পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওই ই প্ৰৱাসী ૪૭ાષ્ટ્ર ছুর্গ পরম উদাসীনের মত উত্তর দিল,--আলতে হয় জাম্বক। —এখানে থাকবে কোথায় ? হরিশ প্রশ্ন করিল। -८न भूम्नां बूबूक-चांद्र छांदे-कि बूढूक् ।

  • 鲁 毒 Q বুঝিতে সকলকেই হইল। পরের দিন। তখনও টিপি টিপি বৃষ্টি হইতেছে। একখানা ছইঘেরা গরুর গাড়ী আসিয়া হরিশদের ভাঙা চালার সামনে দাড়াইল ।

দাওয়ার উপর দাড়াইয়া দুর্গ ছেলেগুলি লইয়া সেই দিকে চাহিয়া ছিল। হরিশ বাদল-দিনের স্বযোগে খোড়া পা লইয়া কোথায় বাণিজ্য’ করিতে গিয়াছে। গাড়ী হইতে নামিল একটি ছিপছিপে পাতলা মেয়ে, পারে জুতা নাই, হাতে ছাতা নাই। মাথায় একটু লম্বা, রংটাও খুৰ উজ্জল বলিয়া বোধ হইল না। বৃষ্টির ছাটে ভিজিয় মুখখানি বর্ষার জলভরা পুকুরে ঈষৎ আন্দোলিত পদ্মপাতার মত চকু চকু করিতেছে। কাপড় পরিবার ধরণটাই যা একটু অভিনব, নতুবা আর সব দিক দিয়াই এই ভাঙা কুঁড়ের আতিথ্য গ্রহণ করা তার পক্ষে কিছুমাত্র অশোভন নহে। নামিয়া সে গাড়োয়ানকে বলিল,—স্বটকেস আর বিছানাটা ওই দাওয়ার ওপর দিয়ে এস। আর রসগোল্লার হাড়িটা। এই বাড়ি ত? আচ্ছা । বলিয়া হন-হন করিয়া দাওয়ায় জাসিয়া উঠিল। দুর্গ বিরক্তিভরা দৃষ্টিতে মেয়েটির পানে চাহিয়া কি বলিতে যাইতেছে, এমন সময় সে তাহার পায়ের গোড়ায় ইেট হইয়া প্রণাম করিল। অগত্যা বিরক্তি দমন করিয়া দুর্গাকে বলিতে হইল,— থাক, খাক, মা—জন্ম এয়োস্ত্রী হও । হাতের নোয়— মেয়েটি সোজা হইয়া দাড়াইয়া অল্প একটু হাসিয়া বলিল,— ও আশীৰ্ব্বাদ এখন ত ফলবে না, কাকীমা ; আমার বিয়েই ढ्द्र नेि । - দুর্গ ইা করিয়া মেয়েটির পানে চাহিয়া রহিল। এতবড় মেয়ে এখনও বিবাহ হয় নাই ! আবার নিজের বিবাহের কথা গুরুজনের সামনে কেমন হাসিয়া অসঙ্কোচে বলিতেছে ৰেহাজার একশেষ । - গাড়োয়ানকে বিদায় দিয়া মেয়েটি বলিল,—আমার নাম মমতা । বেন নাম সংক্ষেপ করবার জন্ত মিশরের মমি করবেন না, যেমন কলেজের মেয়েরা ক’রে থাকে ৷ কি খোক, কি দেখছ? কোলে আসবে ? খোকা মায়ের পিছনে সরিয়া গিয়া ডান পাখানি তুলিয়া ও মুখ ভেংচাইয়া সে কথার প্রত্যুত্তর দিল । মমতা রাগ করিল না। হাসিয়া বলিল,—ছি! দিদি হই, লাথি দেখাতে আছে ? পাপ হয় । খোকা বলিল,—হয় বইকি ! এই লাথি—এই লাথি— দুর্গ ছেলেকে নিষেধ করিল না। মমতার প্রতি চাহিয়া নিস্পৃহ কণ্ঠে কহিল,—থাকবে কোথায় ? মমতা হাসিমুখে বলিল, মা যেখানে মেয়েও সেইখানে। হ’লই বা ভাঙা চালা, আপনাদের যদি জায়গা হয় আমার হবে না ? দুর্গ ঠোট উন্টাইয়া বলিল,—হ'লেই ভাল। তোমরা ত দাসীবাদীর মত শাকচচ্চড়ি দিয়ে মোট চালের ভাত খেতে পারবে না। দুধ-ঘি, মাছ-মাংস— মমতার বেশ কৌতুকবোধ হইল। কহিল—পোলাও, কালিয়া, চপ, কাটলেট— দুর্গ নীরস স্বরে বলিল—ও-সব নবাবী কলকাতায় চলতে পারে, আমরা গরিব মানুষ, হাতী পোষবার ক্ষমতা আমাদের কোথায় ? মমতা দেখিল খুড়ীমা রহস্তের ধার দিয়াও যাইতেছেন না, মুখে কেমন যেন অপ্রসন্ন ভাব। বুদ্ধিমতী মেয়ে। আর কথা না বাড়াইয়া সে বলিল—ওই শাক-ভাতই আমার যথেষ্ট। আপনাদের সঙ্গে ভাগ ক'রে খাব এর চেয়ে আনন্দ । আর কি আছে ? কি খোকা, রসগোল্লা খাবে ? বলিয়া হাড়ির ঢাক্না খুলিতে লাগিল । ছেলেগুলির আর সঙ্কোচ রহিল না। মমতার চারি দিক বিরিয়া কলরব তুলিল—আমি খাব, জমি খাব। ছুর্গাও কাছে আসিয়া দাড়াইল । মমতা সকলের হাতে দুইটা করিয়া রসগোল্লা দিতে যাইতেছিল, দুর্গ তাহার হাত হইতে ছো মারিয়া ইঞ্চি কাড়িয়া লইল । বলিল—সর । ও-রাক্ষসদের যত দেবে ততই গিলবে। তুমি বস, জিরোও ।