পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YeaQ, শুধু এ-পাশ ও পাশ ঘাড় नाष्क्लिब छांनाझेल उषांश्रृंखि তাহার নাই। —মমতা একটু থামিয়া বলিল,—সামনের ওই জমিটাতেই স্কুল-বর তোলা যাবে, কি বলেন ? হরিশের মনে দুর্গার কথাগুলি এইবার ভীড় করিয়া দাড়াইল । তবে কি ছদ্ম সৌজন্তের আবরণে মেয়েটি জাপন কাৰ্য্য সাধন করিতে আসিয়াছে ? তীক্ষ দৃষ্টিতে সে মমতার পানে চাহিল। মমতা হাসিয়া বলিল,—আপনি ভাবছেন গোলমাল হবে বাড়িতে, দিনের বেলায় হয়ত ঘুমুতে পারবেন না ! অতিকষ্টে হরিশ হাসিল । মমতা বলিতে লাগিল,—সে ভয় আপনার মোটেই নেই। জামাদের পড়াবার ধরণই আলাদা। সে আপনাকে দেখিয়ে দেবো"খন । হরিশের কপালে কয়েকটি রেখা ফুটিয়া উঠিল, কোন উত্তর সে দিল না । মমতা বলিল,—জল থামলেই ওখানে একখানা আটচালা তোলা ধাবে । হরিশের আর বিন্দুমাত্র সংশয় রহিল না, দুর্গার কথাটাই বর্ণে বর্ণে ফলিয়া গেল। মমতার গোপন স্বার্থের এই স্থ} প্রকাশে হরিশ ক্রুদ্ধ হইল না, দুঃখিত হইল। স্বাৰ্থ এই সদানন্দময়ীর কথায় বা আচরণে শোভা পায় না। যদি ছুর্গার ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হইত। भभड cशt cषाग्नब्र भङझे भिहे কণ্ঠে বলিল,—কথা ৰইছেন না যে, কাক ? হরিশ নিশ্বাস গোপন করিয়া গভীর কণ্ঠে বলিল,—তা ত হয় না, মায়া । —কি হবে না ? —ওখানে ঘর তোলা । —কেন কাক ? —কেন, মানে বিষয়ের একটা ভাগ সাব্যস্ত— মমতা শিপ্তকণ্ঠে হাসিয়া উঠিল,—বিষয়ের ভাগ আবার কিসের ৫ ও ত আপনার জমি—আপনারই থাকবে। কথাটা বলিতে গিয়া গলায় বাধিল, কিন্তু না বলিলেও মেটাে বুৰিবে না। বর-ককে কাসিয়া সম্বো টাইৱা 6धवांनौ ১৯eঞ্চই, হরিশ বলিল,—কি জান, তোমার বাবা আর আমি—দু-জনের। সম্পত্তি এটা । একটা রফা হ'লেই— মমতা আবুঝের মত বলিল,—রফ আবার কিসের ? ওর সবটা আপনার, বাবার এক কড়াও নয়। —অাইন তা বলবে না, মায়া । —আইন জানি নে, কাকা ; আমি বাবার একমাত্র মেয়ে, —আমি বলছি, এ-বিষয় আপনার, আর কারও নয়। যদি বলেন লেখাপড়া ক'রে— লঙ্গ ত বটেই—হরিশের আনন্দেরও যেন ফুলকিনারা রহিল না। মমতার পানে চাহিতে গিয়া চোখ দুটি জলভারে টল টল করিতে লাগিল । বারংবার মাথা নাড়িয়া সে বলিতে লাগিল,—জানি, জানি, মায়া—আমি জানি । এ-বেলার আহারাদি মিটিল, মেঘ-দেবতা কিন্তু প্রসন্ন হইলেন না। সন্ধ্যার পূর্ব হইতে বর্ষণের বেগ বাড়িয়া উঠিল। মমতা দাওয়ায় বসিয়া হরিশের সঙ্গে বাল্যকালের গল্প করিতেছে আর দুর্গ কাজের ছুতায় এ-ঘর ও-ঘর ছুটিতেছে, কিন্তু কান পাতিয়া রাখিয়াছে ইহাদের আলাপ-আলোচনার দিকে। রাধিবার সময় হরিশের সঙ্গে মমতার যে-সব কথা হইয়াছে তাহার একবর্ণও দুর্গা শুনিতে ভুল করে নাই। কিন্তু আশ্চৰ্য্য, মেয়েটা যেন হরিশকে আগলাইয়া ফিরিতেছে ! সেই হইতে এমন নিরালা মুহূৰ্ত্ত দুর্গা পায় নাই যাহার আশ্রয়ে কণ্ডুয়িত রসনার তৃপ্তি সাধন করিয়া গোটাকয়েক সদ্ধপদেশ সে হরিশকে দেয়। এইবার ঘর হইতে বাহির হইয়া সে বলিল,—রাত্তিরে কে কি খাবে বল, এইবেলা জোগাড় দেখি । হরিশ উপরে হাত দিয়া একটা টেকুর তুলিল । মমতা বলিল,—বাস রে, রাজিতে এর ওপর খেলে বাঁচব না। এ-বেলাটা নাইবা রাখলেন, কাকীমা। একটু বিশ্রাম করুন। দুর্গ ঠোঁট উন্টাইয়া জবাব দিল,—বিশ্রাম । আ আমার কপাল রে । বলে না ‘টেকি স্বগগে গিয়েও ধান ভনে, জামারও তাই। তা খাওয়ার স্থাটা যদি নাই হয় সকাল-সকাল গুয়ে পড়। গল্প ত ফুরোয় নি, কাল ক'রে ।