পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূপ জীমুনীলচন্দ্র সরকার

  • -চল—”

কানে কথাটা বাজল, কিন্তু মনের তরফে কোনো সাড়া নেই। সকালের তীব্র চা-পিপাসার প্রথম ইনষ্টলমেণ্ট শোধ হয়ে গেছে, অনভ্যস্ত বাড়ি হলেও জানলার ধারের চেয়ারটায় বসে টেবিলের ওপর পা তুলে দিয়েছি, এবং কাল রাত্রে যে ভাবনাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাদের ঠেলে জাগাবার চেষ্টা করছি। এই ভাবনাগুলো আমার পোষা । সময় ভারী হয়ে উঠলে লোকে কুকুরের সঙ্গে কথা কয়ে সময়টাকে হাল্কা করে নেয়। আমার কুকুর নেই—ভালো কুকুর বড় দামী—এই ভাবনাগুলো আছে। এদের কিনতে হয়নি, খেতে দিই দু'বেল পাচ কাপ চা আর পনেরোটা সিগারেট। এতেই এদের এত তেজ যে মাঝে মাঝে রাজের নরম ঘুমে দাত বসিয়ে দেয় । —ওঠে নাসেজমাম, কাল তুমি বললে যাবে? গম্ভীরগলায় বললাম, গেল-বছর যখন তোমাদের এই কাশীতে আসি টুলু, তখন তোমায় কি বলেছিলাম নিশ্চয় তোমার মনে নেই ? তখন তোমায় বিশেষ ক'রে বলে দিয়েছিলাম যে, "দেখ টুলু, আমন ব্যস্ত হয়ে না। সেই তুমি ব্যস্ত হয়ে উঠছ তো ? যাও—দেখ তোমার মা কি করছেন। উকুন যদি খালি থাকে তো চায়ের জল বসাতে বল। আজ সপ্তাহখানেক ষে ভাবনাটাকে নিয়ে নাড়াচাড়া করছি, তার নাম হচ্ছে, হতে দাও । তিনদিন আগে ছিলাম কলকাতায়। মার অমুখ, ছোট ভাইয়ের অমুখ ; আমার এক খুড়তুতো ভাই বি-এ পাস করে চাকরি খুঁজছিল, চাকরি এখানে মিলল না, অতএব অন্তত্র চেষ্টা দেখতে হ’ল—সেই ‘অন্যত্র যা এখনও ওয়্যারলেসের রেঞ্জে পাওয়া যায়নি। মনটা উদ্বেগে তীক্ষ থেকে তীক্ষতম হয়ে উঠছিল, বুকের মধ্যে ফুটছিল কাটার মত, এমন সময় যখন খবর পেলাম মেজদির ছেলে—ষে আমার আবাল্য-সঙ্গী এবং বন্ধু—লে তাদের দুঃস্থ পরিবারের অল্পসমস্যা মোচন করেছে নিজে মরে, তখন মনের তীক্ষতাটুকুকে হঠাৎ ভেঙে ভোতা ক’রে দিলে এই বুনো দায়িত্বহীন হতে দাও । মা কাদছিলেন, আমার ডেকে বলতে এসেছিলেন, স্থা বাবা, কি হবে ? রুখে উঠে বললাম, হতে দাও । খবরের কাগজে তখন মৃতদেহ শুপাকার হয়ে উঠছে—গঙ্গাসাগরে তুফান-বেহারে ভূমিকম্প । নিজে এগোতে পারি না, আমার ঐ পোষা ভাবনাটাকে এগিয়ে দিই। হঠাৎ কাশী থেকে 'তার' এল, ‘গৌরীর অমূখ, এখনি এস। অনেক কাজ ছিল আমার, তবু আমি ছাড়া যাবার লোক নেই। রাগ করলাম না। নিৰ্ব্বোধ নিৰ্ব্বিরোধে কাশী রওনা হলাম। তাড়াহুড়ো, টাকা জোগাড়, টিকিট কেনা, রেলের ভীড় আর গণ্ডগোল—এর মধ্যে দিয়ে নিযুতির শাসন-ক্লিষ্ট যে প্রাণীটি অবগুস্তাৰীভাবে চালিত হচ্ছে—তাকে যেন আমি আমার থেকে আলাদা করে দেখতে পেলাম। ক্লাস্তভাবে মনে মনে শুধু উচ্চারণ করলাম, হতে দাও।” এখানে এসেছি আজ তিনদিন হ’ল । এসে দেখি ভয়ের কিছুই নয়, হঠাৎ ফেণ্ট হয়ে গিয়েছিল, এই মাত্র। ভেবেছিলাম, আজই কলকাতায় ফিরব, কিন্তু গৌরী কিছুতেই ছাড়বে না। আর টুলু কাল থেকে বায়না ধরেছে আমার সঙ্গে সারনাথ দেখতে যাবে। কিন্তু আমার ঘোর কাটছে না। চার পাশের ঠেলায় যতদূর এগোই—হতে দিলে যতটা হয়—তার বেশী আর উৎসাহ নেই। এই তিন বার কাশীতে আসা হ’ল, অথচ সারনাথ দেখিনি, তা-ছাড়া কাল অন্তমনস্ক ভাবে কখন টুলুকে কথা দিয়ে ফেলেছি। ও কান্নাকাটি ধরবে না, জানি। কিন্তু আমার আড়ালে যে ওর চোখ সম্পূর্ণ শুকনো থাকবে না তার জাভাস পেলাম। অতএব অবশেষে উঠেষ্ট পড়লাম। 'cनषीरम किङ्कहे गो७झ यांब ना ।। ७ब्र इब्रड थित পেয়ে যাবে।--গৌরী আমার পাঞ্জাবীর পকেটে গোপনে