পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مصر سو جا ধলভূমে গ্রামোন্নতির চেষ্টা ধলভূমের প্রধান স্থান ঘাটশিল । এই স্থানটি স্বাস্থ্যকর, ইহার প্র কৃতিক দুখ মনোহর, ইঙ্গর এক দিকে স্ববর্ণরেখা ও অন্ত টিকে খরস্রোতা প্রব,হিত, কলিকাতা হহঁতে কয়েক ঘণ্টায় এখানে পৌছান যায়। এই সব কারণে এথানে ক্রমশঃ ছ-এক জন বাঙালী অন্য জায়গা হইতে অলিয়া বাড়িঘর নিৰ্ম্মাণ করিতেছেন। ঘাটশিলাকে বাংলা দেশের বাহিরে ফেলা হইয়াছে বটে, কিন্তু ইহা বঙ্গের অন্তর্গত। বহুকাল হইতে এপনে ও নিকটা স্ত্রী গ্রামসমূ: ঘ"াদের বাস তাহার প্রধানত: স:ওতাল ও বাঙালী । ধলভূমের রাজা বাঙালী, র্তাহার পূৰ্ব্বপুরুষের বাঙালী ছিলেন । এগণ তিনি জমিদার, কিন্তু পূৰ্ব্বে এই রাজবংশ শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন। গত মাসে ঘাটশিলার সৰ্ব্বোচ্চ স্থানটিতে ২৫ বিঘা পরিমিত ভূপণ্ডে সৰ্ব্বসাধারণের বায়ুসেবন ও আমোদপ্রমোদের জন্য ডেভিস জুবিলি পার্ক নামক একটি উদ্যানের প্রারম্ভিক অতষ্ঠান হষ্টয়া গিয়াছে। মিঃ ডেভিস সিংহভূম জেলার ডেপুট কমিগুলার। জমী রাজা ঐযুক্ত জগদীশচন্দ্র দেও ধবলদেব দান করিয়াছেন, অনুষ্ঠানে সমবেত ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলাদের জন্ত প্রচুর জলযোগ ও অন্যান্য ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ র্তাহার ব্যয় হইয়াছিল। উদ্যানের জন্ত যাহ-কিছু ব্যয় হইবে, ত হাও তিনিই দিবেন। এই উপলক্ষ্যে ধলভূমরাজের ম্যানেজার শ্রযুক্ত হেমচন্দ্র চক্রবর্তী তাহার কুন্তীয় প্রকাশ করেন, যে, ধলভূমের গ্রাম্য লোকদের সর্ববিধ উন্নতির জন্য একটি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হইল। আপাততঃ কুড়ি বিঘা জমীতে কুষিক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত হইবে ও তাহ তে উন্নততর রুষিপ্রণ লীর পরীক্ষ হইলে । এই পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান কুষিজীবী সব লোকের মধ্যে বিস্তার করা হইবে। এইরূপ আরও পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপিত হইবে, নিরক্ষর লোকদিগকে লেখাপড়া শিগান হইবে, এবং তাহদের নৈতিক অবস্থার উন্নতি কবিবার চেষ্টা করা হইবে । এই অঞ্চলে সাওতালদের ও অভিনিম্ন শ্রেণীর হিন্দুদের মধ্যে মদ্যপানের প্রচলন থাকয় এরূপ চেষ্টার প্রয়োজন আছে । ঘাটশিলয় ও নিকটবৰ্ত্তী গ্রামসমূহে সাধারণ ধানচাষ ছাড়া তরকারী ও নানবিধ ফল উৎপাদন করিলে তাহ'র স্থানীয় ক্রেতা দুটিবে এবং রেলযোগে এক দিকে খড়গপুর ও প্রবাসী ১৩৪২ মেদিনীপুর ও অন্য দিকে টটানগর, জমশেদপুর ও চাইবাসাতে চালান দেওয়া চলিবে । শাল পিয়াল আসন পলাশ প্রভৃতির বন রক্ষিত হইলে কেবল যে কাঠের ব্যবসর স্ববিধা হইতে পারে, তাহা নয়। শালগাছের নির্য্যা, পিয়ালের ফল, কেঁল, হরিতকী, আমলকী, বহেড়া, তসরের গুটি, লক্ষ প্রভৃতির ব্যবস চলিতে পারে । উক্তরূপ ব্যবসা সিংহভূম, মানভূম, বাঁকুড় ও মেদিনীপুর জেলার অনেক স্থানেও চলিতে পারে । সৰ্ব্বসাধারণের সুবিধার জন্য ঘাটশিলার রাজার দী,ক’ চিকিৎসালয় আছে । ঘাটশিলায় পাইক নৃত্য ঘাটশিলার ডেভিস জুবিলি উদ্যান প্রতিষ্ঠ উপলক্ষ্যে সন্ধ্যাকালে গ্রাম্য হিন্দুদের নানা প্রকার “পাঠক নৃত্য” হইয়াছিল। পরদিন স্থানীয় ধলভূম-রাজ কাছারীতেও এই নৃত্য হইয়ছিল। এই নাচগুলি সমস্তই স্বরুচিসঙ্গত এবং গ্রাম্য নৰ্ত্তকের বিশেষ নৈপুণ্যের সহিত নাচিয় ছিল। কেবল পুরুষেরাই নাচিয়ছিল—কতক পুরুষের বেশে, ' কতক নারীর বেশে । পুরুষবেশীদের কোন কোন নৃত্যু নৃত্য ও ব্যায়াম উভয়েই দক্ষতা প্রদর্শিত হইয়াছিল । বিছু কিছু রণকৌশলও প্রদর্শিত হইয় ছিল— যেমন চক্রবৃদ্ধি ! মণিপুরী রাপাল-নাচের মত নৃত্যও ছিল। নারীবেশীদের মৃত্য সাধারণ শোভন নাচ ছিল, আবার শ্রীকৃষ্ণচরিত-ঘটিত পৌরাণিক আখ্যায়িক সম্বন্ধীয় নাচও ছিল, এবং পোন কোন অম্বর বধের নাচও ছিল । তরবারি-হস্তে রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হইয়া মহিষমদিীর মহিষাসুর-বধ দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করিয়াছিল। অন্য অধিকাংশ নৃত্যও প্রশংসিত হইয়ছিল। শাস্থিনিকেতনে র্যাহারা মৃত্য শিক্ষা দেন, ধলভূমের এই নাচ তাঙ্গাদের দেখা উচিত। শান্তিনিকেতনে একবার :ে রায়বেশ নাচ দেখিয়ছিলাম, ধলভূমের পুরুষোচিত পাইকন’চ তদপেক্ষ উংকৃষ্ট বোধ হইল। ঘাটশিলার রাজার সহকী ম্যানেজার প্রযুক্ত বঙ্কিমচন্দ্র চক্রবর্তী শান্তিনিকেতনে ংি টু tল ছাত্র ছিলেন। বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ তাহাকে ঘিণি