পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

 في الملل | ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদাদের ভ্রান্তজনক উক্তি ভারতীয়দের বিবেচনায় সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ রাজপুরুষেরা ভারতবর্ষ সম্বন্ধে তাছাদের কৰ্ত্তব্য ন্যায়পরায়ণতা ও মানবিকতার সহিত করেন না, অথচ যাহা করেন তৎসম্বন্ধে এমন সব কথা বলেন যাহাতে সভ্যজগতের অ-ভারতীয় লোকদের এই ভ্রম হইতে পারে যে র্তাহারা ভারতবর্ষ সম্বন্ধে শুধু ন্যায়পরায়ণতার সহিত নহে অধিকন্তু মহানুভবতা ও সদাশয়তার সহিত কাজ করিয়াছেন । গত ১১ই সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের ভূতপূৰ্ব্ব ভারতসচিব ও তাহার বর্তমান পররাষ্ট্রসচিব সবু সামুয়েল হোর জেনিভায় রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি-সভায় বলেন :– “যে সমুদয় নীতি রাষ্ট্রসংঘের ভিত্তিভূত বলিয় আমরা মনে করি, তদনুসারে আমরা আমাদের অধিকৃত দেশসমূহে অবিচলিত ভাবে ক্ৰমাগত স্বশাসন বুদ্ধির চেষ্টা করি। দৃষ্টাস্তস্বরূপ, কয়েক সপ্তাহমাত্র পূৰ্ব্বে জামি ভারতবর্ধকে স্বশাসন দিবার নিমিত্ত সাম্রাজ্যিক পালেমেন্টে একটি মহৎ ( বা বৃহৎ ) ও জটিল আইন পাস করিতে সাহায্য করিবার নিমিত্ত দায়ী ছিলাম।” . . . -- ১৯৩৫ সালের ভারত-গহন্মে স্ট আইন দ্বারা যে ভারতবর্ষকে স্বশাসনক্ষমতা দেওয়া হয় নাই, তাহা আমরা কাৰ্ত্তিকের প্রবাসীতে ১৩২ হইতে ১৩৫ পৃষ্ঠায় দেখাইয়াছি। পুনরুক্তি করিব না। তাহার পর ১৬ই সেপ্টেম্বর ভারতের বর্তমান ব্রিটিশ গবর্ণর-জেনার্যাল লর্ড উইলিংডন ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভা ও কৌন্সিল অব ষ্টেটের সম্মিলিত অধিবেশনে বক্তৃতা করিতে করিতে বলেন – “ইহ আমীর পক্ষ মহা সন্তোষের বিষয় যে আমার রাজপ্রতিনিধিত্বের আমলে বহুযুগব্যাপী একবিধ বহু চেষ্ট ফলবতী হইবার সম্ভাবন হইয়াছে। সেই সব চেষ্ট কেবল যে ব্রিটিশ গবষ্মেন্ট করিয়াছেন তাছা নহে, অশোক হইতে আরম্ভ করিয়া ভারতের বহু শাসনকৰ্ত্তা করিয়াছেন। এই চেষ্টা ফলবতী হইয়াছে সেই আইনটি পাস করিয়া বাহা ভাৰতবর্ষের ইতিহাস প্রখম সমগ্র ভারতবর্ষকে তাঙ্কার সকল অংশের সাধারণ ব্যাপারসমূহের জন্ত একই গুবয়েন্টের অধীনে অখণ্ড ( श्ल ।” লর্ড উইলিংডনের এই উক্তির ভ্রাস্তিজনকতা আমরা কাৰ্ষিকের প্রবাসীতে ১৪৬ ও ১৪৭ পৃষ্ঠায় দেখাইয়াছি। আগে এ বিষয়ে যাহা লিথিয়াছি পুনৰ্ব্বার তাহ লিখিব না । কেবল ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে, যে, অশোকের সময় হইতে যে-সব ভারতসন্তান ভারতবর্ষকে অখণ্ড একটি রাষ্ট্রে পরিণত করিতে চেষ্টা করিয়াছেন র্তাহারা ভারতীয়ের দ্বারা শাসিত অখণ্ড ভারতবর্ষই চাহিয়াছিলেন, সমস্ত দেশটা সাতসমূদ্র তেরনদী উত্তীর্ণ হইয় আগত বিদেশী কোন জাতির অধীন হইবে, এ প্রকার অভিলাষ ও কল্পনা তাহারা করেন নাই। স্বতরাং বৰ্ত্তমান বৎসরের ভারতশাসন আইন দ্বারা ভারতীয়দের বহুযুগব্যাপী উদ্যম ও আশা পূর্ণ হইয়াছে বলা যাইতে পারে না। অতঃপর বর্তমান ভারতসচিব লর্ড জেটল্যাণ্ডের পাল । ভারতবর্ষ, ব্রহ্মদেশ ও সিংহলে ইংরেজদের পরিচালিত সংবাদপত্রসমূহের লগুমে একটি কমিটি (India, Burma and Ceylon Newspapers' London Committee) wizo I প্রতি বৎসর তথায় তাহার একটি ভোজ হয়। এ বৎসর অক্টোবর মাসে সেই ভেজে ঐ কমিটিটার নাম বদলাইয়া “ভারতীয় ও প্রাচ্য সংবাদপত্র সমিতি” ( Indian and Eastern Newspapers' Society) or osts ভারতীয়দের দ্বারা পরিচালিত ও সম্পাদিত সংবাদপত্রসমূহের স্বত্বাধিকারী ও সম্পাদকেরা এই কমিটি, সোসাইটি বা সমিতির সভ্য নহেন, অথচ নামটা এইরূপ ! যাহা হউক, এই সমিতির এই বৎসরকার ভোজে প্রধান নিমন্ত্রিত ব্যক্তি লর্ড জেটল্যাও যাহা বলেন, রয়টারের তারের খবরে তাহার এক অংশের সারমর্শ্ব এইরূপ হইয়াছে : করিয়াছে। ভারতবর্ষ এই প্রথম একটি অখণ্ড বৃহৎ দেশ