পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

位息● * প্রবাসী SNo. তুমি জান মানুষের ঐশ্বৰ্ষ্য তার বাহিরের সঙ্গায় নহে, অস্তরের পুর্ণতায় । তোমার সভ্যতা বাৰিক রিক্ততার অবকাশে তোমাকে অস্তুর পূর্ণ করিবার নির্দেশ দিয়াছে, ছে ভারত, তব শিক্ষা দিয়াছে যে ধন बांश्रिब्र ठांशांब्र अछि यन्न पत्रांरब्रांछन । আত্মপরিগ্রহের অভাবে সৰ্ব্বত্র সমুখিত অশাস্ত হাহাকারের মধ্যে তোমার কণ্ঠে ধ্বনিত হউক সেই আত্মপরিচয়ের মহাবাণী—আত্মানং বিদ্ধি। স্বীয় মহিমায় স্পন্দিত হইয়৷ বিশ্বমানবকে আজ তুমি মিনতি করিয়া বল, ভ্রাতৃগণ, ফের, এই ইন্দ্রিয়-তৰ্পণ মনুষ্যত্বের দুরপনেয় কলঙ্ক, এই মৃত্যুর সাধনা ভয়াবহ পরোধৰ্ম্ম, আজিকার স্ফীতি মহাব্যাধি, সিদ্ধি उषकौठिंब्र पत्रांकब्र । Abandon self, flee to God, strengthened by God return to Thyself. ইহাই বর্তমান যুগপীড়ায় ভারতীয় যৌবনের ব্যবস্থাপত্র। কারণ, ভারতীয় সংস্কারে বিশ্বসমস্তার সমাধান একমাত্র বিশ্বশক্তির সাধ্যায়ত্ত। একমাত্র শ্ৰীভগবানের পদাঘাতেই পৃথিবীর এই ধ্বংসাভিমুখী গতি ফিরিয়া যাইতে পারে। এই অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার মধ্য হইতে উন্নততর শাস্তি ও শৃঙ্খলার উৎপত্তি সম্ভব। ভারতীয় দর্শন বলেন, Evil is a part of nature, and the energy of God is directed to the purging of our nature and raising us to a higher stage. ভগবানকে বাদ দিয়া মানবের শাস্তি ও ঘনিষ্ঠত কোনমতেই সম্ভব নহে। তাহার ধ্যানে শক্তি জাগিবে, জ্ঞানে জ্ঞাতিত্ব বিস্তৃতি লাভ করিবে, প্রেমে আত্মীয়তার সীমা সঙ্কীর্ণ দেশকাল-পাত্র উল্লঙ্ঘন করিয়া সৰ্ব্বদেশে সৰ্ব্বভূতে ছড়াইয়া পড়িবে। সৰ্ব্বভূতাধিবাস ও ব্রহ্মাণ্ডের একায়নরূপে বিশ্বপিতাকে স্বীকার করিতে পারিলেই, এই ভেদের পঙ্কে সৌভাগ্যের শুভ্র কমল স্বতঃই প্রস্ফুটিত হইবে। উহার স্নিগ্ধতায় মানবজীবনের সকল উদ্বেগ ও চাঞ্চল্য প্রশমিত হইবেই। ভাবশুদ্ধি ভিন্ন কৰ্ম্মোন্নতির আশা নাই । বর্তমানের বিকশিত রাজসিক প্রাণশক্তিকে অতীতের সাত্ত্বিক ভাবসম্পদের অনুগত হইতে হইবে। এই জামুগত্যের ফলে কাহারও সত্তালোপের সম্ভাবনা নাই। পরস্পরের সহযোগিতায় অনুপ্রাণন ও শুদ্ধির ফলে এক মহাশক্তির উদ্ভব হইবে। বিশ্বমানবকে আজ মুক্তকণ্ঠে বলিতে হইবে—আমরা মন্দির চাই না, মসজিদ চাই না, গীর্জা চাই ন, মঠ চাই না ; বেদ, কোরান, বাইবেল, পিটক, মোল্লা, পাত্রি, পুরোহিত, শ্রমণ এ সব কিছুই চাই না। আমরা চাই, যিনি আমাদের আদি পিতা, নিবাস, শরণ, সুহৃৎ, ধাহার সত্তায় আমরা সত্তাবান, র্যাহার প্রাণে আমরা সঞ্জীবিত, তাহাকে পাইতে, তন্ময় হইতে। যৌবনের পবিত্র কণ্ঠে আজ ঝঙ্কার উঠুক, We must keep our minds open and frce for God’s truth, from whatever source it may come. অখণ্ড ভাগবতচৈতন্তের ঐকান্তিক নির্তরে পূর্ণ মনুষ্যত্বের জন্ত এক ব্যাপকতম আন্দোলনের আজ প্রয়োজন হুইয়াছে। stata favor ozo, Be a man first and everything afterwards 1 &titiawitzitsta &a, What shall a man profit if he gains the whole world and loses his own soul ? stoics wifax Culture e Nature এই উভয়ের সামঞ্জস্ত, সংসার ও পরমার্থ এই দুইয়ের স্বীকৃতি। যাহাতে অধ্যয়ন সার্থক হইবে আচরণে, অনুভূতি জীবস্ত হইয়া উঠবে অনুষ্ঠানে। অনুমান চারি সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে এই ভারতক্ষেত্রে যে মহাসভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল তাহার মর্শ্ববাণী ছিল, ‘ধৰ্ম্মার্থকাম সমমেব সেবা, ধোহোক বৃত্তয়ে স জনো জঘন্তঃ । ইউরোপেও ইহার প্রতিধ্বনি উঠিয়াছিল— “The type of the wise who soar but never roam, True to the kindred points of Heaven and home.” জীবনের উভয় দিকের এই সামঞ্জস্তই বিশ্ববিধান। ইহার লঙ্ঘনই পাপ এবং এই পাপ হইতেই পতন বা মৃত্যু। জাভিমানিক আধ্যাত্মিকতার অঙ্কুচিত আতিশষ্যে বাহিরকে উপেক্ষা করায়, ভারতবাসী জাজ বিশ্বমানব মহাসমাজের পতিত হরিজন, আর ব্যবহারিকতার সৰ্ব্বগ্রাসিত্ত্বে ইউরোপ চলিয়াছে পতনের পথে । সবলে মোড় ফিরিয়া একবার বঁাচার চেষ্টা না করিয়াই কি এতবড় একটা সভ্যতা নিক্রিয় অধঃপতনকে বরণ করিবে ?