পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ কলিকাতার শিল্প-প্রদর্শনী (x3షా হওয়৷ অসম্ভব হয় না। রামমোহন ভোগবাসনাত্যাগী সন্ন্যাসী ছিলেন এ-কথা কেহ কখনও বলে নাই। রামমোহন নিজেও কখনও নিজেকে সৰ্ব্বত্যাগী বলিয়া প্রচার করেন নাই। তিনি গৃহী ছিলেন, পাষাকপরিচ্ছদ আচার-ব্যবহারে রাজসিক প্রকৃতির লোক ছিলেন । খেন তিনি শাস্ত্রীয় বিচারে ও সমাজ-সংস্কারে রত তখনও উহার গৃহে মুসলমান-বাঈজীর নীচ কখন কখন হইত।ঞ্চ উহার পক্ষে স্বীপুত্রে আসক্ত হওয়৷ অসম্ভবও নয়, লিন্দীর বিষয়ও নয় । তবু রমাপ্রসাদ বাবুর কোপায় আপত্তি তাহ পুঝিতে পারিতেছি। প্রণয়িণীর প্রণয়পাশে আবদ্ধ হওয়া ও ইন্দ্রিয়পরতন্ত্র বা লম্পট হওয়া • হার নিকট এক জিনিষ বলিয়া মনে হইতেছে । স্ত্রীপুরুষের সম্পর্কপটত ব্যাপারে যদি কেহ প্রচলিত সামাজিক রীতিকে লঙ্ঘন করেন, তাহ হইলেই তিনি ইন্দ্রিয়পরায়ণ ব্যক্তি—একথা বলা চলে না। রমাপ্রসাদ বাপু হয়ত এ-দুয়ের পার্থক্য বুঝিতে পারিতেছেন না । তাহার নিকট প্রচলিত রীতির বিরুদ্ধt৮ারী মাত্রেই হয়ত ধৰ্ম্ম ও নীতিরও বিরুদ্ধাচারী ; তুতরাং রামমোহন সামাজিক রীতি লঙ্কলন করিয়! শার্থীয় অচিরে বিবাহিত নন এরূপ কোন স্ত্রীলোকে অনুরক্ত ছিলেন এ কথা স্বীকার

  • 1s/mderings of a Pilgrim by Fanny Parkes, Vol. 1. Chap. IV (Residenco in Calcutta, May 1823.)

করিতে র্তাহীর মন কিছুতেই সরিতেছে না। কিন্তু কোন উদারচিত্ত ব্যক্তি র্তাহীর সহিত একমত হইবেন বলিয়। অামি মনে করি না । রামমোহন বিবাহিত পত্নীর সাহচয্য বা প্রণয় বেশী পান নাই তাহ আমরা জানি। এ-অবস্থায় ঠাহর পক্ষে অস্ত কোন রমণীতে অনুরক্ত হওয়া বিচিত্র নয় । তবু, জনশতিতে ইহাকে কখনও ইন্দ্রিয়পরতন্ত্র বলিয়। প্রচার করা হয় নাই,-কোন মুসলমান-প্রণয়িনীতে অমুরত্ত বলিয়াই প্রচার করা হইয়াছে। এই রমণী শৈবমতে বিবাহিত হউন, অীর নাই হউন, রামমোহন যে ষ্টtহাতেই অনুরক্ত ছিলেন এ-বিষয়ে সন্দেহ নাই। এইরূপ একনিষ্ঠ ব্যক্তি সামাজিক আচার ন মানিলেও একদার ব্যক্তি অপেক্ষ ধর্শ্বের চক্ষে বেশ নিন্দনীয়, এ-কথা কি জোর করিয়া বলা যায় ? আর একটি কথা। সাধারণ ব্যক্তি আনুষ্ঠানিক বিবাহের বহিভূত সপ্তানকে অজ্ঞাত অখ্যাত জীবন যাপন করিতে দেয় । রামমোহন যে রাজারামকে এইরূপে দূরে সরাইয়। ন! রাখিয় অবস্থানুসায়ী শিক্ষা ও সন্মাণ দিয়াছিলেন, তাহ ও ষ্টাঙ্গার চরিত্রলল ও মহত্ত্বের পরিচায়ক । এই বিতর্ক সম্বন্ধে আমার মত আমি পরে প্রকাশ করিব।-- স্ত্রীরামীনন্দ চট্টোপাধ্যায়, প্রবাসীর সম্পাদক | } কলিকাতার শিল্প-প্রদর্শনী শিল্পকলা একদিন আমাদের দেশে অন্তরতর প্রাণধারার অঙ্গস্বরূপ ছিল—কি বৃহত্তর জীবনের ক্ষেত্রে, কি প্রাত্যহিক ংসারযাত্রায় । তার পর ক্রমশ আবার আমর। সকল দিকে পরাজয়ও মানিয়াছি, অন্তরের দৈন্তে আমাদের জীবন হইতে স্তন্দরের স্পর্শও মুছিয়া গিয়াছে। সেই সৌন্দয্যের ক্ষেত্রে, শিল্পকলার জগতে পুনঃপ্রতিষ্ঠার সাধক দেশে র্যাহার, কলিকাতার বর্ষিক শিল্পকলা-প্রদর্শনীগুলি তাহদেরই মিলন-মেলা ; এই দিনগুলি তাই সকল শিল্পসৌন্দৰ্য্য-পিপাস্কদের উৎসবের f. ঐঅবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারত-শিল্পে যে নূতন উৎসাহ সঞ্চাৱ পরিয়াছিলেন, যে নব ধারার প্রবর্তন করিয়াছিলেন, তাহার " তাহার ফলাফলের বহু বিরুদ্ধ সমালোচনাই হইয়াছে,— ৭প্রাণ ললিত-মুকুমার আধুনিক বঙ্গীয় শিল্পের অঙ্কন ادعا مم-سسه e ۹ পদ্ধতি, শুধু অতীতের ও অলোক-জগতের বিষয়বস্তু লইয়া এই শিল্পীদের কারবার, কল্পনাবিলাসের পরবশ হইয় বৰ্ত্তমান জীবন-জগতের প্রতি র্তাহার বিমুখ । এই অভিযোগের কারণ অবশ্য অনেকের চিত্রে সত্যই ছিল ও আছে, কিন্তু তাহদের মধ্যে অনেকেই শিল্পকলায় অৰ্দ্ধশিক্ষিত, বঙ্গীয় শিল্পের সাময়িক বহিরঙ্গকেই ইহার একান্ত ভাবিয়া তাহার পিকত অতুকরণ করিয়াই ক্ষাস্ত ছিলেন এবং প্রধানত: ঈষ্ঠাদেরই চিত্রদ্বারা অসঙ্গতভাবে সমগ্র বঙ্গীয় শিল্পপদ্ধতির গৌরবের হানি হইয়াছে । বলা প্রয়োজন, বঙ্গীয় শিল্পী-প্রধানদের অনেকে, যেমন শ্রীননালাল বস্থ ও শ্ৰগগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, গণ্ডীর বাহির হইয়া বহু পরীক্ষা করিয়াছেন ও করিতেছেন, সেগুলি সকলে অভিনিবেশ করিয়া দেখেন নাই।