পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

位位の এই অভিযোগগুলি যে সম্পূর্ণ সত্য নয়, এবারেও গবর্ণমেণ্ট আর্টস্কুলের প্রদর্শনীতে ( ১৬—২২ ডিসেম্বর ) তাহার প্রভূত পরিচয় পাইয়াছি। এমন নয় যে, সৰ্ব্বকালে সৰ্ব্বদেশে বরণীয় কোনও প্রতিভার সন্ধান মিলিয়াছে ; কিন্তু এ-কথা বলিতে হয় যে এখানকার ছাত্র ও শিক্ষকেরা সম্পূর্ণ গতানুগতিক হইয়া খুশী নহেন, দেশী ও বিদেশী বহু শিল্পকারু লইয়া চর্চা করিতেছেন, যে-সকল বিষয়বস্তু ও পরিবেষ্টন আমাদের দেশে আমরা শিল্পের সীমানার বহিভূত বলিয়াই ধরিয়া রাখিয়াছিলাম ভরসা করিয়া তাহাও চিত্রপটে ধরিয়াছেন। কখন-কখন সে পট জীবন্ত এবং সৌন্দর্ঘ্যের দীপ্তিতে উজ্জলও হইয়াছে। তরুণ শিক্ষার্থীদের কাজ অনেক সময়েই হয়ত আঙ্গিক-বিচারে ক্রটিপূর্ণ অপূর্ণাঙ্গ রহিয়৷ গিয়াছে ; তবুও এই বিদ্যালয়ের সকল বিভাগেই একটা প্রাণশীলতার ও সাগ্রহ জিজ্ঞাস্থতার পরিচয় স্পষ্ট । ছাত্রদের মধ্যে র্যাহারা শিক্ষকতার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন ( Teachership Department ), **sūsà করা গ্রাফিক আর্টস অর্থাৎ উড়কাট ও উড-এনগ্ৰেভিং, রঙীন ও একবর্ণ লিথোগ্রাফ, এচিং প্রভৃতি ছাপের ছবিগুলিই এই প্রদর্শনীর সর্বাপেক্ষ আকর্ষণের বস্তু। রঙীন লিথোগ্রাফের মধ্যে শ্ৰীমুশীল সেনের “ট্রেনের যাত্রী” শ্রেষ্ঠস্থান লাভের যোগ্য । ট্রেনের কক্ষে সন্তান কোলে লইয়া উপবিষ্ট রমণীর বিলীয়মান-সুদূরে নিবদ্ধ উদাস দৃষ্টিতে সুদূর-ধারিণীর বিচ্ছেদকাতরতা লিথোগ্রাফের পাথরে শিল্পী পরম সমবেদনার সহিত ফুটাইয়াছেন, পাশ্বে এক সহযাত্রীর অৰ্দ্ধাংশ আণকিয়া শিল্পী দশককে বাস্তব জগতেও ধরিয়া রাখিয়াছেন, যাত্রিণীর দৃষ্টিপথ ধরিয়া উদাস হইয়া যাইতে দেন নাই। শ্ৰীইন্দু রক্ষিত রঙীন লিথোগ্রাফে বয়োভারনত কৰ্ম্মনিরত "মিস্ত্রী”কে দরদ দিয়া অ কিয়াছেন, বৃদ্ধ মিল্পীর অৰ্দ্ধ-প্রকাশিত অ-মুন্দর মুখাবয়বে, তাহার কাজকর্মের যন্ত্রপাতিতে সৌন্দয্যের অtভ লাগিয়াছে। প্রসঙ্গক্রমে এই শিল্পীর "মহানগরীর পথে” ছবিখানাও উল্লেখ করিতে হয় । অল্প পরিসরের মধ্যে বহুবিচিত্র যান-বাহন ও যাত্রিকের সমাবেশে ছবিখানাকে একটু অতিরঞ্জিত ও উৎকেন্দ্র বলিয়া বোধ হয়, কিন্তু তাহাতে ছবিটির বিষয়বস্তুটি বড় স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। প্রবাসী ১৩৪২ একবর্ণ লিথোগ্রাফের মধ্যে শ্ৰীপূর্ণেন্দু বস্থর “ফকির” ও শ্ৰীবাস্থদেব রায়ের “বাউল” ও “নৌকা” উল্লেখযোগ্য । কাঠ-খোদাইয়ের কাজে শ্ৰীবাস্থদেব রায় ভবিষ্যতে বিশেষ কৃতী হইবেন, তাহার ছবি দেখিলে এইরূপ আশা হয়। শ্ৰীতারক বন্ধও অনেকগুলি উল্লেখযোগ্য উডকাট ও লিনোকাট করিয়াছেন, কিন্তু তাহার কতকগুলিতে অনাবশ্বক রেখাপাতে নিরর্থক জটিলতার স্থষ্টি হইয়াছে। শ্ৰীবাসুদেব রায়ের অল্প যে-কয়টি কাঠ-খোদাই আছে তাহাতে পরিমাণ-বোধ ও রেখাপাতের সার্থকতা বোঝা যায়—তাহার মধ্যে “পান্ধী” ও “ষ্ঠাস" উল্লেখযোগ্য। শ্ৰীতারক বন্থ “ফিল্ম-ষ্টুডিয়ের অভ্যন্তর” বলিয়া যে কাঠ-খোদাইটি করিয়াছেন তাহাতে, আলোর পিছনে অন্ধকারে রহস্যময় মনুষ্যমূর্তুিগুলি ও বিচিত্র আবেষ্টনের সমাবেশ ইহার ভবিষ্যৎ সার্থকতার সম্ভাবনা স্বচিত করে। আর্টস্কুলে ছাপের ছবিগুলি স্বতন্ত্র কক্ষে (Print Roomএ) প্রদর্শনের ব্যবস্থা করিলে সাধারণের পক্ষে এগুলির রস গ্রহণের বেশী সুবিধা হইত। efold fog-fetco (Indian Painting Department ) ছাত্রদের ছবি ইহার পরেই উল্লেখ করিতে হয়। অর্টস্কুলের ছাত্রদের মধ্যে যে বিষয়-বৈচিত্র্যের কথা প্রথমে উল্লেখ করিয়াছি, এই বিভাগের ছাত্রদের ছবিতেও তাহা প্রকট। একটা সময়ে আর্টস্কুলের ছাত্রের যে ছবি আঁকিতেন শস্ত দেয়াল-পঞ্জীতেই তাহ মামাইত ভাল ; Still Life ও কতগুলি বাধা-ধর “ষ্টাডি”তেই তাহা পৰ্য্যবসিত ছিল, জীবন্ত করিয়া নয়, সাধারণ ফটোগ্রাফের মত করিয়া পোট্রেটু আঁকিতে পারিলেই যথেষ্ট ছিল—এখনও কোন কোন প্রদেশের আর্টস্কুল ইহার বেশী অগ্রসর হইয়া উঠিতে পারেন নাই । কলিকাতার আর্টস্কুলে, কোন মহাপ্রতিভাবান শিল্পী স্বষ্টি না হউক, এই শস্ত ভাবটা কাটিয়াছে, জড়তা ঘুচিতেছে শ্ৰীমুকুলচন্দ্র দে মহাশয়ের অধ্যক্ষতায় নূতন নূতন দিকে ইর্থ দৃষ্টি মেলিতেছে। বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য শিল্প-আলোচনঃ সৰ্ব্বপ্রধান বিবেচ্য না হইতে পারে, কিন্তু ইহা একটি বিশেষ স্মরণ রাখিবার বিষয়, একথা স্বীকার্য্য। সাধারণভাবে আর্টস্কুলের ছাত্রর, এবং ভারতীয়-শিল্প শ্রেণীর ছাত্রর