পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&位も অনেকগুলি নিজের ছবির পুনরাবৃত্তি, আর অঙ্কনভঙ্গীতে তাহার কতকগুলি ম্যানারিজম দাড়াইয়া গিয়াছে যাহাতে র্তাহার একথানি ছবি হইতে আর একখানিকে চিনিয়া লওয়া মুসকিল হয়। কতকগুলি চিত্রে তিনি এমন অনর্থক অৰ্দ্ধ-মিরাবরণতা অ কিয়াছেন সাহাতে চিত্রের সৌন্দৰ্য্যহানিষ্ট হইয়াছে বলিয়া মনে হয় । এই মুদ্রাদোষ-দুষ্টত উকীল-ভ্রাতাদের ছবিতেও পরিস্ফুট দেখিতে পাই । ইহঁদের সকলেষ্ট স্বদক্ষ, প্যাতনামা শিল্পী । কিন্তু, রেখাপাতের ও বর্ণযোজনার যে লালিত্য ও সৌকুমাৰ্য্যের জষ্ঠ ইহারা সমাদৃত, তাহ যেন অতিমাত্র ষ্ট্ৰয় উঠতেছে, শুধুই “মুচুম্বরের গেল” ! শ্ৰীবরদী উকীলের “আওরঙ্গজেবের কোরাণপাঠ” ছবিখানি আমাদের ভাল লাগিয়াছে । শ্ৰীমণীন্দ্রভূষণ গুপ্তের ( অ্যাকাডেমি ও অন্য প্রদর্শনীতে ) বীরভূম, পূর্ববঙ্গ ও পাৰ্ব্বত্য দুখ্যগুলিতে অভিনবত্ব আছে। এই ছবিগুলিকে জল-রঙের স্কেচ বলা চলে --সামান্ত রং ও চিত্রপটে প্রচুর অবসর রাখিয়া বীরভূমের দৃপ্তবিরল রুক্ষ চিত্র রুতিত্বের সহিত তিনি অ্যাকিয়াছেন, পূৰ্ব্ববঙ্গের শ্যামল তরুলতা খাল-বিল নৌকা-মাঝির ছবিও মোটা মোট টানে তিনি জীবন্ত করিয়া দেখাইয়াছেন। আশ্চৰ্য্য এই, যে ছবিগুলি অনেক যত্ন করিয়া তিনি আকিয়াছেন বলিয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় সেগুলি বড় নীরস হইয়াছে, পূৰ্ব্বোক্ত ছবির সজীবতা তাহাতে যেন হারাষ্টয়া ফেলিয়াছেন। অ্যাকাডেমি-প্রদর্শনীর কত্ত্বপক্ষ তাহার যত্নসাধ্য ছবি অপেক্ষা সহজ দৃশুচিত্রকেই সমাদর করিয়া পুরস্কৃত করিয়াছেন । অ্যাকাডেমির ভাস্কৰ্য্য-বিভাগে গোয়ালিয়রের শ্ৰীস্বধীররঞ্জন খাস্তগিরের রচনাগুলিই এবারে সর্বপ্রধান। মাপজোখের বিচারে মূৰ্ত্তিগুলির মধ্যে খুং আবিষ্কার কেহ কেহ করিবেন। তবে কথা এই যে, শিল্পকলার ক্ষেত্রে অস্তি-সংস্থানের ক্রটি অপেক্ষ চিত্ত-সংস্থানের ক্রট-সংশোধন কঠিন ; সেই চিত্তদৈন্য পরিস্ফুট প্রদর্শনীর অন্য অনেক নিখুত ভাস্কৰ্য্যরচনার মধ্যেই। খাস্তগির মহাশয় তাহার “শীত”, “জলদান” “সখী’ মূৰ্ত্তিগুলিতে সবলতা সজীবতা ও জিজ্ঞাস্থ পরীক্ষাপ্রিয় মনের পরিচয় প্রভূতভাবেই দিয়াছেন—এই গুণগুলি না থাকিলে, কোনও মুডৌল, মাপজোখে নিখুত, চিত্র বা মূৰ্ত্তির বিশেষ কোন মূল্য থাকে বলিয়া মনে হয় না। প্রবাসী SNరి8R প্রক্ষিতীশ রায় কর্তৃক গঠিত মুন্দর “শকুন্তলা” মূৰ্ত্তি এইবার প্রদর্শনীতে সাধারণের দেখিবার স্বযোগ হইয়াছিল। সালে ইহা রয়াল অ্যাকাডেমিতে প্রথম প্রদর্শিত হয়— উক্ত অ্যাকাডেমিতে ইহাই সম্ভবতঃ সৰ্ব্বপ্রথম ভারতীয়ের শিল্পনিদর্শন । শ্ৰীপ্রদোষ দাসগুপ্তের মূৰ্বিতে “বয়সের ভার”-পীড়িতের মুখপট ও অঙ্গবিন্যাসে বাৰ্দ্ধক্যের ভাবট শিল্পীর কৃতিত্বের পরিচায়ক। শ্রবিজয় ভট্টাচায্যের “বান্ধী" মূর্তিটিও উল্লেখযোগ্য। বিলাত হইতে প্রেরিত শিল্পী রিচার্ড গার্বের তরুণীমূৰ্ত্তিটির নিরলঙ্কার তন্ত্রভঙ্গিমা স্বগঠিত। তেলরঙে-আঁকা ছবির মধ্যে শ্ৰীললিতমোহন সেনের ব্ৰহ্মদেশীয় বিবিধ বিষয় লইয়া অণকা ছবিগুলিই সৰ্ব্বাপেক্ষ বিশেষত্বপূর্ণ। আলোর খেল তিনি কতকগুলি ছবিতে বিশেষ চতুৰ্য্য ও রুতিত্বের সঠিত দেখাইয়াছেন – “স্বৰ্য্যালোক” ছবিখানি তাহার প্রকষ্ট নিদর্শন, “দুয়ারে” ছবিখানিও এই জন্য উল্লেখনীয় । লক্ষে শিল্পবিদ্যালয়ের তাহার কয়েকজন ছাত্রও এই ধরণে আলোকসম্পাত দেখাইয়া স্বন্দর চিত্ৰ আকিয়াছেন । বৌদ্ধ-মন্দিরের উপাসনার ও অন্যান্য নানা দৃশ্বও শীললিতমোহন সেন স্থকৌশলে অভ্যাকিয়াছেন। শীকালিদাস করের “মধ্যদিনের’’ ছবিখানি, ঐহরিসাধন দত্তের “সমস্ত।” তেল-রঙে উল্লেখযোগ্য চিত্র। রান্নাঘরে শিশুগুলিকে সামলাইবেন কি রান্নার দিকে নজর রাখিবেন, প্রতিদিনকার এই সামান্ত সমস্যায় দ্বিধাম্বিতার চিত্রটি স্বন্দর হইয়াছে। শ্রীঅতুল বস্থর কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্যগুলি মনোরম। ) సెVEV স্কেচগুলির মধ্যে শ্ৰীঅবনী সেনের বুদ্ধার মুখ উল্লেখযোগ্য । শ্ৰীসরসী রায়ের সিংহের ছবি কয়েকট টানে ভাল ফুটিয়াছে । ওরিয়েণ্টাল সোসাইটির প্রদর্শনীতে ( ৩০ ডিসেম্বর—১১ জানুয়ারি ) অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথের ছবি না দেখিয় প্রথমেই মন ক্ষুব্ধ হয়—শ্ৰীনন্দলাল বস্বও মাত্র একটি ছণি দিয়াছেন। শ্রক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদারের একটি ছবি তাহ চিরাগত ধারায় অঙ্কিত সুন্দর ছবি । লক্ষ্মেী শিল্পবিদ্যালয় হইতে অনেকগুলি ছবি ইত্যাদি এঃ প্রদর্শনীতে আসিয়াছিল। প্রবীরেশ্বর সেনের ছোট দৃশুচিত্রগুলি উজ্জল বর্ণসম্পাতে সুন্দর, তাহার স্বক্ষ তুলিকা