऐाग्न थाभद्र छुझे 'उ' ३ * * করি। র-কারের পরস্থিত বর্ণ মাত্রই আমরা দ্বিত্ব অথবা

  • প উচ্চারণ করি। তবে যে তর্ক, মুখ, গণ, দুর্ঘট, মিৰ্ব্বর, অর্পণ, " " মুষ্টি শব্দে র-কারের পরবর্তী বর্ণগুলিকে অভ্যন্তরাপে উচ্চারণ করিলেও সেগুলি দ্বিত্ব করিয়া লিখি না, তাহার কারণ এই যে তাছাতে প'ষ্টপি ও লময় ব্যয়িত হয়। কিন্তু কৰ্ত্ত, সুঘ্য প্রভৃতি লিখিতে তেমন স্বাস এবং সময় লাগে না। পূৰ্ব্বকালের বাংলা ছাপার বইতে 'ক ও গৰ্ত্ত দেখিয়াছি।

{ لا يسموننا বিদেশী হসন্তু শব্দের শেষে হস্ চিহ্ন দেওয়াই ভাল ৰোধ হয়, কেননা মা দিলে স্বরান্ত শব্দও ব্যঞ্জনান্তকপে অনভিজ্ঞ লোক পড়িতে পারে। live-law বাংলায় বাইল বলিয়া লিখিত হয়। আমি আসামের কোন কোন লোককে বtল বা আসামীতে কথা বলিবার সময় বাইলু বলিত শুনিয়াছি। Bornard Shaw বাংলায় লিখিলে বার্ণার্ডশ পড়িতে পারে এই জষ্ঠ বিদেশী শব্দের যেখানে হসন্ত সেইখানেই হস্ চিহ্ন দেওয়া উচিত । মাকড়সা শব্দটি বালকের কখনও কখনও মাড়স, কখনও কখনও মাকড়স পড়িয়া থাকে। বাংলা অক্ষর দিয়া বাংল। সৰু ভাষা এবং সস্থত প্রায় ঠিক্ ঠক্‌ই লেখ যায়, কিন্তু বাংলা কপিত ভাৰ সম্পূর্ণরূপে লেখ৷ যায় ন । অবস্থ যখন এইরূপ তখন যে বিদেশী কোন ভাষা বাংলা অক্ষরে ভাল করিয়৷ লিখিত পরে যাইবে এরূপ অtণ হয় না । গারে ভাষা পূৰ্ব্বে বাংলা অক্ষরে লিখিত হইত। এখন তাহ হয় কি ন জানি না । খাসিয়া ভাষার জন্ত প্রথমে পাদ্রীর বাংলা অক্ষরই ব্যবহার করিতেন, কিন্তু তাহাতে সুবিধ হইল ন দেখিয় পরে তৎস্থলে রোমান অক্ষর গৃহীত হইয়াছে। কিন্তু আশা করা যায় যে আমাদের শুভদিন নিকট—অীর অধিক দিন আমাদিগকে বাংলা অক্ষর লইয়। দুর্ভোগ ভুগিতে হুইবে না। বিদ্বন্তম কয়েক ব্যক্তি কিছুদিন হইতে এই মঠ প্রকাশ করিতেছেন যে আমাদের বাংল অক্ষর পরিত্যাগ করিয়৷ রোমান অক্ষরই গ্রহণ করা উচিত। তাহ হইলে কেবল যে আমাদের বানানের উন্নতি ও সংশোধন হই-ব তাহী নহে, সঙ্গে সঙ্গে বাংল ভাষার এবং আমাদের জাতিরও উন্নতি হুইবে । শিশু বিদ্যাশিক্ষা করিবার জন্ত বিদেশে যাইবে ইহ শুনিয়। মাতার মনে যেমন প্রথমে একট। আঘাত লাগে, অনেক বাঙালীর ও সেইরূপ বাংল। অক্ষর পরিত্যাগ করিবার প্রস্তাবে স্বদেশপ্রেমে আঘাত লাগিলে । কিন্তু সকলেরই স্মরণ রাখা উচিত যে দেশ যেমন আছে তেমনই থাকুক—এরূপ ইচ্ছ বাস্তবিক স্বদেশপ্রেম নহে, কিন্তু দেশ যেমন আছে তাহ। অপেক্ষ। ভাল হউক এরূপ ইচ্ছাই প্রকৃত স্বদেশপ্রেম । বৰ্ত্তমান সময়ে গাজী কামালপাশ অপেক্ষ কেন্থই অধিকতর স্বদেশপ্রেমিক নহেন। সেই ভ ম্ভ তিনি আতাতুর্ক নাম পাইবছেন। ইহার অর্ধ তুদিগের পিত। তিনি সম্প্রতি স্বদেশে তুকা বর্ণমালার পরিবর্তে রোমান বর্ণমাল প্রচলিত করিয়াছেন । তাহার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয় অমর। সৰ্ব্ব প্রকার শুভ সংস্কার গ্রহণ করিব, কবে আমাদের তেমন মধুদ্ধি হইবে । পুনশ্চ। অশুদ্ধ শব্দের আরও দুইট দৃষ্টান্ত দিতেছি । 'সত্যকার’ শব্দটা যে অশুদ্ধ তাহ শিক্ষিত বাঙালী মাত্রই বুঝিতে পরিবেন, কিন্তু অমের প্রকৃত’, ‘বাস্তবিক’, ‘সত্যসত্য প্রভৃতি শব্দ থাকিতে নারীভাষী হইতে ‘সত্যকার' এই অশুদ্ধ শব্দটা ব্যবহার করিতেছি । সংস্কৃত ঘৰ্ম্ম এবং তাঁহার অপভ্রংশ ‘খাম’ শব্দের প্রকৃত অর্থ তাপ । হিন্দীতেও তাপকে ঘামই বলিয় থাকে। ঘৰ্ম্ম শব্দট। যে কেবল সংস্কৃতের সম্পত্তি তাহ ন হে ; ইহা ইংরেজীতে war i , পাণী, হিন্দী এবং বাংলার গরম, গ্রীকে থামস হইয়াছে, কিন্তু বাংলায় আমরা ঘর্থ