পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSS్చ প্রৰণস S్సveBS বঙ্গানুবাদের জন্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ত্রিশ হাজার টাকা দিয়াছিলেন । ঈশানচন্দ্র জীবনে অনেক শোক পাইয়া গিয়াছেন, কিন্তু তাহাতে বিচলিত হন নাই । বাঙালীর সমুদ্রগামী জাহাজ অতীত কালে বাঙালী যে নদী ও সমুদ্রে যুদ্ধ ও বাণিজ্যের জন্য জাহাজ নিৰ্ম্মণ ও ব্যবহার করিত, ইতিহাসে ও কাব্যে তাহার প্রমাণ আছে। স্বতরাং নদীতে ও সমুদ্রে বাণিজ্যার্থ ষ্টীমার চালান বাঙালীর পক্ষে সাধ্যাতীত নহে। সেই জন্য সম্প্রতি ভারতবর্ষ ও ব্রহ্মদেশের মধ্যে জাহাজ চালাইবার যে চেষ্টা ঐযুক্ত হেমন্তকুমার সরকার ও শ্রযুক্ত মহীতোষ রায় চৌধুরী প্রমুখ এবটি বাঙালী কোম্পানী আরম্ভ করিয়াছেন, তাহা সফল হইবেই ন মনে করা যায় না ; আশা করি সফল হইবে । সাফল্যের প্রধান অস্তুরায় ব্রিটিশ কোম্পানীর ভাড় হ্রাস অস্ত্র। যদি সব বাঙালী ও ভারতীয় যন্ত্রী ও মালপ্রেরক শিক্ষিত ও স্বদেশাতুরাগী হইতেন, তাহ হইলে ব্রিটিশ জাহাজ ভাড়া কমাইলেও দেশী জাহাজ নিশ্চয় টিকিয়া থাকিবে বলিতে পারিতাম । ভাড়া হ্রাস-যুদ্ধ নিবারণার্থ আইন প্রণয়নের চেষ্টা করিতে হইবে । নদীতে ইংরেজ কোম্পানীর সহিত প্রতিযোগিতায় জাহাজ চালাইয়া অনেক বৎসর অনেক হাজার টাকা লোকসন দিয়া আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখ স্বদেশঃি তৈষী ব্যক্তিগণ জয়লাভ করেন। নূতন সমুদ্রগামী জাহাজের বাঙলী কোম্পানীর পরামর্শদ তা ও উৎসাহদাতাদের মধ্যে তিনি আছেন । কেম্পানীটির সাফল্যের আশার ইহা একটি কারণ। বাঙালীর মোটর গাড়ী নিৰ্ম্মাণ চেষ্টা কলিকাতা মিউনিসিপালিটার সাহায্যে তাহার কারখানায় ঐযুক্ত বিপিনবিহারী দাস যে এঞ্ছিন হঃতে আরম্ভ করিয়া মোটর গাড়ীর সমুদয় অংশ নিৰ্ম্মণ করিয়া একটি গাড়ী প্রস্তুত করেন, তাইতে সময় লাগিয়াছিল অনেক এবং অর্থব্যয়ও খুব হইয়াছিল ; অথচ জিনিষটি চলনসই হইলেও উংকৃষ্ট ও নিখুত হয় নাই—যদিও তাঁহাতে তাহার শিল্পনৈপুণ্য প্রমাণিত হইয়াছিল । সময় ও অর্থ বেশী লাগিবার এবং জিনিষটি ভাল না হইবার কারণ, তাহার দক্ষতা থাকিলে ও মোটর গাড়ী নিৰ্ম্মাণের সমুদয় প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্থ छ्लि नां । এক্ষণে শ্ৰীযুক্ত স্বধীন্দ্রনাথ সরকার এবং আমেরিক ও ইংলণ্ডে মোটরশিল্পে শিক্ষাপ্রাপ্ত কয়েক জন বাঙালী যুবক একত্র মিলিত হইয়া মোটর গাড়ী নিৰ্ম্ম.ণের যে চেষ্ট৷ করিতেছেন, তাই আমেরিক হইতে আধুনিক সমুদয় যন্থের সাহায্যে করা হইবে শুনিতেছি। তাহারা আগামী জানুয়ারী মাসে “মোটর ম্যাচুফাকচারাস” নাম দিয়া একটি কোম্পানী রেজিষ্ট্ৰী করিবেন। - লণ্ডনে হিন্দু মন্দির নিৰ্ম্মাণ অনেক হিন্দু লণ্ডন যান। র্যাহার ধান, তাহাদের মধ্যে মন্দিরে গিয়া দেবতার পূজা করার অভ্যাস কয় জনের আছে, কয় জন তাহার প্রয়োজন অনুভব করেন, জনি না। যাহার করেন, লণ্ডনে হিন্দু মন্দির নিৰ্ম্ম,ণ করিয়া তাহদের স্ববিধ করিয়া দেওয়া উচিত। কলিকাতার গৌড়ীয় মঠের প্রচারক ত্ৰিদণ্ডী স্বামী ভক্তিহৃদয় বনের উদ্যোগে এইরূপ একটি মন্দির নিৰ্ম্মিত হইবে এবং ত্রিপুরার মহারাজা ইহার সমস্ত ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিবেন, অবগত হইয়াছি। স্বামী ভক্তি হৃদয় আমাদিগকে লিখিয়াছেন, যে, মন্দিরের সঙ্গে একটি হিন্দুনিবাস থাকিবে যাহাতে হিন্দুরা নিজেদের আচার রক্ষা করিয়া খাদ্য দিতে বৈদেশিক ভাবাপন্ন না হইয়া থাকিতে পরিবেন। ইহ আবশ্বক বটে। এরূপ একটি আশ্রয়স্থল নিৰ্ম্মিত ও স্বপরিচলিত হইলে লণ্ডনপ্রবাসী হিন্দুদের মধ্যে র্যাহার হন্দু ভাবে থাকিতে চান তাহদের স্থবিধা হইবে। এই উদ্যম সমর্থনযোগ্য । -- জার্মেনীতে অর্থনৈতিক বিষয়ে বাঙালীর বক্তৃত৷ জমেনীর ডম্বেশ আকাডেমীর উদ্যোগে ডাঃ স্বীর সেন তথাকার ষ্টুটগার্ট ও ড্রেসডেন শহরে ভারতীয় অর্থনৈতিক বিযয়ে বক্তৃতা করিয়াছেন । তিনি ঐ বিষয়ে জামেনীর শ্রেষ্ঠ ংবাদপত্রসমূহে অনেক প্রবন্ধ লিখিয়ছেন, এবং জামেনীঃ এক পুস্তক-প্রকাশকের অনুরোধে আধুনিক ভারতবধ সম্বন্ধে জমান ভাষায় একখানি বড় বহি লিখিতেছেন । ডাঃ স্বধীর সেন ডয়েশ আকাডেমীর বৃত্তি পাইয়া জামেনীতে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। -