পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেীৰ মাংসের সঙ্গে মুন ও বাধাকপির পাতা দিতে দেখেছি। সাহেবদের মত বাঘেরও বোধ হয় স্বালাড খাবার অভ্যাস আছে। এই রীজেণ্ট পার্কের চিড়িয়াখানাটি মন্দ নয় । তবে আমাদের আলিপুরের চিড়িয়াখানার কাছে অনেক বিষয়ে ছোট। এর ভিতর একোয়েরিয়ামটি সত্যই দেখবার জিনিষ। নদী, সমুদ্র ইত্যাদির মাছ ও কাকড়, কাছিম প্রভৃতিকে এমন ভাবে রাখা হয়েছে, যাতে তারা তাদের প্রকৃত বাসস্থানের সঙ্গে কোন পার্থক্য বুঝতে না পারে। সমুদ্রের মাছগুলির জায়গায় অনবরত নূন-মেশানে টাটুকা জল সরবরাহ করা হচ্ছে । নদীর মাছগুলির ঘরে শুধু পরিষ্কার জলের বন্দোবস্ত । সমুদ্রের প্রবালের ঘর-সংসার অতি সুন্দরভাবে রাখা আছে। একোয়েরিয়াম দেখতে হ’লে এর জন্য স্বতন্ত্র টিকিট করতে হয়। এর ভেতরটি অন্ধকার, খালি দ্রষ্টব্য জায়গাগুলিতে আলোর বন্দোবস্ত আছে । মাছগুলির গায়ে চিত্র-বিচিত্র নকৃশ, অতি সুন্দর দেখতে, এবং এদের রঙের বৈচিত্র্য বেথলেও অবাক হ’তে হয়। এর ভেতর ধূমপান নিষেধ । আমরা এক দিন ট্রেনে করে কভেনটি, গেলুম। তার পর এখান থেকে মোটর-কোচে ক’রে কেনিলওয়ার্থ-কাসল দেখতে যাওয়া হ’ল । কেনিলওয়ার্থ-কাসল সম্বন্ধে স্তর ওয়ালটার স্কটের কেনিলওয়ার্থ নামক উপন্যাস সকলেই পড়েছেন। এটিকে অনেকটা আমাদের লক্ষ্মেী রেসিডেন্সীর ধরণের দেখতে। তার পর এ্যাভন নদীর ধারে কবি শেক্সপীয়রের জন্মতুমি ষ্ট্র্যাটফোর্ডে যাওয়া হ’ল । এখানে তার জন্মস্থান দেখা হ'ল । কবির নিজের হাতের লেগ চিঠিপত্র ও অন্যান্য যবহৃত জিনিষ সমস্ত এই ঘরটির ভেতর মিউজিয়ম ক’রে জানো আছে। ষ্ট্র্যাটুফোর্ডে একটি থিয়েটার আছে। 4র নাম শেক্সপীয়ার মেমোরিয়াল থিয়েটার । এটি কয়েক পুংসর আগে আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার তন করে করা হয়েছে। এখানে কবির স্বরচিত টকগুলি অভিনীত হয়। সেখান থেকে আবার কভেনটিতে ফেরবার সময় ওয়ারউইক-কাসল দেখা হ’ল। এই ওয়ারউইক-কাসল বাইরে থেকে এবং ভেতর থেকে দেখতে বড় ইন্দর। এ-সব দৃপ্ত সেকালের কথা মনে করিয়ে দেয়। লওন ও তার উপকণ্ঠ দেখলে পুরাতন ঐতিহাসিক চিত্রের পশ্চিমষাত্রিকী \9\రిక్స সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া যায় না। ওয়ারউইক-কাসল কিন্তু ঐতিহাসিক। এই কাস্লের ইতিবৃত্ত এই—আলফ্রেড দি গ্রেটের মেয়ে এথেলফ্রেড ডেঙ্গদৈর লুণ্ঠনের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবার জন্য ওয়ারউইক শহরে এ্যাভন নদীর তীরে এই দুর্গটি নিৰ্ম্মাণ করেন। বিজেতা উইলিয়াম দুর্গের চতুষ্পাশ্ববৰ্ত্তী দেওয়ালগুলি ভাল ক’রে গাথিয়েছিলেন, কিন্তু তৃতীয় এডওয়ার্ডই নুতন ক’রে দেওয়ালগুলি করেন ও চূড়াগুলি মজবুত করেন। আমরা এই দুর্গমধ্যে ঢুকলুম। করিডরে এক দল দাড়িয়ে আছি, সামনে কল-বেল। বেলের কাছে লেখা আছে, খানিক ক্ষণ অপেক্ষ করবার পর গাইড এসে আমাদের দলকে এক এক ক’রে একতলা দোতালার সব ঘর দেখিয়ে বেড়ালে। হলটি বড়। রেড ড্রয়িংরুম ও ষ্টেট বেডরুমটি সবচেয়ে দেখবার । লাল বসবার ঘর থেকে এ্যাভন নদীর দৃশ্য দেখতে মন্দ নয় । খাবার ঘরটি চমৎকার ! দেওয়ালের তৈলচিত্রগুলি পছন্দসই । ওয়ারউইক-কাসল দেখে আমরা কভেনটিতে ফিরে এসে ট্রেন ধরলুম। লগুন পৌছতে প্রায় রাত্র ন’টা হ'ল। হোটেলে এক হৰ্থা থাকৃবার পর আমরা এর চেয়ে কম গ্রচার একটি জায়গা খুজে জোগাড় করেছিলুম। একটি গৃহস্থবাড়িতে জায়গা পেলুম, দুটি ঘর পেয়েছিলুম, সপ্তাহে পাচ দিন খাবারও পাওয়া যেত, কিন্তু বাথরুম ও পায়খানা নিজস্ব পাওয়া যায় নি। লণ্ডনের প্রায়ু সকল বাড়িতেই এটি লক্ষ্য করেছি, বাড়ি বেশ বড়, হয়ত ঘরও অনেক, কিন্তু পায়খানা ও স্বানের ঘর মাত্র একটি থাকবে তাতে । আমাদের দেশে বড় পরিবার হলে, সবাইকেই এক কল-পায়খানা ব্যবহার করতে হয় ; তবুও সেটা পারা যায়, কেন-ন আমরা ওদের অপেক্ষা অনেক পরিষ্কার । আমাদের কল-পায়খানায় ইচ্ছামত জল ঢেলে তখনই ধুয়ে নেওয়া চলে, ওদের সে উপায় নেই। স্নানের ঘরে বা পায়খানার মেঝেতে জল পড়লে, কোথাও দিয়ে তা বেরবার নর্দমা নেই। ঘর পরিষ্কার করবার দরকার হলে, লম্বা বুরুষের তলায় ভিজে ন্তাত রেখে, ঘষে ঘষে পরিষ্কার করা হয়। মুখ ধোবার জন্যে বেসিন ও স্ন'নের জন্য বড় বাথ । এই দুটির ভেতরের দিকে জলের কল থাকৃবে। স্বতরাং পাচ জনের ব্যবহার করা বাথের মধ্যে নেমে স্বান করতে Wait for guide