পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(r\రిశ్రీ প্রবাসী సాలిSఖ মত কান ও বুঝিবার মত প্রাণু আজ মানবসমাজে বিরল । বস্তপ্রাধান্তে ভাবের ক্ষীণত-নিবন্ধন এই গৰ্ব্বিত সভ্যতার সকল বিভাগেই দেখা দিয়াছে লজ্জাকর কুণ্ঠ বা কার্পণ্য। এই কার্পণ্য মনুষ্যত্বের প্লানি বা পতনের পথ । ইহাই মাদকতাময় প্রেয়োমার্গ। এই পথ বাহিয়াই অতীতের স্বসভ্য জাতিনিচয় একে একে অবনতির অন্ধকার গহবরে নামিয়া গিয়াছে। এই কাঞ্চন-কৌলীন্তের যুগে মহামহিমা সম্পূর্ণরূপে অর্থগত হওয়ায়, ধন অর্জন ও অর্জিত অর্থের বর্ধন ও রক্ষণ চেষ্টায়ই মাজুযের সমস্ত শক্তি পৰ্য্যবসিত হইয়াছে। বহির্জগৎ-জয়ের প্রচেষ্টায় অবাধে মতুয়ত্বের অপচয় চলিতেছে। সৰ্ব্বশক্তিমান স্বর্ণমুদ্রার মর্য্যাদা বাড়াইয়া মানুষ নিজের মর্য্যাদাকে শোচনীয় xi os of Alcofoo Nothing is unfair in war ইহাই বিংশ শতাব্দীর জীবন-সংগ্রামের একমাত্র নীতি । এই দুষ্ট নীতি বস্তুসম্পদের দিক দিয়া মানুষকে যে-পরিমাণে সম্পন্ন করিয়াছে, প্রাণ-সম্পদের দিক দিয়া ততোধিক পরিমাণে নিঃস্ব করিয়াছে। মামুষের অস্তরের মণিকোঠায় মহিমার যে মঙ্গলপ্রদীপ বিধাতা স্বহস্তে জালাইয়া দিয়াছিলেন, তৈলাভাবে তাহ আজ নির্বাপিত প্রায়। কীৰ্ত্তিহীন সিদ্ধির জন্য বিশ্বময় অভিচার-যজ্ঞ চলিতেছে । বৈষয়িক সিদ্ধি চাই, তাতে মনুষ্যত্ব থাকুক বা যাক তাহাতে কিছু যায়আসে না ; ইহাই আজিকার সিদ্ধিসেবী মানুষের প্রাণের বাণী। স্থায়, ধৰ্ম্ম, নীতি, মনুষ্যত্ব—সবার উপরে আজিকার সভ্যতায় প্রয়োজনের বিজয়পতাকা উড়িতেছে । ধৰ্ম্মে, রাষ্ট্রে, সমাজে, পরিবারে সর্বত্র এক কথা, এক ধ্বনি, প্রয়োজন—প্রয়োজন— BBBS BB BBBB BBBS BB BB BS BBB BBBBBS S কারণ যত কিছু বিবেচনা সব তার পক্ষে মহাবিড়ম্বন। বর্তমান সভ্যতার যে কেন্দ্রস্থল হইতে এই মন্ত্রব্যত্ববিধ্বংসী প্রয়োজনবাদ' প্রচারিত হইয়াছে, সেই খ্ৰীষ্টান ইউরোপের ধর্মগুরুই একদিন বাহিরের প্রয়োজনভারে নিজেকে পীড়িত বোধ করিয়া কাতর কণ্ঠে প্রার্থনা করিয়াছিলেন, 'হে প্রভো, আমার অভাবসমূহ হইতে জামায় রক্ষা কর । প্রয়োজন এই অভাবেরই নামান্তর। স্কুলত মনুষ্যত্বের বিনিময়ে ছলে, বলে, কৌশলে বিশ্বজগৎ শোষণ করিয়া যাহার মে-রোগীর স্তায় দিন দিন স্ফীত হইয়৷ উঠিয়াছে, তাহাজেরই পরিত্রাতার আদেশ, “তোমার সর্বৰ বিলাইয়া দিয়া তবে আমার অমুসরণ কর । বর্তমান সভ্যতা চরিত্র চায় না, চায় দক্ষতা। পাশ্চাত্য মনীষা আজিকার এই অভাবাত্মিক দক্ষতা ও অর্থগৃং তার প্রভাব সম্বন্ধে *son of solo, For efficiency we have neglected character, for the almighty dollar we are destroying men ৷ সভ্যতার প্রথম উন্মেষের সময় হইতে যে সমস্ত পবিত্র ভাবকে অবলম্বন করিয়া মহষ্যত্ব ক্রমপরিণতি লাভ করিয়াছে, এই অশিব দক্ষতার দুৰ্ব্বিনীত গর্বে তৎসমুদয়ই আজ অবজ্ঞাত, উপেক্ষিত। জীবনদর্শনের স্বল্প বিশ্লেষণে ও বহু অভিজ্ঞতায় জীবনের যে-সব মহান তত্ত্ব আবিষ্কৃত হইয়াছিল, প্রগতির নামে আজ তাহা নির্ভরের অযোগ্য কুসংস্কাররূপে পরিত্যক্ত। এই চঞ্চল মুখর সভ্যতার বিভিন্ন বিভাগের প্রতি নিরপেক্ষভাবে দৃষ্টিপাত করিলেই বুঝিতে কষ্ট হয় না যে, উহার প্রবল স্রোতে ভাটা ধরিয়াছে। ইহার উদ্ভাস্ত গতিবেগ মীভূত, সকল চাঞ্চল্য প্রতিক্রিয়া-মুখে অবসাদে পরিণত হইতে চলিয়াছে। স্বচনায় ইহার চতুর্দিকে যে অপূৰ্ব্ব আলোকসঙ্গ দেখা গিয়াছিল, একে একে সেই দীপালোকমালা নিবিয়া আসিতেছে। সকল দিক হইতে নিরাশার অন্ধকার ও মৃত্যুর বিভীষিকা ইহাকে বেষ্টন করিয়া নৃত্য করিতেছে । লোভের সারথ্যে, কাম ও ক্রোধ রূপ অশ্বস্বয়-বাহিত এই জড়বাদী সভ্যতার বিজয়রথ মানবতাকে দলিত মথিত করিয়া বিকট রবে অন্ধ আবেগে বিশ্বের বুকে অবিরাম ছুটিয়া চলিয়াছে। পীড়িত মানবতার অভিশাপে চির অভিশপ্ত, এই রথ-চক্রের অচিরে ধরণীগ্রস্ততার সম্ভাবনাও সুস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। জীবনযাত্রার যথার্থ প্রণালী ও পবিত্র লক্ষ্য, এই উভয়ই শোচনীয়রূপে আজ বিপৰ্য্যস্ত। নিলজ ভোগ-প্রবণতার ফলে, মকুন্ত্যজীবনের সকল মাধুর্ঘ্য ও সামঞ্জস্ত অস্তহিত। পারস্পরিক স্বার্থসংঘাতে মানবসমাজ আজ উন্মাদ ও বিচ্ছিন্ন। এই উন্মত্ততা ও বিভক্তির রন্ধ পথেই অনবরত প্রবেশ করিতেছে মৃত্যুর বিষবীজ । Possessive instinct বা স্বাধিকার-মত্ততা, বৰ্ত্তমানের সভ্যতাভিমানী মানবকে অতিক্রত যুক্তি হইতে শক্তিতে এবং সভ্যতা হইতে বর্বরতায় ফিরাইয়া জানিতেছে। অরণ্যচর বৰ্ব্বরের সহিত সাধারণতঃ বর্তমানের সভ্যমানবের পার্থক্যমাত্র