পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵս 3 প্রবাসী S૭8ર वि८क्न शक कब्रिदात्र भङ मृथ्राद्ध । डिनि क्ष्लन, बि4ि जाsाप्छात्र পুরাতন উপনিবেশগুলি যখন জাতিসমূহের ব্রিটিশ প্রজাতন্ত্ররাষ্ট্রমণ্ডলের অগুণত প্ৰশাসক ডোমীনিয়ন হুইয৷ যায়, তখন এই নূতন ধারণার উদ্ভব হয়। সহযোগিতামূলক সাম্রাজ্যবাদ ব্রিটিশ রাষ্ট্রীয়কাৰ্য্যপরিচালনবিষয়িণ প্রতিভ-তরুর শোভন ফুলকুমম। ইত এখনও সম্পূর্ণ বিকশিত হয় নাই। সেই দিন এখনও প্রভাত হয় নাই, যেদিন ভারতবর্ষ সেই বৃহৎ শৃঙ্খলাবদ্ধ রাষ্ট্রনগুলে নিজের চরম স্থান অধিকার করিবে, যে-রাষ্ট্রনগুল এই নুতন ধাৰণার চুড়ান্ত অবদান ; কিন্তু ভারত সেই শেষ লক্ষ্যস্থলের পথে এখন বহু দূর অগ্রসর হইয়াছে। [ হয় নাই। প্রঃ সঃ ] আমরা ভারতসচিবের কথার তাৎপৰ্য্য যে-ভাষায় দিলাম, তাহা বাংলা ভাষা এবং সহজবোধ্য বাংলা এরূপ দাবি করিতেছি না । তাহার কারণ, তিনি ইংরেজীতে যাহা বলিয়াছেন তাহাও সহজবোধ্য নহে। ইংরেজীর শব্দসম্পদ বাংলার চেয়ে অনেক বেশী । ফরাসী ভাষায় ও ইংরেজীতে যে একটা কথা আছে, “নিজের মনের ভাব গোপন করিবার জন্য মানুষকে ভায দেওয়া হইয়াছে”, তাহ বাংলা অপেক্ষ ইংরেজী ভাষার প্রতি বিশেষ প্রযোজ্য। লর্ড জেটুল্যাণ্ড বোধ হয় নিজের বক্তব্যটা বিশদ ভাবে ব্যক্ত করিতে চান নাই, এই জন্য শব্দড়িম্বরের আশ্রয় লইয়াছেন। ইহা অনেকে লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন, যে, ব্রিটেনের সহিত ভারতবর্ষের সম্বন্ধের কথা বলিতে হইলে ইংরেজরা সাধারণতঃ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য কথা দুটি ব্যবহার করেন, কিন্তু তাহার সহিত কানাডা প্রভূতির সম্পর্কের কথা বলিতে হইলে বলেন, তাহারা জাতিসমূহের ব্রিটিশ প্রজাতন্ত্ররাষ্ট্রমণ্ডলের অন্তর্গত। আমরা ভারতসচিবের উক্তির মৰ্ম্ম যাহা বুঝিয়াছি তাহা বলিতেছি । ব্রিটিশ উপনিবেশগুলি স্বশাসক ডোমীনিয়ন হইয়া যাওয়ায় সেগুলিকে এখন আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত বলা যায় না। কারণ সাম্রাজ্য বলিলে একটা প্ৰভু দেশ কতকগুলা অধীন দেশের উপর কর্তৃত্ব করে বুঝায়, কিন্তু কানাডা প্রভৃতি ডোমীনিয়নকে ব্রিটেনের প্রভুত্ব স্বীকার করিতে হয় না। এখন প্রধানতঃ ভারতবর্ষকে লক্ষ্য করিয়াই “ব্রিটিশ সাম্রাজ্য” কথা দুটি ব্যবহৃত হয় ; কারণ ব্রিটেন ভারতবর্ষের প্রভু ইহ কঠোর সত্য। কিন্তু ভারতবর্ষ এক দিন ডোমীনিয়ন হইবে, বহু বৎসর তাহাকে এই আশা দিয়া এখন তাহাকে স্পষ্ট ভাষায় “তুমি আমাদের দাস ও আমরা তোমার প্রভু" একথা বলা ফুটরাজনীতিসম্মত নহে । এবং ইংরেজরা ভারতবর্ষকে আবার ডোমীনিয়নত্বের আশা দিতেও চায় না। সুতরাং এখন এমন কিছু শব্দ প্রয়োগ করা দরকার যাহা স্বশাসক-ডোমীনিয়নত্ব নহে, আবার স্পষ্ট কথায় প্রভূ ও দাসের সম্পর্কবোধকও নহে। এই সঙ্কটে ইংরেজী ভাষার শব্দসম্পদ কাজে লাগিয়াছে— লর্ড জেটুল্যাণ্ড বলিতেছেন, ব্রিটেন ও ভারতবর্ষ এবং ভারতবর্ষের মত ভাগ্যবিশিষ্ট আরও কোন কোন অব্রিটিশ দেশ এমন একটা রাষ্ট্রমণ্ডলের অংশ হইবে যাহাতে ব্রিটেন ও ভারতবর্ষপ্রভৃতি দেশগুলার মধ্যে সহযোগিতা স্থাপিত হইবে । এখন এই সহযোগিতার মানে বুঝিবার চেষ্টা করিতে হইবে। ব্রিটিশ জাতির লোকের অ-ইউরোপীয় ও অব্রিটিশ লোকদের কাছ থেকে সহযোগিতা চান কি অর্থে, তাহ বুঝ ভারতীয়দের পক্ষে খুব সোজা। আমাদের গবন্মেণ্ট যখন আমাদিগকে সহযোগিতা করিতে বলেন, তখন তাহার মানে এ নয়, যে, সরকারী ইংরেজ ও বেসরকারী ভারতীয়গণ সমান সমান ভাবে পরস্পরের মত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন ; তাহার মানে এই, যে, গবন্মেণ্ট যাহা স্থির করিবেন আমাদিগকে তাহা ঠিক্‌ বলিয়া মানিয়া লইয়া তদনুসারে চলিতে হইবে । সহযোগিতামূলক সাম্রাজ্যবাদের ভিতরের কথাটাও তাই । ব্রিটেন প্রস্তাব করিবেন, আইন করিবেন, আমাদিগকে তাহা গ্রহণ করিতে ও মানিতে হইবে। ইহার নাম সহযোগিতা। আজ্ঞাকুবর্তিত বলিলে কর্কশ শুনায়, সুতরাং সহযোগিত কথাটার আমদানী করা হইয়াছে। এ কথাটা খুব পরিষ্কার বুঝা যাইতেছে, যে, লর্ড জেটুল্যাণ্ডের এবং তিনি যে দলের লোক আঁহাদেব অভিপ্রায় ইহা নহে, যে, ভারতবর্ষ কোন কালে স্বশাসক ডোমীনিয়ন হয় । সেই জন্য এই সহযোগিতামূলক সাম্রাজ্যবাদের রব তোলা হইয়াছে— যাহাতে লোকের মনে ধোকা জন্মে, যাহাতে লোকে মনে করে ব্রিটিশ রাষ্ট্রনৈতিক প্রতিভা ডোমীনিয়নত্বের সমতুল্য একটা কিছু আদর্শ ভারতবর্ষের জন্য উদ্ভাবন করিয়া তাহাকে সেই আদর্শের দিকে লইয়া যাইতেছে । ব্রিটিশ কমনওয়েল্থ অব নেশুন্সে অয়লাগু, কানাডার ফ্রেঞ্চরী, এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বৃঅর ও নিগ্রোরা ব্রিটিশ নহে।