পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Raw প্রবাসী SNー)●ミ এবং ঘাম দুইট' শব্দই স্বেদ অর্থে ব্যবহার করিয়া থাকি । স্বয়ং কালিদাসও বোধ হয় এই স্বেদ অর্থে মেঘদূতের ১৬১ গ্লোকে ঘৰ্ম্ম শব্দ প্রয়োগ করিয়াছেন। যদিও সকল টীকাকারই সেখানে তাপ অর্থ করিয়াছেন । কিন্তু তাপ অৰ্থ অপেক্ষ স্বেদ অর্থ তথায় অধিক সঙ্গত বলিয়। অন্তত আমার বোধ হয় : বঙ্গের পল্লীগ্রাম ও কুটারশিল্প শ্ৰীসত্যভূক্ষ্মণ দত্ত বিগত আষাঢ় সংখ্যা প্রবাসীর বিবিধ প্রসঙ্গে সম্পাদক মহাশয় “বঙ্গের পল্লীগ্রাম ও কুটারশিল্প" শীলক মন্তব্যের শেষাংশে কূটরশিল্পজাত দ্রব্যাদির কাটতির ব্যবস্থ' সম্বন্ধে যে আলোচনা করিয়াছেন, তাঙ্ক। অতি মূলাবান। সরকারী ও বে-সরকারী র্য’হার বঙ্গের কুটীয়শিল্পের উন্নতিকল্পে বৃহ আছেন বা হইতেছেন, হাদিগকে প্রথমেই লক্ষ্য রাখিতে হইবে, পল্লীসমূহের লুপ্ত শিল্প উদ্ধার করতঃ ঘরে ঘরে কতকগুলি শিল্পী তৈয়ার করিলেই কৰ্ত্তব্য শেষ হইলে না। শিল্পবিভাগ হইতে পল্লীগ্রামসমূহে ঘুরিয়া ঘুরিয়৷ নানা প্রকার কুটারশিল্প শিক্ষা দিবীর জন্ত উপযুক্ত শিল্পী স্বারা গঠিত কযেকটি দল (1emonstrution party) আছে। ঠাহার কত্ত্বপক্ষের নির্দেশমত যখন যেস্থানে আবখ্যক সেখানে গিয়া হাতে-কলমে কাজ শিক্ষা দিয়৷ থাকেন। কিন্তু শিক্ষাপ্রাপ্ত শিল্পীদের জিনিষ বিক্রয়ের ব্যবস্থা তাহার। করিয়া দিতে পারেন না। এ-বিষয়ে শিল্প-বিভাগেরও কোন ব্যবস্থা নাই। তজ্জন্তই অনেক স্থলে দেখা যায় যে মূলধনবিহীন দরিদ্র শিল্পীর সামান্ত মূলধন তাহার নিৰ্ম্মিত অবিক্রীত জিনিলে আটকাইয়৷ পড়িলে ভগ্নমনোরথ হইয়। সে তাহার যন্ত্রপাতি হয় বিক্রয় করিয়া ফেলে নতুবা তাত ঘরের কড়ি-বরগার স্থান পায়। সামান্ত জিনিষ লইয়। পল্লী হইতে শহরে গিয়া ফেরী করিয়া বিক্রয় করাও তাহার পক্ষে দুঃসাধ্য। ইহা অামার কাল্পনিক কথা নহে, সতর বৎসরের অভিজ্ঞতালব্ধ খাটি সত্য কথা । এখানে কপাট আরও একটু পরিষ্কার করিয়া বল ভাল । ১৯২১ সালে বাংলার অধিকাংশ স্থলেই চরকায় স্থত কাটার প্রচলন দেখা গিয়াছিল, কিন্তু কিছুদিন পরে একমাত্র “অভয় আশ্রম,* "খাদি প্রতিষ্ঠান" বা আরও কয়েকটি স্বদেশী প্রতিষ্ঠান ভিন্ন, প্রায় সব জায়গার চরকাই আচল হইয়। বাড়ির আনাচে-কানাচে স্থান লাভ করিয়াছিল। অভয় আশ্রমের বিশিষ্ট কৰ্ম্মীদের মুখে শুনিয়াছি এক সময় ঠাহীদের বরকমৃত্যু-কেঙ্গে এত স্বত কাট হুইত যে প্রতি সপ্তাহে কটুীদের বিস্তর টাকা নগদ দিতে হইত। বহু পরিবার একমাত্র স্থত কটিয়াই কোন প্রকারে জীবিক নিৰ্ব্বাহ করিত । ইহার কারণ আর কিছুই নহে ; যাহার বরাবর স্থত। কাটিত তাহার বরাবরই নগদ পয়স! পাইত। আমার কতিপয় উৎসাহী প্রাক্তন ছাত্র কূটরশিল্পের কাজে বেশ দুই পয়সা উপার্জন করিয়া সাধারণ ভাবে জীবিক, নির্বাহ করিতেছে। কিন্তু বহু দরিদ্র শিক্ষার্থ শুধু জিনিৰ বিক্রয় ও মূলধনের অভাবে তেমন ভাবে কাজ করিতে পারিতেছে না। আমি বছরের পর বছর ধরিয়া এসব পল্লীশিল্পীদের জিনিষ প্রচার করিবার ও বাজারে চালাইবার জন্তু প্রাণপণে চেষ্টা করিতেছি । প্রতি বৎসর বাংলার নানা স্থানের প্রদর্শনী ও নানা শহরে জিনিষ ফেরী করিয়া জিনিব বিক্রয়ের জগু কশ্মিগণকে পাঠাইয়া থাকি। তম্ভিন্ন আমি ১৯৩৪ সালের মাসে কলিকাতা গিয়া বেঙ্গল ইমিউনিটর মানেজিং ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন খ্ৰীযুত্ত্ব নরেন্দ্রনাথ দত্ত মহাশয়কে সঙ্গে লইয়। "বেঙ্গল ষ্ট্রোস”কে আমাদের প্রস্তুত জিনিষ বিক্রয়ের জঙ্ক ( বেত-বাঁশের বিভাগের ) এজেন্ট নিযুক্ত করিয়া আসিয়াছি। কিন্তু সেখানেও আশানুরূপ কিছুই বিক্রয় হইতেছে না । শুধু জিনিষ বিত্ৰয়ের ব্যবস্থার দরুশই আমি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া কতকগুলি জিনিষসহ সরকারী শিল্প-বিভাগের ডেপুটী ডিরেক্টর লীযুক্ত সতীশচন্দ্র মিত্র মহাশয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়। আলোচনাক্রমে জিনিষগুলি সেখানে রাখিয়! আদি। তৎপরে শিল্পবিভাগের মন্ত্রী মাননীয় নবাব খ্ৰীযুক্ত কে. জি. এম. ফারুকী মহোদয়কেও এ প্রস্তাব দিলে তিনিও সাগ্রহে আমার প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং বলেন সরকার হইতে ইহার কোন ব্যবস্থ কর। যাইতে পারে কিন। তিনি দেখিবেন। ভারত-সরকারের মঞ্জুরী এক কোটা হইতে বাংলাকে যে উনিশ লক্ষ পচিশ হাজার টাকা দিবার বরাদ হইয়াছে, তাহা হইতে কতক টাক পী-কৰ্ম্মীদের দাদন পিয় তাহদের জিনিষ নিয়মিত বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা যাইতে পারে কিনা তদ্বিযয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি । ভারত-পল্লী-সঙ্ঘের বাংলার ভারপ্রাপ্ত ডক্টর শ্ৰীযুক্ত প্রফুল্লচন্দ্র যোগ মহাশয়ের কয়েক জন কৰ্ম্মী ত্রিপুর সেন্টাল কমিটার অধীনে এ অঞ্চলে একটি কেন্দ্র করিয়া পাটের হত। কাট ও বস্ত৷ ছাল ইত্যাদি প্রস্তুত্ত করাইয়। লোককে সাহায্য করিতেছেন। মাসে প্রায় পাচ শত ছোটবড় ছাল প্রস্তু ৪ হইতেছে । ছালাগুলি বিক্রয়ার্থ সঙ্গে সঙ্গেই কলিকাতা চালান হইতেছে এবং কন্মিগণও প্রত্যেক জিনিষ প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গই নগদ পয়স। পাইতেছে । ইহাতে কৰ্ম্মীর সংখ্যাও বাড়িবে এবং উৎসাহ উদ্যম স্নান হইবে না । মোট কথ। জিনিষ বিক্রয়ের ব্যবস্থা ন হইলে কুটারশিল্পের উন্নতি "যে তিমিরে সেই তিমিরে । কুণ্ড শিল্প-বিদ্যালয়, ত্রিপুর। “শব্দগত স্পর্শদোষ” ঐবিজনবিহারী ভট্টাচাৰ্য্য বীরেশ্বর বাৰু ভাদ্র সংখ্যা প্রবাসীতে বলেছেন, “এইরূপ উলটপলট •••রচনা করিয়াছিলেন” ইত্যাদি। অর্থাৎ তার মতে যে বিপৰ্য্যস্ত শঙ্গ বক্তার মুখ থেকে অকস্মাৎ বেরোয় সেট Spoonoris এর নিদর্শন নয়, যে-শব্দ বক্ত, অপ.রর হাস্তোদ্রেক করবার গুস্তে স্বেচ্ছায় এবং সঞ্জলে #5al «rqa s-ê æ«å Spoonotisma: wwiis , fss 0xfu'd Dictionarytē Spooneris a *tstā অর্থ দেওয়৷ stigtig :-An arridental transposition of the inital sounds or othor pi * of two or moro words. এই অর্থ মেনে নিলে “কােপর পড়," ও "সিঙারা কচুড়ি"কেও Spoonorismএর অন্তর্গতই ব’লত হবে । ধিণি পৃথক্ ভাবে রু ও ডু এই ছুটি বর্ণই উচ্চারণ করতে পঠন তিনি যদি হঠাৎ "ক্ষীড়ের পেরা বলে বসেন তা হ’লে ত’ “accidental transposition” sig vita fe qarr SEHR ***