পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cপশষ পশ্চিমষাত্রিকী NENలNE) ছিল। ক্যামেরা সম্বন্ধেও সেই প্রশ্ন। আমার স্বামী বললেন ১৯২৪ সালে দেশে ফিরে যাবার সময় সেলফ্রিজের দোকানে কিনেছিলেন । দুটো জবাবে সন্তুষ্ট হ'ল। প্রশ্ন— সেণ্ট, লোশান ইত্যাদি কিছু আছে ? সঙ্গে কিছু পরিমাণ ইউডিকলোন ছিল । দেখে বললে,—আচ্ছ । রেহাই পাওয়া গেল । কাষ্টমস্ পরীক্ষার সময় লাগেজ টেবিলে সারবন্দী ক’রে রাখবার বন্দোবস্ত আছে। লাগেজ-পরীক্ষক দু-তিন জন ক’রে থাকে। আমাদের যথম লাগেজ পরীক্ষা চলছিল, তখন দেখি পাশে একটি ইংরেজ-মহিলাকে পরীক্ষক হেস্তনেস্ত করছে । তিনি কাষ্টমের সল জিনিষ ‘ডিক্লেয়ার করেন নি। ডিক্লেয়ার করার ব্যাপারটি এই ;– কষ্টিমের একটি তালিকা আছে । সেই তালিকার জিনিষ কিছু আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে। ইংরেজ-মহিল| প্যারিস থেকে মস্ত এক শিশি লোশন এনেছিলেন । সেটি তার ছিক্লেয়ার করা উচিত ছিল, তা তিনি করেন নি কেন, সেজন্য জবাবদিহি করতে হ’ল । "েধে কি হ’ল জানি না । প্যারিস থেকে রেলে আসতে শামীদের কামরায় একটি বাঙালী ভদ্রলোক ছিলেন । তিনি ট্রেনে উঠবার সময় থামাদের না দেখতে পেয়ে খুজছিলেন। দেখে ব’লে উঠলেন, গগির উঠুন, উঠন বলছি, ট্রেন ছেড়ে দেবে। আমরা করে লাগেজ নিয়ে উঠে পড়লুম। ট্রেনটি গুলমান ট্রেন। কালিক চা-পান এই ট্রেনেই সেরে নেওয়া হ’ল । ট্রেনের পাশেই ইংলণ্ডের পল্লীগ্রাম দেখতে দেখতে যাচ্ছি । 'ক মাঝে ফসলের ক্ষেতের মাঝখানে ‘বাঁচামস-পিলে’র আপনও দেখছি। এই বীচামস-পিলের বিজ্ঞাপনটি যেন ' .মাদের দেশের জারমলীন জরের যমে’র মত। আর টি বিজ্ঞাপন দেগে হাসি পেয়ে গেল। সেটি একটি &পুষ্ট গাভীর মাথার ছবি, তলায় লেখা “হোম-কিল্ড, এস, ই এক টুকরা কিনে দেখ।” এত দিন হোম-মেড় কথাট শুনেছিলুম, আজ এই ‘হোম-কিল্ডে মূতনত্ব বোধ হ'ল। ŞWo–8 কিছুদূর যাবার পর লওনের টেমস্ নদীর সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলল কয়েক সেকেণ্ডের জন্য । এই টেম্স্। আমাদের এক পরিচিত বৃদ্ধ ভদ্রলোক লণ্ডনে বেড়াতে এসে এক দিন দোতলা বাসের উপর থেকে এই টেম্স্ নদী দেখে, তার জামাতাকে চীংকার ক'রে ডেকে বলে উঠেছিলেন, “ও স্বধাংশু, এই কি তোদের টেম্স্ নদী নাকি ?” আজ এই টেম্স্ নদী দেখে সেই কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের দেশের নদীর কাছে এসব খাল মাত্র। ট্রেন লণ্ডনের ভিক্টেরিয়া ষ্টেশনে পৌছল। চারিদিক কুয়াশায় ঢাকা, প্যারি—বিশ্বলি দ্যালয় বাড়িঘরদের সব অন্ধকার রং । টিপটপ ক’রে বৃষ্টি পড়ছে, মনকে বোঝালুম লগুনের ধরণই এই । বন্ধু আর্থার হাণ্টার ষ্টেশনে আমাদের নিতে এসেছিলেন। তার কাছে শুনলুম, তিনি লণ্ডনের কেনসিংটন পার্কের পাশে রয়েল প্যালেস হোটেলে আমাদের থাকবার জন্য ঘর ঠিক করেছেন। তার কাছে আরও খবর পেলুম আমরা জেনোয়া থেকে যে-সব লাগেজ সোজা লণ্ডনে পাঠিয়েছিলুম, তার ভেতর থেকে দু'টি বড় মুটকেস লণ্ডনের কাষ্টমস্ অফিসে আটকে রেখেছে। তার ভেতর নাকি দুটি সিন্ধের রোল পাওয়া গেছে। আমাদের এর জন্য কাষ্টমস অফিসে গিয়ে জবাবদিহি ক'রে তবে আনতে হবে। আর সব জিনিষ হোটেলের ঘরেই পাওয়া গেল। ঘরটি বেশ ভাল ছিল । সেদিনের মত গাওয়া চুকিয়ে বিছানা নিলুম। রাত তখন