পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ স্ব-অঙ্কিত। তাহার ছাত্রদের ছবিতেও এই স্বক্ষ তুলিক, বর্ণের ঔজ্জল্যের প্রভাব পড়িয়াছে। কিন্তু মনকে পূর্ণতর আনন্দ দিবার আয়োজন এগুলিতে নাই ; সম্ভবতঃ সে উচ্চাশাও এ-ছবিগুলির নাই। শ্ৰীব্ৰজমোহন জিজ্যার পাহাড়ের দুখ ও পাহাড়িয়া জীবনযাত্রা লইয়া অঙ্কিত ছোট ছবিগুলি মুন্দর—কিন্তু ইহার মধ্যে অন্তত: কয়েকটি বৃহত্তর পটভূমিকায় আঁকা হইবার অপেক্ষ রাখে—অল্প পরিধির মধ্যে, পাহাড়ের ও পাহাড়িয়া জীবনযাত্রায় উদার পরিসর ও উন্মুক্ততা পরিস্ফুট হইতে পারে নাই। শ্ৰীপ্রণয়রঞ্জন রায়ের প্রসাধন ছবিটি রেখাবিন্যাসে ও ভঙ্গিমায় সুন্দর । শ্ৰীঅসিতকুমার হালদার এবারে প্রদর্শনীতে ছবি দেন নাই, কতগুলি স্বগঠিত প্লাক দিয়াছেন। শ্ৰীক্ষিতীশ রায়ের করা নগ্নমূর্তুিটি সোসাইটি-গৃহে বেম্বরে ঠেকিল । শ্ৰীব্রতীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাহার ছবি দুইটিতে আলোছায়ার খেলা চাতুৰ্য্যের সহিত দেখাইয়াছেন। সোসাইটির শ্ৰীহন্দুভূষণ গুপ্ত, শ্ৰীমুধাংশুভূষণ রায়, শ্ৰীনীরদ মজুমদার, শ্ৰীসন্তোষ সেনগুপ্তের কয়েকটি ছবি দৃষ্টি আকর্ষণ করে । শান্তিনিকেতনের শ্রীরামকিঙ্কর বেইজের ছবিখানিতে রবীন্দ্র-রীতি ও ঐনন্দলাল বস্থর আধুনিক কতকগুলি ছবির প্রভাব দেখি । এই সুদক্ষ শিল্পী ভাস্কয্যেও কৃতী, তাহার নবতম পদ্ধতির মূৰ্ত্তির নিদর্শন কিছু প্রদর্শনীতে থাকিলে আনন্দের বিষয় হইত। শ্রবিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের শিল্পচর্চায় তাহার সবল স্বকীয়তা পারস্ফুট--এই বারে তিনি বেশী কিছু ছবি দেন নাই কিন্তু তাহার “হাওড়া ষ্টেশন” ও “লিথোপ্রেস” লিথোগ্রাফ দুইটিতেও তাহ প্রকাশ পাইতেছে। শ্ৰবমুনা বস্থর “বিধবা” ছবিট পরিমিত শোভন বর্ণবিদ্যাসে ও স্থানপুণ রেখাপাতে মুন্দর ; তাহার “বর্ষ-উৎসব” ছবিখানিও দর্শনীয়। র্তাহার ছবিতে ও লিনো-কাটগুলিতে পটের ধারা স্পষ্ট আছে—এই রীতির কাঠ-খোদাইগুলির সহিত পাশাপাশি কলিকাতার শিল্প-প্রদর্শনী qዕረግ গবর্ণমেণ্ট আট স্কুলের ছাত্রদের কাঠখোদাইগুলির রীতিপার্থক্য তুলনীয়। ঐনিবেদিতা ঘোষের চিত্রে উপবেশনভঙ্গী ও মুখভাসে প্রিয়-প্রতীক্ষাব্যগ্র বধূর ছবি স্বন্দর ফুটিয়াছে । সোসাইটিতে প্রদর্শিত শাস্তিনিকেতন কলাভবন ও আর্টস্কুলের রঙীন উড,কাট, এচিং ও লিথোগ্রাফগুলি বিশেষ চিত্তাকর্ষক হইয়াছিল,—এখনও এই সকল কারুপদ্ধতির ছবিগুলি শিল্পীসমাজের বাহিরে যথাযথ সমাদর লাভ করে নাই। শ্রীবিশ্বরূপ বল্প জাপান হইতে রঙীন উডকাটের . পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞ হইয়া আসিয়াছেন, তাহার করা অবনীন্দ্রমাথের “পদ্মপত্রে অশ্রািজল’ নামক বিখ্যাত ছবির রঙীন উড় কাট-প্রতিলিপিতে মূল চিত্রের সৌন্দৰ্য্য অক্ষুঞ্জ। এগুলির যথাযোগ্য সমাদর না হইলে আশ্চর্য্যের বিষয় হইবে। - সোসাইটিতে প্রদর্শিত শ্রীরমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাহার ড্রাইপয়েণ্ট ও রঙীন কাঠখোদাইগুলিতে বাংলার নৌকার ও নদাতটের সৌন্দর্য্যের বিভিন্ন রূপ দেখাইয়াছেন। রমেক্সবাবু, ইহা ছাড় বারাণসীর কতকগুলি রঙীন স্কেচও দিয়াছেন। বস্তুত এই শিল্পী বিভিন্ন কারুপদ্ধতিতেই যে-ভাবে সহজ শক্তি দেখাইয়াছেন তাহা সকল শিল্পীতে স্বলভ নয়। এই সকল প্রদর্শনীতে কর্তৃপক্ষীয়ের স্বনিৰ্ব্বাচিত চিত্র প্রদর্শনের দিকে ততটা লক্ষ্য রাখেন নাই, প্রদর্শনী বড় করিবার দিকেই ঝোক বেশী দিয়াছেন ; ইহা পরিতাপের বিষয়। তৎসত্ত্বেও বাংলা দেশের আধুনিক তরুণ শিল্পীরা শুধু পুৰ্ব্ব রীতিতে আবদ্ধ না থাকিয় বিদেশীয় কারু ও শিল্পরীতিরও চর্চা করিতেছেন এই প্রদর্শনীগুলিতে তাহা লক্ষ্য করিয়া আনন্দিত হইয়াছি । তবে এই বিভিন্ন কারু ও পদ্ধতি তাহারা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করিয়া দেশীয় ভাবে অনুপ্রাণিত করিতে পারিবেন এরূপ আশা করি } প্রদর্শনীর অনেক ছবিতে তাহার পরিচয়ও আছে। সেতু (উডএএনগ্রেভিং )—ীপুর্ণেন্দু বথ 3 و حس- ۹۵