পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণক্ষণ বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গের বাহিরে বাঙালীদের মধ্যে বাংলার চর্চ ২৯৭ স্থানে কতকগুলি শ্রমজীবীরও কিছু দিন থটলি মিলিতে পারে, কিন্তু মধ্যবিত্ত অভাবী গৃহস্থদের দাড়াইবার স্থান নাই। সামান্ত সামান্য ঐক্লপ অসময়ে রোপিত ধান্তের অধস্থ দেখিয়া কাহারও কাহারও মনে হইতে পারে এখনও তীব্র অন্নাভাব হয় নাই, কিন্তু তাহা ভ্ৰম । স্থানীয় চাষী ভিন্ন ধনের প্রকৃত অবস্থার পরিচয় কেহ দিতে পারেন বলিয়া মনে হয় না । এবিষযে বাদ-প্রতিবাদ উখাপন করিলে অনশনক্লিষ্ট ব্যক্তিগণের আহারপ্রণনে ব:ধ দেওয়া হয় মাত্ৰ । সম্মিলনীর কোষাধ্যক্ষ যুক্ত বিজয়কুমার ভট্টাচাৰ্য্য, উকিল, গইকোর্ট, সহ-সম্পাদক শ্রযুক্ত কৃষ্ণচন্দ্র রায়, উকিল, আলিপুর, সভ্য শ্রযুক্ত হরিপদ নন্দী, পত্তনীদার ও সভ্য, শ্রযুক্ত সত্যকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবাসীর ম্যানেজার, ঐ সকল স্থান পরিদর্শনকালে স্থানীয় গণ্যমান্ত ব্যক্তি স্কুল-মাষ্টার ইউনিয়নবোর্ড প্রেসিডেণ্ট ও সরকারী কৰ্ম্মচরিগণ, বঁকুড় কলেজের অধ্যক্ষ মাননীয় ব্রউন সাহেব সহ আলোচনা করিয়া বলেন—অনেক স্থানেই দুর্ভিক্ষের ভীষণ মূৰ্ব দেখা দিয়াছে। বিপন্ন লোকদের মুল্লার পূৰ্ব্বে সাহায্যের প্রয়োজন । মরিতে আরম্ভ করিবার সময় পর্য্যস্ত অপেক্ষা করা চলে না। সম্মিলনীর নিকট করুণ আবেদনের মধ্যে মৃএকটার পরিচয় এই – ওন্দা থানার ৮ নং ইউনিয়নের ইউনিয়নবোর্ড প্রেসিডেন্ট শম্ভুক্ত রাধিক প্রসাদ চক্রবত্তী মহাশয় সম্মিলনীর সভাপতির নিকট আবেদনপত্রে জানান— “ওন্দ ৮ নং ইউনিয়নের জামজুড়ী প্রভৃতি গ্রামের অধিবাসিগণের পক্ষ হইতে নিবেদন—১৩৪১ সালে মুকুষ্টি হয় নাই । ১৩৪২ সালে বৃষ্টি হয় নাই, শতকরা পাঁচ বিঘা জমিও আবাদ হয় নাই, এখানকার সকলেই ক্লষিজীবী, ফলে ভীষণ সুর্ভিক্ষ দেখা দিয়াছে । “গত ভাদ্র মাসে ডিঃ বোর্ড এখানে টেস্ট রিলীফ ৪ ক খুলিয়া প্রত্যেক পুরুষ, স্ত্রীলোক ও বালককে দ্য কমে /১৫, /১০, /০ হিসাবে মজুরি দিয়া একটি প্রায় ৮ ম’ ন বাস্ত প্রস্তুত করিয়৷ ৮০ ০< খরচা করিয়াছেন। উপস্থিত শুiসকগণের কোন কাৰ্য্য নাই। মধ্যবিত্ত দুঃস্থ পরিবার ভিক্ষা কঃি ত অক্ষম, সাহায্য করিতে না পারিলে অম্লাভাবে মারা ই “র সম্ভাবনা । এখানে ইউনিয়ন বোর্ড দৈনিক প্রত্যেককে : পোয় হিসাবে চাউল দিয়া একটি সাহায্য-কেন্দ্র ংিলেন, অর্থাভাবে ডাহা বন্ধ হইয়াছে’ ইত্যাদি। নল কুমারডাঙ্গা নিবাসী, প্রবাসী অফিসের ম্যানেজার ঘিলনীর সভ্য ত্রযুক্ত সত্যকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় ·”。“弘返石{ 冕一 “এই দরধান্তের বিবরণ সত্য। আমি জামজুড়ী গ্রামে i" ছিলাম এবং দুঃস্থগণের দুর্দশা স্বচক্ষে দেখিয়া অসিয়াছি । ճյ গ্রামের শ্রমজীবিগণ অর্থভাবে খাইতে না পাইয়া গ্রাম পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছে দেখিয়া আসিয়াছি।”১।- ১।৩৫ কুড়ানিবাসী পত্তনীদার ও সম্মিলনীর সভ্য শ্ৰীযুক্ত হরিপদ ননী মহাশয় ঐস্থানে সাহায্যের জন্ত সম্মিলনীর প্রেরিত চাউলসহ গিয়া লিখিতেছেন— “আমি জামজুড়ী গ্রামে গিয়াছিলাম। সেখানে ধান্য আবাদ নাই বলিলেই হয়। আমি ৭/০ মণ চাউল দুই সপ্তাহের জন্য দিলাম। প্রতি সপ্তাহে ৩০ মণ চাউলে হইবে না, ক্রমশঃ বাড়াইতে হইবে । পুনরায় ধন্য না হওয়া পৰ্যন্ত সাহায্য করিতে হইবে । অনেক ব্রাহ্মণ ও সদগোপ মধ্যবিত্ত লোকের অভাব ।” বড়জোড়া থানার মালিয়াড় ইউনিয়নের প্রেসিডেণ্ট জমীদার শ্রযুক্ত নৃপেন্দ্রনারায়ণ চক্র ধূৰ্য্য ও মালিয়াড় উচ্চইংরেজী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রযুক্ত রসময় বিশ্বাস এবং বড়জোড়া ইউনিয়নের প্রেসিডেণ্ট শ্রযুক্ত বিশ্বেশ্বর মুখোপাধ্যায়, গঙ্গাজলঘাটা থানার চেীশাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রযুক্ত জ্যোতিশব্দ চৌধুরী যে-সকল আন্দেনপত্র পাঠাইয়াছেন তাহাতেও তীব্র আল্লাভাবের পরিচয় দিয়াছেন । সম্মিলনীর কোষাধ্যক্ষ শ্রযুক্ত বিজয়কুমার ভট্টাচাৰ্য্য, এডভোকেট হাইকোট, সহ-সম্পাদক শ্রযুক্ত কৃষ্ণচন্দ্র রায়, উকিল, আলিপুর, ও সভ্য শযুক্ত হরিপদ ননী বন্য- ও দুভিক্ষ- প্ৰপীড়িত স্থান পরিদর্শন কালে স্থানীয় ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেণ্ট, স্কুলশিক্ষক ও গণ্যমন্ত ভদ্রমহোদয় এবং সরবারী কৰ্ম্মচারী সার্কেল অফিসরের সহিত আলোচনা করিয়া উপরে লিখিত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং সরকারী কৰ্ম্মচারীর হস্ত দিয়া বড়জোড়া ও পীড়রাবণি ইউনিয়নে সাহায্যও প্রেরণ করেন । [ উপরে যাহা লিখিত হইয়ছে, তাহ কিংবা তাহার তাৎপৰ্য্য দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদপত্রগুলির সম্পদকের কৃপা করিয়া মুড়িত করিলে বিপন্ন লোকদের উপকার হইবে।— প্রবাসী সম্পাদক । ] বঙ্গের বাহিরে বাঙালীদের মধ্যে বাংলার চর্চা বঙ্গের বাহিরে বাঙালীদের মধো বাংলার চর্চা বিরপে রক্ষিত ও বদ্ধিত হইতে পারে, তাহা শিক্ষিত বাঙালী মায়েরই চিন্তিতব্য । এই বিযয়টির আলোচনা সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভবে প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের প্রত্যেক অধিবেশনে হইয় থাকে। এই সম্মেলনের রয়োদশ অধিবেশন আগত প্রায় । বঙ্গের বহিরে র্যাহারা এরূপ বিষয়ের চর্চ করেন, তাহারা সংক্ষেপে নিজ নিজ চিন্তা লিপিবদ্ধ করিয়া সম্মেলনে,