পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●ግo প্রবাসী @°●受 किष्क्रू मां । হাসব কি রাগ করব ভেবে পেলাম না। গরু দেখলেই যদি তোমার খিদে পায় ? ও চেচাতে লাগল, “এই গরু, তোর ঠ্যাং জ্বটো কেন আমাদের মত এতবড় লোকের কখনও খিদে পায় ? আর যদি একান্তই পায়, সিগারেট খাব। খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে টুলু বললে, মাকে আনলে इङ, म! ? হাসি চেপে বললাম, কি হত ? এই বুড়ো বয়সে মায়ের দুধ খেতিস নাকি ? —ঘাঃ । আমি নাকি দুধ খাই ! মা থাকলে রাধতে পারত। সে যখন হয়নি তখন আর কি হবে ? খিদে চেপে খাৰতে পারবি তো ? * ছ। দেখ দেখ, গাছগুলো কি রকম চুপ ক’রে গেল, যেন ভয় পেয়েছে। আর আকাশটা কি রকম সরে সরে যাচ্ছে । অবাক হয়ে বললাম, বলিস কিরে টুলু, ত্রস্ত তরুলত, পলাতক আকাশ ! এ ষে একেবারে মুঠো #ời transferred epithet । কবিতা লিখবি না কি ? টুলু উৎফুল্প হয়ে বললে, আমি একটা কবিতা জানি। সেই যে তুমি শিখিয়ে দিয়েছিলে ? সেইটে বললে আর রোদুর লাগে ন—ন ? ছ, বল ত সেইটে একবার। কচি গলাকে হাস্যকর ভাবে মোট করে টুলু বললে, আকাশ ! ঢেকে যাও মেঘে । আরে, শেষে কি-অম্বখ হবে রোদ লেগে ? কবিতাটা আমারই বটে। তবে edit করবার সময় টুলু একটু সংশোধিত ও পরিবর্ধিত করে নিয়েছে। ঐ ‘জারে টুকু তার মৌলিক। দেখলাম ভাল করিনি। টুলুকে উস্কে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ধমক দিলেই অবগু চুপ করে যেত, পথের লোক অবাক হয়ে আমন বিরক্তিকর ভাবে চেয়ে থাকতে পারত নী—কিন্তু শৈশবের এই অহেতুক উদামতাকে অকারণে বাধা দিতে মন ওঠে না। অতএব নিৰ্ব্বিবাদে এবং মুক্তকণ্ঠে টুলুর কাব্যচর্চ চলতে লাগল এবং এই কাব্যের জন্মদাতা স্বয়ং আমি ওর এই প্রবল উৎসাহে সরু r ভেড়াকে উচ্চৈঃস্বরে ডেকে বললে, ‘ওরে ভেড়া, তোর মাথা একেবারে নেড়া। ঘোড়াকে আঙুল দিয়ে শাসিয়ে মহাদন্তে চীৎকার করে উঠল, ওরে ঘোড়া, তোর কেবল হাত পা ছোড়া, দাড়া, ইট দিয়ে তোর ঠ্যাং ক’রে দেব খোড়া । পথের এই নাট্যোল্লিখিত চরিত্রগুলির মধ্যে পরবর্তী চরিত্র হচ্ছে একটি কুকুর। কুকুর সম্বন্ধে কোনো ছড়া টুলুকে শেখানো হয়নি। কিন্তু টুলু পথের সব প্রাণীকে সম্ভাষণ করার পরে সামান্য কুকুরের কাছে হার মানবার পাত্র নয়। এই কুকুর'—মহা উৎসাহে এইটুকু বলে ফেলে একটু থমকে গিয়ে অবশেষে গলাটা একটু নামিয়ে বললে, “তোর ঠাং দুটো কেন— পুকুর ? হে হে করে হেসে উঠলাম। ‘পুকুর কি রে টুলু ? ‘ঠ্যাং দুটো পুকুর এর কোনো মানে হয় না কি ? টুলু অপ্রস্তুত হয়ে গেল। আমার হাতটা জড়িয়ে কাছে ঘেসে বসে জিজ্ঞাসা করলে, “তবে কি বলব, ব'লে দাও ? আমি গম্ভীরভাবে বললাম, কুকুর দেখলেই খুব বিরক্ত হয়ে বলতে হয়— , ওরে বজাত কুকুর, তুই কোথায় কোথায় ঘুরিস সকাল দুকুর ? তোর মাথার ওপরে মেরে দোব নাকি মুগুর । ভেবেছিলাম টুলু এ কবিতাটাও তাড়াতাড়ি আত্মসাৎ করবে। কিন্তু হঠাৎ তার ছড়া বলার স্পৃহা কমে এল । বিষণ্ণভাবে বললে, আমার সেই মথমলের খাপ-ওয়াল তরোয়ালটা আনলে ঠিক হত না ? আসবার সময় ভুলে গিয়েছি। আচ্ছ সেজমাম, এই সব এক-একটা "গাম্, নয় ? এই “গামে জন্তু-জানোয়ার সব থাকে ? বাঘ, হরিণ, সিংঘ ? অন্তমনস্ক ভাবে বললাম, ই্যা, ছোটখাটো ছু-একটা বাঘ থাকতে পারে বই কি। —আমরা গাড়ী থেকে নাবলে যদি সেইগুলো বেরিয়ে আসে ।